সেজান জুস কারখানায় আগুন
সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৫ লাশ শনাক্ত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডের সেজান জুসের কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক শাখা।
ডিএনএ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের পরেই সিআইডি লাশগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে।
জেলা প্রশাসন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকাসহ লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে রবিবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আর পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘আগুনে পোড়া ৪৯টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে নিহতদের পরিবারের ৬৬ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে থেকে এরই মধ্যে ৪৫ জনের লাশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি চার জনের লাশ শনাক্তের কাজ চলছে।’
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও তদন্ত প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ করছি। যার কাছ থেকে যা যা তথ্য পেয়েছি সবগুলো গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে তদন্ত কাজ করছি।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে কিনা সেটি আমাকে এখনও জানানো হয়নি। তবে সিআইডি আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে আমরা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বুঝে নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।’
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন ৪ দিনের রিমান্ডে
লাশ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জের হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বাকি লাশগুলো আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। ফলে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।
৩ বছর আগে