প্রমাণ
প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলেই রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুক্রবার (৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে এর প্রমাণ পেলেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’
পিএসসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) একথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
এসময় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস: পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘১২ বছর ধরে প্রশ্নফাঁস হয়েছে, সেই অভিযোগ এখন প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তবে গত ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরীক্ষা বাতিল করব। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ-সংশয় নেই।’
এক যুগ ধরে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে; আগের পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এককভাবে আমি এটা নিয়ে বলতে পারি না।’
‘দেখুন, ১২ বছর মানে তিনজন চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল। সে সময়ের পরীক্ষায় কী হয়েছে, তা নিয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাছাড়া আগের পরীক্ষাগুলো বাতিল করাটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কি না, তাতেও আইন-কানুনের বিষয় রয়েছে। হুট করে এটা নিয়ে বলা কঠিন।’
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
৩ মাস আগে
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের সুরক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৩০তম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এই ট্রাস্ট গঠন প্রমাণ করে সরকার সাংবাদিকবান্ধব।’
আরও পড়ুন: ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
এম এ আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিতভাবে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন। এসব কার্যক্রম সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অঙ্গীকারের বহিপ্রকাশ।
ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার কথাও এ সময় পুনর্ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
সভায় আরও ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য জাফর ওয়াজেদ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য দীপ আজাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কলিম সরওয়ার।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব হবে: টিআরএনবির সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কম ভোটার উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশের মানুষ সরকারের সঙ্গে নেই।
তিনি বলেন, 'জনগণ এই সরকারকে (৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে) ভোট দেয়নি এবং এখনও তারা সরকারকে ভোট দেয় না। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দেখা গেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে উপজেলা নির্বাচনে এত কম ভোটার উপস্থিতি আর কখনো হয়নি।’
শুক্রবার (১০ মে) একটি অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ তার সঙ্গে আছে বলে তিনি কোনো কিছুর পরোয়া করেন না।
তিনি বলেন, 'জনগণ বলতে আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? তার মানে কি ওবায়দুল কাদের আপনার সঙ্গে আছেন? আপনার সঙ্গে কি কেউ আছে? এমনকী, আপনার দলের লোকজনও আপনার সঙ্গে নেই। তারা যদি আপনার সঙ্গে থাকতেন তাহলে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে যেতেন এবং উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে যেতেন।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা আ. লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মধ্যে ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন মান্না।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার পণ্য ও বিদ্যুতের দাম কমাতে পারবে না। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন একশ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিদেশিদের চাপে ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থনৈতিক পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সরকারের হাতে আমদানি করার মতো পর্যাপ্ত ডলার নেই। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাচ্ছে না, কারণ তারা জানে যে এই সরকার চোর।
তিনি বলেন, দেশের শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থা প্রমাণ করছে বিরোধী দলগুলো নয়, সরকারই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ভঙ্গুর সরকারকে উৎখাত করে দুঃশাসন ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীকে নতুন করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান মান্না।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান বিএনপির
৫ মাস আগে
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব৷
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৯তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করার বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা আছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। তারপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে কখনো কখনো অপপ্রচার করা হয়, প্রশ্ন তোলা হয় যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত করছে না প্রসারিত করছে। অথচ সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের এত বড় উদ্যোগ প্রমাণ করে তিনি সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বাধীন সরকার যে সাংবাদিকবান্ধব সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়। এ বিষয়গুলো আরও সামনে নিয়ে আসা দরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে আসা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক কণ্যাণ ট্রাস্টের কাজে পেশাদারত্ব ও স্বচ্ছতা আছে। সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সাংবাদিক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেন হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে যেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আমরা পক্ষপাতহীন ও পেশাদার সিদ্ধান্ত দিতে চাই।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন তার বাস্তবায়ন আমরা চাই। সত্যিকার অর্থে যেন সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজেই ট্রাস্টের অর্থ ব্যয় হয় সেটিই আমাদের চাওয়া।
আরও পড়ুন: অনলাইন গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সভায় সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটিকে এক মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের সময় দেওয়া হয়।
এছাড়া দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও মৃত সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জরুরি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হয়।
৮ মাস আগে
চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার কোনো প্রমাণ কোথাও নেই।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, জিয়ার লাশ কেউ দেখেননি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমি রাঙ্গুনিয়ার মানুষ, যেখানে জিয়াকে প্রথম সমাহিত করা হয় বলে বিএনপি দাবি করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তখনকার চেয়ারম্যান জহির সাহেব এখনো জীবিত। তিনি বলেছেন, তিনটি লাশ সেখান থেকে তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। এরশাদ সাহেব এবং জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন মীর শওকত দু'জনেই বলেছেন, তারা কেউ জিয়ার লাশ দেখেননি।'
চন্দ্রিমা থেকে কবরটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাশ ছাড়া কবর দাবি করা যেমন জনগণের সাথে প্রতারণা, তেমনি ইসলামের নিয়ম-নীতিবিরুদ্ধ। লাশ ছাড়া কবর রাখার কোনো কারণ আছে কি না, সেটিই জনগণের প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য 'আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য বিএনপির ওপর নির্যাতন করছে' এর জবাবে ড. হাছান বলেন, 'আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণ যতদিন চাইবে ততদিন আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করবে, এর একদিনও বেশি নয়। গত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে, প্রতিটি নাগরিকের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট। পেট্রোলবোমা দিয়ে জীবন্ত, ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী, অবরোধের নামে মানুষকে অবরুদ্ধকারী বিএনপির সাথে তো জনগণের থাকার কথা নয়। বিএনপি নিজেরাই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে নানা কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
'বিরোধীদল দমনেও আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়' উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, 'সন্ত্রাসী, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী বা ফৌজদারি অপরাধের আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে যদি বিএনপি অপরাধীদের পক্ষ নেয়, তাহলে তো দেশে কোনো ফৌজদারি আইনই কার্যকর করা যাবে না, বিচারও থাকবে না। সুতরাং বিএনপির এসমস্ত কথা হাস্যকর।'
৩ বছর আগে
বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খোলার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন সংরক্ষণ এবং ওষুধ শিল্প কারখানা বাদে সব শিল্প-কারখানা সরকারি-বেসরকারি অফিস বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্ধ থাকার কথা। শিল্প কল কারখানা খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে তা যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত সরকারের নেই বলে জানান ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় যখন মানুষ নামছে তখন বলছে তাদের চাকরিতে যেতে হচ্ছে, এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি, তারা যেসব নাম বলছে সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
কঠোর লকডাউন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি মাঠে দেখা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যেহেতু গার্মেন্টস ও রপ্তানিমুখী কল-কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করত সেগুলো কমেছে, এগুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন কারণ আছে যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে অযৌক্তিক কারণে। বের হলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে ।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ছড়িয়ে গিয়েছে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবে তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে ট্রলারে পিকনিক, খাবার গেল এতিমখানা মাদ্রাসায়
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ।
৩ বছর আগে