তরল অক্সিজেন
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। গতরাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পণ্যচালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কাস্টমস হাউসে পাঠিয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজ।
লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ মেট্রিক টনের তরল অক্সিজেন আমদানি করে। ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে ইন্ডিয়া লিমিটেড
১৩টি চালানে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন ট্যাংকারে করে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলযোগে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট রাতে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। ১৩টি চালানে এ পর্যন্ত লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামে আমদানিকারক ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে গতরাতে ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়ে খালাসের অপেক্ষায় বেনাপোল রেল স্টেশনে আছে। সরকারি ডিউটি পরিশোধ করেই তরল অক্সিজেনের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। বিকালে পণ্যচালানটি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
৩ বছর আগে
বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে দশম চালানে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন নিয়ে একটি বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে পৌঁছায়।
ভারতের দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের একটি ট্রেন চক্রধরপুর বিভাগের রাউরকেলা থেকে দশম অক্সিজেন এক্সপ্রেস রওয়ানা দিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটিতে ১০টি কনটেইনারে ১৯৮ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) রয়েছে।
এ নিয়ে গত ২৭ দিনে রেলে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন। বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছাবে। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেনটি আবার এ পথ দিয়ে ভারতে ফিরে যাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
রেলপথে অক্সিজেন আমদানিকারক লিনডে বাংলাদেশ আর রপ্তানিকারক ভারতের লিনডে। রেলের পাশাপাশি সড়ক পথেও আমদানি হচ্ছে অক্সিজেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গত ২১ জুন থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সড়ক পথে আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন।
এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত যে অক্সিজেন উৎপাদন করে তার বড় একটি অংশ বাংলাদেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ ও তার চাহিদার প্রায় সবটুকু আমদানি করে ভারত থেকে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ টন অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে অক্সিজেন আমদানিকারকরা হচ্ছে লিনডে বাংলাদেশ, এক্সপেট্রা অক্সিজেন, পিউর অক্সিজেন, বেঙ্গল অক্সিজেন ও ইসলাম অক্সিজেন আমদানি করে থাকেন। এর মধ্যে লিনডে বাংলাদেশ ও এক্সপেট্রা অক্সিজেন নামে দুই আমদানিকারক ৮০ শতাংশ অক্সিজেন আমদানি করে। রেলপথে শুধু লিনডে বাংলাদেশ অক্সিজেন আমদানি করে।
বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ জানান, মাঝে ভারতে করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করায় চিকিৎসা খাতে বাড়ে অক্সিজেন সংকট। এতে গত ২১ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তাদের দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসায় গত ২১ জুন থেকে তারা আবারও অক্সিজেন রপ্তানি শুরু করে বাংলাদেশে। গত দুই মাসে সড়ক পথে ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ১৯ আগস্ট ১৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৭ দিনে ১০টি চালানে লিনডে বাংলাদেশ নামে আমদানিকারক ১ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছে। অক্সিজেনের চালান দ্রুত ছেড়ে দিতে সবসময় বন্দর, কাস্টমস ও রেল বিভাগের স্পেশাল টিম কাজ করে আসছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারি কমিশনার কল্যাণ মিত্র চাকমা বলেন, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের পর দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সিরাজগঞ্জে খালাসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন বেনাপোল দিয়ে ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
করোনা মোকাবিলায় বন্ধু দেশ ভারতের পাঠানো ২০০ মেট্রিক টন (এমটি) তরল অক্সিজেন বহনকারী ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
শনিবার রাত ১০ টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর অতিক্রম করে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে অক্সিজেনবাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। প্রথমবারের মতো ভারতীয় রেলওয়ের “অক্সিজেন এক্সপ্রেস” ১০টি কন্টেইনারে ২০০ মেট্রিক টন (এমটি) তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে এলো।
আরও পড়ুন: রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
জানা যায়, অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লি. পণ্য চালানের রাজস্ব পরিশোধ করে দ্রুতই খালাশ নেবার কথা বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
ভারতে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা শুরু করার পর থেকে এই প্রথম প্রতিবেশী কোনও দেশে অক্সিজেন এক্সপ্রেস সেবা প্রদান করলো। ভারতের অভ্যন্তরে এ পর্যন্ত এই ধরনের ৪৮০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু আছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, শনিবার টাটা দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীনে চক্রধরপুর বিভাগের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন পরিবহনের চাহিদা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আটকে রাখলো পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন বাবা
তিনি বলেন, আমদানিকৃত অক্সিজেনের বিপরীতে ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাশ নিতে হবে। সরকারের কাছে অক্সিজেনের শুল্ক উঠিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
শনিবার সকাল থেকে ভারতের ঝড়খান্ডের জামশেদপুর থেকে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন লোডিং করে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ রাত ১০ টায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলিতে এ অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনে ধীরগতি
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার রাত ১০ টার দিকে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ এর ১০টি কন্টেইনার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছেছে।’
৩ বছর আগে