চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
কমিটি গঠন নিয়ে ইন্টার্নদের ধর্মঘট, শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের ধর্মঘট।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আজ বুধবারেও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেলে এ আন্দোলন চলবে।
মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটি দুটির পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা সেবা বন্ধ করে দেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একজন নবগঠিত ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ডা. নাজমুল হাসান বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকে সঙ্গে আলোচনা চলছে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে মিটিং করবো। এতেও যদি আমাদের দাবি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পদ না দেওয়া হয় তাহলে এ ধর্মঘট চলবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েসন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েশনের দুটি কমিটি সুপারিশ করেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতী পালন করছেন। অন্যদিকে কমিটিতে সন্তুষ্ট চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
৭ মাস আগে
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের ১৬ শয্যার অত্যাধুনিক ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) প্রথম শ্রেণির সব পদই শূন্য রয়েছে। ২০১৬ সালে স্থাপিত এই আইসিইউতে এখন পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বর্তমানে ওই হাসপাতালের একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন রোস্টারের মাধ্যমে করোনা রোগীদের জন্য কোনমতে ইউনিটটি চালু রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট জনবল না থাকায় এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু জীবনের বিনিময়ে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই আইসিইউতে একজন সহকারী অধ্যাপক, দুজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, দুজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও দুজন মেডিকেল অফিসার নিয়মানুযায়ী থাকার কথা। তবে প্রথম শ্রেণির এই সাতটি পদই এযাবত পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। নির্ধারিত জনবল না থাকায় বর্তমানে বিএসএমএমসি হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনন্ত কুমার বিশ্বাস অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে এই আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর সনাক সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, বিএসএমএমসি হাসপাতালের এই আইসিইউ বিভাগটি অত্যাধুনিক মানের। এখানে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই, ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো, নজেল ক্যানোলাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত উৎপাদনের আশায় ফরিদপুরের‘সোনালী আঁশ’ চাষিরা
তিনি বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্য কোন হাসপাতালে এই অত্যাধুনিক সুবিধা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও গুরুতর রোগীদের এখানে প্রেরণ করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের একমাত্র এই সম্বল আইসিইউতে রোগী সেবা পাওয়ায় বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়।
তিনি জরুরি ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের আইসিইউ বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল দেয়ার দাবি জানান।
৩ বছর আগে