অবৈধ অনুপ্রবেশ
তামাবিল দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো ভারত
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি'র উপস্থিতিতে তাদের ফেরত পাঠায় ভারত।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন— জামালপুরের বক্সিগঞ্জ থানার মো. উমর ফারুখ (২৬), কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর থানার মো. হুমায়ুন কবির (২৬), শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার মো. রাসেল মিয়া (২০), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মো. সুজন মোল্লা (৩৬), নরসিংদীর শিবপুর থানার মো. ইউসুফ মিয়া (২৩), রাজশাহীর গোদাগঞ্জ থানার মো. সাহেব আলী (২৩), একই এলাকার মো. মিজানুর রহমান (২৬), মো. সোহেল রানা (২৫), মো. আবু বক্কর (২৩), মো. আব্দুল করিম (৪৫), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার মো. শামীম (৩৭), একই এলাকার মো. হাবিবুল্লাহ (৩৪), মো. নাজির আহমেদ (৪০), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছি থানার মো. বিপ্লব মিয়া (২২)।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ আটক করে। তাদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার তুরা কারাগারে ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিজিবি-বিএসএফর উপস্থিতিতে তাদের বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের নিকট হস্তান্তর করে। দীর্ঘ কয়েক মাস জেল খেটে তারা আজ (বুধবার) দেশে ফেরত আসেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম মিয়া বলেন, ‘দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং বিএসএফ ও বিজিবির মাধ্যমে নারীসহ ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানোর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
৮ দিন আগে
কুড়িগ্রাম: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ৭ নাগরিকের মধ্যে ৫ জনকে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।
তারা হলেন কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, আসামের ধুবরী জেলার হাট সিংগীমারী থানার সুরুৎ মিয়ার ছেলে মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ মাইনকারচর জেলার হাট সিংগীমারী থানার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া, হাট সিংগীমারী থানার আমিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও হাট সিংগীমারী থানার ছানোয়র হোসেনের ছেলে মাহা আলম শেখ।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে হস্তান্তর ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় দু’জনের ভাগ্যে মেলেনি কারামুক্তি। ফলে সাজার মেয়াদ ভোগ করার পরও তাদেরকে বিনা বিচারে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেল সুপার মো. ইসমাঈল হোসেন জানান, মাদক বহন ও পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত ৭ ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে আজ (মঙ্গলবার) ৫ নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ৭টায় ৫ ভারতীয় নাগরিককে জেল গেটের বাইরে নেয়া হয়। লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাধ্যমে তাদেরকে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল এসিসটেন্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টরের আহ্বায়ক ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, উভয় দেশেই নাগরিক রয়েছে বিভিন্ন জেলখানায়। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা দেশে ফিরতে পারছে না। আজকে যারা দেশে ফিরছে তারা সাজার বাইরেও ৬ মাস থেকে এক বছর বিনাবিচারে জেল খেটেছে। এটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লংঘন।
সাজা শেষের সাথে সাথে নাগরিকরা যেন নিজের দেশে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা বা উদ্যোগ দুই রাষ্ট্র থেকে নেয়া জরুরি।
পড়ুন: ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০
১০৫২ দিন আগে
ভারতে ৩ বছর কারাভোগ শেষে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি
বিভিন্ন সময় ভালো কাজের আশায় ভারতে গিয়ে আটক হওয়া ১০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট বিমানবন্দরে প্রবাসী নারীকে হয়রানির অভিযোগ
ফেরত আসার হলো- রোকসানা, মাহমুদা, গোলাপ মিয়া, সাকিব হোসেন, রাসেল মিয়া,আযশো, নাঈম, খোকন, সাগর, সাজু। এদের বাড়ি দেশের খুলনা, নড়াইল ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ফেরত আসাদের গ্রহণ করেছে ‘রাইটস যশোর’ ও ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামে দু’টি এনজিও সংস্থা।
রাইটস যশোরের ফিল্ড অফিসার তৌফিক জানান, ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় দালালের খপ্পরে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু যান। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করলে তিন বছর মেয়াদে সাজা হয় তাদের। পরবর্তীতে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে আজ তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দু’টি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করবে। যেহেতু তারা ভারত ফেরত সেহেতু তাদের ১৪ কোযারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপর তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
১৩৫৮ দিন আগে