আকস্মিক
বায়তুল মোকাররমে আকস্মিক পরিদর্শনে ধর্ম উপদেষ্টা
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ পরিদর্শন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এসময় উপদেষ্টা মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং মসজিদের শৌচাগার, অযুখানা, পার্কিং ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মসজিদ পরিদর্শনে যান বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এসময় উপদেষ্টা বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্সের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসময় তিনি এ লাইব্রেরিটিকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটালাইজড করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। লাইব্রেরির বই নির্বাচন ও ক্রয় প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করার জন্যও উপদেষ্টা লাইব্রেরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
মসজিদের শৌচাগার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য উপদেষ্টা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালককে দিকনির্দেশনা দেন। মসজিদের দোকান ভাড়া হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করেন।
এসময় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইবাদতের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরিকে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের স্থায়ীভাবে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার জন্য ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকার একটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে। পরিদর্শনকালে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ যাওয়া-আসার সময় বিমানবন্দরে থাকবেন যারা
১ মাস আগে
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৩ শতাধিক: জাতিসংঘ
আফগানিস্তানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে আঘাত হানা বন্যায় বেঁচে যাওয়া মানুষের মাঝে বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশ শুক্রবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী তাখার প্রদেশে বন্যায় অন্তত ২০ জনের মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ( সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেছেন, ‘এই বিপর্যয়কর বন্যায় শত শত প্রাণহানি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আহত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের গ্রামে পুরনো ‘মাইন’ বিস্ফোরণে ৯ শিশু নিহত
মুজাহিদ বাদাখশান, বাগলান, ঘোর ও হেরাত প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের' ফলে 'উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতি' হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার দুর্গতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো এবং নিহতদের উদ্ধারের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির বিমানবাহিনী এরই মধ্যে বাঘলান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে এবং বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করেছে। আহত ১০০ জনকে ওই অঞ্চলের সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এই বন্যা জলবায়ু সংকটে ক্ষতির শিকার আফগানিস্তানের দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দিয়েছে। তালেবান ও আন্তর্জাতিক পক্ষকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার: তালেবান মুখপাত্র
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার কয়েক ডজন মানুষ বাঘলান হাসপাতালের পেছনে জড়ো হয়ে তাদের প্রিয়জনদের খুঁজছেন। কর্মীরা দাফনের জন্য লাশগুলো প্রস্তুত করার সময় একজন কর্মকর্তা আগত স্বজনদের বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত।
এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত এপ্রিলে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই হাজার বাড়ি, তিনটি মসজিদ ও চারটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৫০, নিখোঁজ অনেক
৫ মাস আগে
জম্মু ও কাশ্মীরে হঠাৎ বন্যায় ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ২৬
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আকস্মিক ঝড়বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বুধবার ভোরে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত পার্বত্য কিস্তোয়ার জেলার কনজার গ্রামে এই দুর্যোগে ২৬ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রামের কমপক্ষে আট থেকে দশটি ঘর বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে কিস্তোয়ারের জেলা প্রশাসক অশোক কুমার শর্মা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীকে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসনের এক উপদেষ্টা বলেন "আবহাওয়া অধিদপ্তর আগাম দিনগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে এবং নদী ও নালার জলের স্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা নদী, নালা, জলাশয় এবং স্লাইড-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাসিন্দাদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ রাতে ভারত থেকে ২৫০ ভেন্টিলেটর আসছে
৩ বছর আগে