বাস্তবায়ন
নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভার আগে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রণয়নের অগ্রগতির জন্য টিপু মুনশি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তার ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের উপর থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করলে পীযূষ গোয়েল এ বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া, অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন এবং এগুলো নিষ্পত্তি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।
পরে টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী এমই মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।
এর আগে ২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভায় যোগদান দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পর এলডিসি দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য শুল্কমুক্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন প্রদানের জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ১৩তম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে (এমসি১৩) এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বিজনেস-২০ (বি-২০) সামিটে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধন ডিএসসিসিকে স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে।
এছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’, নগর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নগর উপাত্ত কেন্দ্র, নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
তাপস বলেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।
এ পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছি মন্তব্য করে ডিএসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাবো। যেমন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমি এখন কথা বলছি।
তিনি বলেন, এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের যে কোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয়, আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
তিনি বলেন, তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সব তথ্যই কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গে এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো কিন্তু আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব।
সুতরাং আজকে এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট-২ প্রকল্পের উদ্বোধন
ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও অনগ্রসর তরুণদের মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোয়েস্ট-২ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ইউসেপ বাংলাদেশ।
সোমবার (২০ মার্চ) মিরপুরের ইউসেপ বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্প কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্র্যান্সফরমেশন (কোয়েস্ট)-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম।
প্রধান অতিথি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার ১৯৭২ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের জীবন উন্নয়নে সামগ্রিক কার্যক্রমের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশের গৃহিত প্রকল্প ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্রান্সফরমেশন’ (কোয়েস্ট) প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো-অনগ্রসর পরিবার, মেয়ে, প্রতিবন্ধী মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সংস্থা হিসেবে ইউসেপ বাংলাদেশকে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা।
ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পাইলট প্রকল্পের আলোচনায় ‘সম্পৃক্ত নয়’ ইউএনএইচসিআর
ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তকরণে একমত ভারত ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমঝোতা স্মারক
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে বাংলাদেশ- নেদারল্যান্ডের ষষ্ঠ ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটি’র সভায় বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা (বিডিপি-২১০০) এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২২ হতে ২০৩২ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার উক্ত সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব শরিফা খান ও নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রদূত রেনে ভ্যান হেল স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ইআরডি’র সচিব এই সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়াও, এ সভায় বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ) ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
এই সভায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে ডাচ এবং বাংলাদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় এবং বিভিন্ন প্রকল্পসমূহকে কীভাবে বিজনেস মডেলে রূপান্তর করা যায় তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের মধ্যে সমন্বয় করে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতাধীন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করা অধিক ফলপ্রসূ হবে সভায় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই
বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের ওপর চলে মেট্রোরেল, বাস্তবায়নে এল অ্যান্ড টি
রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক(ই অ্যান্ড এম) মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সফলভাবে শুরু হয়েছে। এটি ঢাকা মেট্রোরেলের লাইন-৬। সিস্টেমটি বাস্তবায়ন করেছে রেলওয়ে পরিবহন অবকাঠামো ব্যবসায়ী লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কন্সট্রাকশন।
মেট্রো জগতে, সামগ্রিক সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনসহ ইন্টিগ্রেটেড ইএন্ডএম সিস্টেমের কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো যা এল অ্যান্ড টি নামে পরিচিত।
এই মাইলফলক অর্জনের পর ঢাকা মেট্রো লাইন-৬ এর ফেজ-১ (১১ দশমিক চার কি.মি.) এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর এটির উদ্বো্ধন করেন।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়ার উদযাপনের ফানুস বৈদ্যুতিক তারে, ২ ঘণ্টা পর মেট্রোরেলে চালু
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার পতনের ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই নতুন বছরে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ১০ দফা বাস্তবায়ন। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের সব নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।
‘আর এটা করতে হলে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অতএব, আগামী দিনে আমাদের যে টার্গেট এই ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রবিবার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবির সনদ ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ সমাবেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এখন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে দেশবাসী।
এছাড়া সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা আমাদের দলের ২৭ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়ব। অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সরকারের দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি নেতা জানান, আপনারা (সরকার) বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ড করেও আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেননি। জনগণ ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে এবং এবার আপনাকে রেহাই দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ থেকে ২০৫০ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এজন্য মোট ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
রবিবার তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় সংস্থান থেকে আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন থেকে অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০-৫০ বন্টনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘গ্লোবাল হাব অন লোকাললি লেড অ্যাডাপটেশন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আমাদের বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার অধীনে করা কাজের পরিপূরক হবে। আমি প্যারিস চুক্তির চেতনায় এই প্রচেষ্টায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে আমাদের অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু অভিযোজনে জিডিপির ৬-৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদে প্রতিষ্ঠিত একটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন উভয়ের জন্য ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি সমস্ত প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের সুযোগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলকে অবশ্যই বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসনকে জলবায়ু প্রভাবের অভিযোজিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের গতিশীলতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয়কেই আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
ফ্ল্যাগশিপ আশ্রয়ণ কর্মসূচির অধীনে তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রায় এক মিলিয়ন আধা পাকা দুর্যোগ সহনশীল বাড়ি নির্মাণ করেছে। কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুতল আবাসন প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। প্রায় পাঁচ হাজার জলবায়ু শরণার্থী পরিবার যারা বিভিন্ন দ্বীপ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাদের ইতোমধ্যে সেখানে ১৩৯টি বহুতল ভবনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
স্থানীয় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করে আসছে। তারা বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য বিপদের বিরুদ্ধে একধরনের স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করেছে। তারা প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজন হাবে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও জলবায়ু অভিযোজনের সমাধান রয়েছে। সরকার সংস্থান ও উদ্ভাবনের সঙ্গে উক্ত সমাধানগুলোকে সমর্থন করে। এই সংমিশ্রণটি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন ব্যবস্থাগুলোর একটি ক্ষেত্র বিকাশে আমাদের ভালভাবে পরিবেশন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিস্তা নদীর ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রজেক্ট প্রোফাইল শেষ হয়েছে। এটি অনেক বড় প্রজেক্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কবে নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তিস্তা পারের মানুষের আর দুর্দশা থাকবে না।‘
শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বন্যার্ত ও ভাঙন কবলিতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছে।
পড়ুন: তিস্তার ঢলে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
তিনি বলেন, চারটি জেলার প্রতিটিতে ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পশু খাদ্যের জন্য আরও ২ লাখ টাকা এবং ১০০ বান্ডিল করে ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সরিষাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়াদ্দী বাপ্পি, উপজেলা নিবার্হী অফিসার নূরে তাসনীম, ঘড়িয়ালডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার বক্তব্য দেন।
পড়ুন: তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, রেড অ্যালার্ট জারি
তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিল ভারত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৮ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট প্রকল্প ছিল ৮৫টি। প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা বরাদ্দের ৯৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেও এ সাফল্য অর্জন খুবই সন্তোষজনক। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সবাইকে মন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আগামীতে এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে পড়ছে। অন্যদিকে মানুষ বাড়ছে, নগরায়ন-শিল্পায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে চলমান কোভিডের প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে অত্যন্ত সচেতন ও সাবধানী হতে হবে যাতে করে স্বল্প প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেও কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। চলতি অর্থবছরে যে প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে মন্ত্রণালয়ের মোট ৮৫টি প্রকল্পের ৯৮% বাস্তবায়ন হয়েছে যা খুবই প্রশংসনীয়। চলমান বছরেও এ সাফল্য ধরে রাখা ও তা আরও এগিয়ে নিতে প্রকল্প পরিচালকদের তিনি তাগাদা প্রদান করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ ঊর্ধ্বধন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।