বাস্তবায়ন
পলিথিনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তদারকি কমিটি গঠন
পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন বিভাগ)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্মসচিব (পরিবেশ-১), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ করতে সারা দেশের কার্যকর কার্যক্রমগুলো তদারকি করবে কমিটি। এটি সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং প্রয়োজনে মাঠও পরিদর্শন করবে।
পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর আলাদা কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি বিকাল ৫টার পর কার্যকরী কার্যক্রমের প্রতিদিনের হালনাগাদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটির কাছে পাঠাবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান বাড়ানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৩ সপ্তাহ আগে
জনমুখী আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সরকারকে তরুণ নেতৃত্বের আহ্বান
সরকারি অর্থ লোক দেখানো উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্পে ব্যবহার বন্ধ করে দেশকে বৈদেশিক ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত করা এবং সরকারি আর্থিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কাজে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জনমুখী আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে তরুণ নেতৃত্ব।
সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নে ‘তরুণ নেতৃত্বের ভাবনা’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান বক্তারা।
প্রায় ৬০ তরুণ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস), অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
তরুন বক্তারা টেকসই ও জনবান্ধব আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমে ‘বাজেটপূর্ব’ আলোচনা বিষয়টি কৌশলপত্রে যুক্ত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তরুণ নাগরিকদের পেছনে বিনিয়োগ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বান
এছাড়াও কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতির ব্যাপক সংস্কার করার পরামর্শ দেন তারা। প্রয়োজনে বছর শেষে কর আদায়ের প্রচলিত পদ্ধতির বদলে দৈনিক বা সাপ্তাহিক কর আদায়ের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেন।
অর্থ সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়ন করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রজন্ম কী চায়, তারা কীভাবে দেশ গড়তে চান, তা বিবেচনায় এনে আর্থিক সংস্কার করা হলে আর্থিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সহায়তার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রকল্পের উদ্যোগ নিচ্ছে।
অর্থ বিভাগ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তৃতীয় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল ২০২৫-২০৩০ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এর আগে সরকার ২০০৭-২০১২ এবং ২০১৬-২০২১ সালের জন্য দুটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।
পিএফএম সংস্কার কৌশল অংশীজনদের পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে টেকসই, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি শক্তিশালী পিএফএম ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসম্মত সেবা প্রদান করা। সেই সঙ্গে মধ্যমেয়াদি বাজেটিং এবং ম্যাক্রোইকোনমিক পূর্বাভাসের প্রবর্তন করার পাশাপাশি আইবাস++ (একীভূত বাজেট এবং হিসাব ব্যবস্থা) এর মতো ই-সিস্টেমের মাধ্যমে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অটোমেশন, পেনশন আধুনিকীকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পরিচালনায় সংস্কার করা।
অনুষ্ঠানে ‘ভবিষ্যতের সরকার: অতীতের সরকার থেকে আগামীর সরকার’ বিষয় উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকার লিড গর্ভন্যান্স স্পেশালিস্ট ও টাস্ক টিম লিডার সুরাইয়া জান্নাত।
এছাড়াও এসপিএফএমএসের জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) বিলকিস জাহান রিমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ে ‘তরুণ নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামি মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনার দ্রুত সংশোধনের দাবি তরুণ জলবায়ুকর্মীদের
তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
১ মাস আগে
গণমাধ্যমকর্মীর জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস’র
সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন এবং প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনের গণমাধ্যমকর্মীর জন্য অভিন্ন নতুন ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে স্বাধীন প্লাটফর্ম ‘আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস’ (আমাদের গণমাধ্যম আমাদের অধিকার)।
এদিকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার দুই মাসের মাথায় অন্যান্য সেক্টরে নানা ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ কোনো পক্ষ থেকেই দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ শুরু: তথ্য মন্ত্রণালয়
আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস জানায়, বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য যে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রয়েছে তা গঠন হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর ২০১৯ সালে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন হলেও সরকারের নির্লিপ্ততা, মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সুবিধাবাদিতা এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর শৈথিল্যের ফলে তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। যার ফলে দীর্ঘ ১১ বছরে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন এক টাকাও বাড়েনি। অপরদিকে ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াকে রাখা হয়েছে বেতন কাঠামোর বাইরে।
তারা আরও জানান, সমাজের অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যম সজাগ থাকলেও গণমাধ্যমকর্মীরা মারাত্মক বৈষম্যের শিকার হয় আসছে বছরের পর বছর। এছাড়া আর্থিক অনিশ্চয়তা ও অভাবের ফলে একদিকে বহু সাংবাদিক যেমন পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন, অপরদিকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক কিছু সাংবাদিকের নৈতিক স্খলন ঘটিয়ে পুরো সাংবাদিকতাকে বিতর্কিত করেছে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নবমম ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে তা শতভাগ কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক এবং অনতিবিলম্বে সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
১ মাস আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়নে ১০ টিম গঠন
ডেঙ্গু মোকাবিলা ও মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে নাগরিকদের রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৪টি টিম। উত্তর সিটি করপোরেশনে কাজ করবে ৩টি টিম। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে কার্যপরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে একটি টিম।
এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভাসমূহ যেমন- সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কাজটি সমন্বয় ও তথ্য সংগ্রহের জন্য ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসকল কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টিম প্রধান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
গঠিত টিমগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দিনে কমপক্ষে ৩টি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করবেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম মনিটরিং ও তদারকি করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য সংগ্রহ কমিটির কাছে নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ ও অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নিয়মিত কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব: ডিএসসিসি প্রশাসক
১ মাস আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
‘ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান প্রয়োজন’
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠিত হলে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ওয়ান হেলথ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলী অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট পাঠ্যক্রম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন:কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
তিনি আরও বলেন, বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারিয়ান তৈরিতে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে প্রাণীর বিভিন্ন রোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থাপিত এসব পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠা করতে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নারেশ চন্দ্র দেব বার্মা, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দক্ষতা সমপন্ন হতে হবে। দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গ্রাজুয়েটই বেকার।
তিনি আরও বলেন, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলি অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
ওয়ান হেলথ সম্পর্কে ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান বলেন, ওয়ান হেলথ একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য তিনটি বিষয়েই আলোকপাত করে।
তিনি বলেন, সফল জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এমন এক স্বাস্থ্য পদ্ধতির প্রয়োজন যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর বিএসভিইআর সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলমকে ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
৮ মাস আগে
বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্জ্যবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে, বর্জ্য সম্পদে রুপান্তরিত হবে এবং পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে উঠবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩) দুপুরে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে চলমান ডিএনসিসি'র ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট’- পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে আমারা ৩০ একর জমি হস্তান্তর করেছি। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, কোম্পানি জানিয়েছে জমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প সম্পন্ন করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে বিদুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে, কিনে নেবে বিদুৎ বিভাগ।
মেয়র বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে হবে। এর ফলে বায়ু দূষণ রোধ হবে,বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে সিএমইসি'র প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। তাদের কিছু যন্ত্রপাতি প্লান্টে চলে এসেছে, আরও যন্ত্রপাতি দ্রুতই পৌঁছবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ও সিএমইসি'র কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে জানুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে প্লান্টের কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, মোট চারটি টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু করার বিষয়ে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
১১ মাস আগে
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে
নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভার আগে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রণয়নের অগ্রগতির জন্য টিপু মুনশি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তার ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের উপর থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করলে পীযূষ গোয়েল এ বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া, অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন এবং এগুলো নিষ্পত্তি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।
পরে টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী এমই মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।
এর আগে ২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভায় যোগদান দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পর এলডিসি দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য শুল্কমুক্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন প্রদানের জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ১৩তম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে (এমসি১৩) এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বিজনেস-২০ (বি-২০) সামিটে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধন ডিএসসিসিকে স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে।
এছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’, নগর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নগর উপাত্ত কেন্দ্র, নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
তাপস বলেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।
এ পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছি মন্তব্য করে ডিএসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাবো। যেমন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমি এখন কথা বলছি।
তিনি বলেন, এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের যে কোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয়, আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
তিনি বলেন, তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সব তথ্যই কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গে এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো কিন্তু আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব।
সুতরাং আজকে এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
১ বছর আগে