ও সখিনা
থেমে গেলো ফকির আলমগীরের কণ্ঠ
মঞ্চে আর গাইবেন না ফকির আলমগীর। চিরতরে থেমে গেলো একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গণসঙ্গীত শিল্পীর কণ্ঠ। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রখ্যাত এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব ইউএনবির কাছে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিংবদন্তি এই শিল্পীকে গত রবিবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। আগের শুক্রবার ভোর থেকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি ভর্তি ছিলেন । কিন্তু গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাকের পরে তার অবস্থার অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে সংগীত অঙ্গণে পা রাখেন এবং ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণ শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য ও সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন । সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য তিনি গণসঙ্গীত গাইতেন।
ফকির আলমগীরের বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে ‘ও সখিনা’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’, ‘নেলসন মেন্ডেলা’, ‘সান্তাহার’ ও ‘বাংলার কমরেড বন্ধু’ উল্লেখযোগ্য।
ফকির আলমগীর লেখক-গবেষক হিসেবেও অনেক কাজ করেছেন। ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
১৮ হলেই টিকা নেয়া যাবে, শিগগিরই বাস্তবায়ন
৩ বছর আগে