ই-ভিসা
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
১ বছর আগে
কাজ ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু সৌদি আরবের
কাজ, ভ্রমণ ও ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সোমবার বিকালে ঢাকাস্থ দূতাবাসে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকারের কয়েকটি দেশে একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
১ বছর আগে
অপহৃত ভারতীয়দের ছেড়ে দিয়েছে তালেবান
অপহৃত ভারতীয়দের ছেড়ে দিয়েছে তালেবান। তারা বিমানে করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য দেশটির প্রধান বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার সকালে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা ১৫০ জনকে অপহরণ করে। এর বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক ছিল।
আরও পড়ুনঃ কাবুলে প্রবেশ করেছে তালেবান, ক্ষমতার 'শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের' অপেক্ষা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের বরাতে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানবন্দরের বাইরে থেকে অপহরণ করার পর ভারতীয়দের কাছের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায় তালেবান। সেখানে তাদের কাগজপত্র দেখার পর ছেড়ে দেয়া হয়। এখন তারা কাবুল বিমানবন্দরে আছে।
তালেবানের এক মুখপাত্র স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেছে, ভারতীয়দের অপহরণ করা হয়নি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্টেশনে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জোর করে কাবুল দখল করবে না তালেবান
শনিবার এর আগে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে । যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান প্রায় ৮৫ জন ভারতীয়কে সরিয়ে নেয়ার দুই ঘণ্টা পর তালেবান ভারতীয় নাগরিকদের তুলে নেয়।
দিল্লির একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি নিরাপদে তাজিকিস্তানে অবতরণ করেছে। বিমানটি রিফুয়েল করার পর ভারতে ফিরে আসবে এবং দ্বিতীয় বিমানটি কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আছে।
তালেবান রাজধানী দখলের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভারত দেশটির বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে কাবুলে তাদের দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূতসহ সব কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সেইদিন সকালে টুইট করে বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে কাবুলে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীরা অবিলম্বে ভারতে চলে আসবেন।’
যদিও আফগানিস্তান তার আকাশসীমা সব বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, তবুও সামরিক বিমানগুলো কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থানরত আমেরিকান সৈন্যদের সাহায্যে আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে।
ভারত সরকার, ইতোমধ্যে, ই-ভিসার একটি নতুন জরুরি বিভাগ চালু করেছে যাতে এই দেশে আশ্রয় নিতে আফগানরা দ্রুত আবেদন করতে পারে।
গত দুই সপ্তাহে, ভারত তাদের সব কূটনৈতিক কর্মী এবং তাদের পরিবারকে আফগানিস্তানে দেশটির তিনটি কনস্যুলেট - কান্দাহার, জালালাবাদ এবং হেরাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
৩ বছর আগে
১৮ মাস পর পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিল সৌদি আরব
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিধিনিষেধ আরোপের ১৮ মাস পর রবিবার প্রথমবারের মতো সৌদি আরব পর্যটকদের জন্য দেশটিতে প্রবেশের বিধিনিষেধ তুলে নিল।
করোনা সংক্রমণের কিছু আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে দেশটি পর্যটকদের জন্য ই-ভিসা (ইলেকট্রনিক ভিসা) চালু করেছিল।
সৌদি আরব তাদের তেল বাণিজ্যের বাইরে রাজস্ব বাড়ানোর এবং আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে প্রকৃতি প্রেমি এবং কৌতূহলী ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অনন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের নতুন করে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশসহ প্রায় ৪৯ টি দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের নাগরিকদের নতুন নিয়মে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
এক্ষেত্রে ভ্রমণের আগে পিসিআর পরীক্ষা এবং অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার,বায়োটেক অথবা মডার্না টিকার দুটি ডোজ নেয়ার সার্টিফিকেট কিংবা জনসন অ্যান্ড জনসনের উৎপাদিত টিকার একটি ডোজ নেয়ার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
তবে চীনা সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাক টিকা গ্রহনকারীদের অবশ্যই অন্যান্য ভ্যাকসিন থেকে তৃতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২৯ মে সৌদি আরবে বিমান ফ্লাইট শুরু
সৌদি আরবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশিদের নিয়োগের আহ্বান
৩ বছর আগে