৫৬ বছর
৫৬ বছর পর চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ
দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে নিয়মিত মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে প্রেরণ করে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হলো- বেনাপোল (বাংলাদেশ) - পেট্রাপোল (ভারত), দর্শনা (বাংলাদেশ)-গেদে (ভারত), রহনপুর (বাংলাদেশ)-সিংহাবাদ (ভারত), বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (ভারত)। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি থেকে পরীক্ষামূলক বাংলাদেশের রেল ইঞ্জিন ভারতে ট্রায়াল
ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই উভয় দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পূর্ববর্তী সমস্ত রেল সংযোগ পুনরায় কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ফলস্বরূপ রেল সংযোগটিকে পুনঃস্থাপিত করার কাজ হাতে নেয় উভয় দেশের সরকার।
পুনঃস্থাপনের পর, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে চিলাহাটি (বাংলাদেশ) এবং হলদিবাড়ি (ভারত) রেল সংযোগটি উদ্বোধন করেন।
এই রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার পঞ্চম রেল সংযোগ হিসেবে পুনরায় চালু হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ও টিম্বার ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত।
চালু হওয়া এই রেল সংযোগ বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে।
৩ বছর আগে