জানাযা
জামিনে এসে ছেলের জানাযায় রনির বাবা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত অগ্নিযোদ্ধা (ফায়ার ফাইটার) রমজানুল ইসলাম রনির (২২) শেরপুরে নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’দেয়া হয় এবং লাশের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রমজানুল ইসলাম রনির লাশ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় চোখের জলে এই ফায়ার ফাইটারকে শেষ বিদায় জানান সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে আদালত থেকে জামিন পেয়ে জানাযা ও দাফন কাজে শরীক হন কারাগারে থাকা রনির বাবা আকরাম হোসেন আংগুর মিয়া। একটি হত্যা মামলায় তিনি গত তিনি মাস ধরে জেলহাজতে আছেন। রনির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আদালতের বিচারক তার সাত দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, রনির ঘটনাটি বেদনাদায়ক, এই পেশাটাই এমন চ্যালেঞ্জের। সর্বদাই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। রনিই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সরকার যেন রনির পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখেন এই আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড দমকল বিভাগে কর্মরত শেরপুরের সন্তান ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার পুকুরপাড় মহল্লায় জানাযার সময় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
ব্যবসায়ী সোহেল রানার (৪০) ওই মহল্লার মৃত আছাব উদ্দিন আকন্দের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় ‘মাদকাসক্ত’ যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সোমবার দুপুরের দিকে সোহেল নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে জানাযার আয়োজন মুহূর্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ মিনুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে নিখোঁজ
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে তাঁর লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে বিশেষ কৌশলে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে