স্টেডিয়াম
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৩তম আসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেট টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠতে যাচ্ছে চলতে বছরের ৫ অক্টোবর, চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। গতবারের মতো এবারও ক্রিকেট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে ১০টি দেশ। এবার প্রথমবারের মতো এককভাবে পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লাখনৌ, মুম্বাই এবং পুনের স্টেডিয়ামগুলো এখন প্রস্তুতির চূড়ান্ত মূহুর্তে। চলুন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরের ভেন্যুগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ভারতের ১০ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপ
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি পূর্বে পরিচিত ছিলো মোটেরা স্টেডিয়াম নামে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম, যেখানে ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। স্টেডিয়ামটি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন। ২০২১-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নাম পরিবর্তন করে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছিলো ১৯৮৩ সালে। প্রথম সংস্কার হয় ২০০৬ সালে। নতুন ডিজাইনে স্টেডিয়ামটির জায়গা ৬৩ একর। এখানে প্রবেশপথ রয়েছে তিনটি। যেগুলোর একটির সাথে একটি মেট্রো লাইন সংযুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো ক্রিকেট মাঠে সাধারণ ফ্লাডলাইটের পরিবর্তে ছাদে এলইডি লাইট। ছাদটির ডিজাইন করা হয়েছে বিশেষভাবে হালকা এবং বসার সারি থেকে আলাদা করে। যাতে এটি মোটামুটি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হয়। কাঠামোতে কোন স্তম্ভ না থাকায় স্টেডিয়ামের যেকোনো স্থান থেকে দর্শকদের পুরো মাঠ দেখতে কোন সমস্যা হয় না।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরের ফাইনাল ম্যাচসহ মোট ৫টি খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: Crickex.in লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩: গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি সই
এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম, চেন্নাই
মুথিয়া আন্নামালাই বা এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম ভারতের চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। যার আরেক নাম চেপাউক স্টেডিয়াম। বঙ্গোপসাগরের ধারে মেরিনা বিচ থেকে কয়েকশ মিটার দূরে চেপাউকে এর অবস্থান। স্টেডিয়ামের উত্তরের গা ঘেষে চলে গেছে ব্যাকিংহাম খাল।
১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি সর্বপ্রথম পরিচিত ছিলো মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড নামে। পরবর্তীতে এটি মুথিয়া আন্নামালাই চিদাম্বারাম চেত্তিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। তিনি ছিলেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি এবং তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিএনসিএ)-এর প্রধান । এই স্টেডিয়াম তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড।
এর ব্যাপক সংস্কার ঘটে ২০১১ সালে। প্রথমে এর স্তম্ভ সহ পুরোনো ছাদ পুরোনো স্টেডিয়ামের দৃশ্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সংস্কারের পর তা তারের দ্বারা একত্রে রাখা হালকা চতুর্ভুজ শঙ্কুযুক্ত ছাদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে পুরো স্টেডিয়াম দেখতে এখন আর কোনো বাধা নেই।
স্টেডিয়ামে বর্তমানে ৫০ হাজার দর্শক বসতে পারে। এই ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
ইডেন গার্ডেন, কলকাতা
‘ক্রিকেটের কলোসিয়াম’ ‘ভারতীয় ক্রিকেটের আতুর ঘর’, অথবা ‘ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা’। এ সবগুলো বিশেষণেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত পশ্চিমবঙ্গের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। ভারতের প্রাচীনতম এই ক্রিকেট ভেন্যুটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৪ সালে। গোটা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সারা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ৬৬ হাজার দর্শক।
ইডেন গার্ডেন ওডিআই বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ সহ বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজন করেছে। এছাড়াও স্টেডিয়ামটি বেঙ্গল ক্রিকেট দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি হোস্ট করে।
ইডেন গার্ডেন তার বিশাল এবং উৎসুক দর্শকদের ভিড়ের জন্য বিখ্যাত। ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬৪ জন দর্শকের ভিড়ের রেকর্ড গড়ে। ২০১৬ সাল থেকে খেলার শুরুতে স্টেডিয়ামে একটি ঘন্টা বাজানোর প্রথা চালু হয়।
এবারের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল সহ মোট ৫টি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, দিল্লি
কলকাতার ইডেন গার্ডেনের পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ক্রিকেট ভেন্যু দিল্লির এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান নয়া দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ-এ। ১৮৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম নামে, যার নামকরণ হয়েছিলো নিকটবর্তী দুর্গ কোটলার নামে। ২০১৯-এর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ডিডিসিএ সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নামানুসারে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। বর্তমানে স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪১ হাজার ৮৪২।
২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল এই মাঠে টেস্ট ম্যাচে ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে এবং ওয়ানডে ম্যাচে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপরাজিত ছিল। তবে ২০০৯-এর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ওডিআই ম্যাচটি বাতিল হয়েছিলো পিচের প্রতিকূল অবস্থার কারণে। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ভারতে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ম্যাচটি বাতিল হওয়ার পিছনে কারণ ছিলো এলাকার বৈরী পরিবেশ। সে সময় ধোঁয়াশার ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করে দূষণ বিরোধী মুখোশ পরতে হয়েছিলো। ক্রিকেট ইতিহাসে এই বিরল দৃষ্টান্তের ফলে ভেন্যুটির নামের সঙ্গে কুখ্যাতি জড়িয়ে পড়ে।
এবারের বিশ্বকাপের মোট ৫টি খেলার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে এই মাঠটি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালুরু
কর্ণাটক সরকারের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৬৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় মঙ্গলম বা এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের। এটি আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হোম গ্রাউন্ড। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরোনো এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির অবস্থান ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। মনোরম কাবন পার্ক, কুইন্স রোড, কুবন এবং আপটাউন এমজি রোডকে পাশে নিয়ে শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রিকেট ভেন্যুটি। এটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। ওডিআই, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
পূর্বে স্টেডিয়ামটি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। পরে মঙ্গলম চিন্নাস্বামী মুদালিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এর নতুন নামকরণ করা হয়। মান্ডিয়ার মানুষ চিন্নাস্বামী পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। এছাড়া তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন।
চিন্নাস্বামী বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়। প্যানেলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিলো কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)-এর ‘গো গ্রীণ’উদ্যোগের মাধ্যমে।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ১০ দর্শনীয় স্থান
এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা
হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, সংক্ষেপে এইচপিসিএ স্টেডিয়ামের অবস্থান ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার ধর্মশালা শহরে। এইপিসিএর মালিকানায় স্টেডিয়ামটির প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। ধর্মশালা শহরটি আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার বাড়ি হিসেবে সুপরিচিত। তাই এই মনোরম ক্রিকেট ভেন্যুটি পর্যটকদের জন্যও পছন্দের জায়গা।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই ক্রিকেট মাঠটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৩ হাজার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৪৫৭ মিটার উচ্চতায় ডিম্বাকৃতির জায়গাটিকে ঘিরে আছে তুষারাবৃত হিমালয় পর্বত।
ভেন্যুটি বিশেষত আইপিএল ম্যাচের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। উচ্চতার কারণে ব্যাট্সম্যানদের বড় বড় ছক্কা মারার জন্য এর বেশ সুখ্যাতিও আছে। তবে পার্বত্য অঞ্চল এবং কনকনে শীত খেলার জন্য প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সময়গুলোতে প্রায়ই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
এবারের বিশ্বকাপে এই ভেন্যুটি মোট ৫টি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হায়দ্রাবাদ
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। উৎপলের পূর্ব উপশহরে ১৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার জন দর্শক বসতে পারে। এটি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন(এইচসিএ) এবং আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হোম গ্রাউন্ড। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে।
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ এই ভেন্যুতে তাদের প্রথম টেস্ট খেলে। সমতল ট্র্যাকের উইকেটের এই মাঠ ব্যাটসম্যান-বান্ধব এবং উচ্চ-স্কোরিং পিচ হিসাবে বিখ্যাত। এর প্যাভিলিয়ন প্রান্ত এবং উত্তর প্রান্ত নামে দু’টি প্রধান সীমানা রয়েছে। কিংবদন্তির তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর, এইচসিএ তার নামে উত্তর প্রান্তের নামকরণ করে। আর প্যাভিলিয়ন প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে শিব লাল যাদব-এর নামানুসারে।
এবারই প্রথম এই মাঠটি আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করবে। মোট ৩টি ম্যাচ নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই মাঠে খেলার জন্য।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম, মুম্বাই
মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি আইপিএল-এর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও এখানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এবং আইপিএল-এর সদর দপ্তর রয়েছে। চার্চগেট পাড়ার মেরিন ড্রাইভের কাছে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি।
পুরো মাঠটি স্থানীয় লাল মাটিতে পরিপূর্ণ, যার ফলে এর বাউন্সিং পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে। অতিরিক্ত বাউন্স ব্যাটিং-এর জন্য বেশ সুবিধাজনক হওয়ায়, বছরের পর বছর ধরে পিচটি বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে বেশি পছন্দের। অবশ্য স্টেডিয়াম বরাবর সামুদ্রিক হাওয়া প্রবাহের কারণে পেস বোলাররা এখানে কিছুটা সুবিধা পান।
স্টেডিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হলো সামনের দিকে প্রসারিত ছায়াদানকারি দীর্ঘ ছাদ। টেফলন ফ্যাব্রিকের ছাদ ওজনে তুলনামুলক হালকা এবং তাপ প্রতিরোধী। ছাদের জন্য কোন বীম সাপোর্ট নেই। ফলে দর্শকদের খেলা দেখায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। এছাড়া রয়েছে এক্সস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা, যেগুলো গরম বাতাস শুষে নেয় এবং পশ্চিমের বাতাসকে ভেতরে আসতে দেয়।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩২,০০০। এবারের টুর্নামেন্টে এখানে সেমিফাইনাল সহ মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
বিআরএসএবিভি ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লাখনৌ
বিআরএসএবিভি বা ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাধারণত ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেই সর্বাধিক পরিচিত। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের তত্ত্বাবধানে ২০১২-২০১৭ বছর রাজ্য সরকারের মেয়াদে ইকানা স্পোর্টজ সিটি এবং লাখনৌ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব হয়। এই চুক্তির অধীনেই নির্মিত হয় লাখনৌ-এর স্টেডিয়ামটি। প্রথমে ‘ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামটাই ঠিক করা হয়েছিল। পরে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে এর নামকরণ করা হয়।
২০১৭ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। সে বছর ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। এর মাধ্যমে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা ৫২তম ভারতীয় স্টেডিয়াম হওয়ার মর্যাদা লাভ করে।
ভারতের এই পঞ্চম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে ৫০ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায় এই স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে দীর্ঘ সীমানা। ভেন্যুটি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট দল এবং আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাখনৌ সুপার জায়ান্টসের হোম ভেন্যু।
এবারের বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামটি মোট ৫টি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এই স্টেডিয়ামটি ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। শহরের সীমানার উপকণ্ঠে গাহুঞ্জে গ্রামে পুনে-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলা হয়েছিলো ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে।
স্টেডিয়ামটি নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি স্যার মাইকেল হপকিন্স। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাউন্ট স্ট্যান্ড এবং এজেস বোল স্টেডিয়ামের নকশার জন্য তার জগত জোড়া খ্যাতি রয়েছে।
এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এর বালি-ভিত্তিক আউটফিল্ড উন্নত প্রযুক্তির কারণে অতি ভারী বর্ষণেও, আউটফিল্ডের পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। ফলে মাঠ কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার খেলার জন্য উপযোগী হয়ে যায়।
এই মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৭ হাজার ৪০৬ জন। এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট ৫টি খেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই স্টেডিয়ামটি।
শেষাংশ
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ভেন্যুগুলো আপগ্রেড করার জন্য ইতোমধ্যেই তহবিল দেয়া হয়েছে আয়োজক সংস্থাগুলোকে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এবং লাখনৌয়ের ইকানা স্টেডিয়ামের মতো নতুন সংযোজনগুলো দর্শকদের বেশ নজর কাড়বে। তবে পিছিয়ে থাকবে না দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও কলকাতার ইডেন গার্ডেনের মতো পুরোনোগুলোও। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গোয়াহাটির আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এবং তিরুবানান্তপুরামের গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
১ বছর আগে
ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু
এল সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরে শনিবার সালভাদোরান লিগের একটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৯জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
ন্যাশনাল সিভিল পুলিশ একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজধানী থেকে প্রায় ২৫ মাইল (৪১ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে কুসকাটলানের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ক্লাব আলিয়াঞ্জা ও এফএএসের মধ্যকার ম্যাচে নয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফার্স্ট এইড গ্রুপ রেসকিউ কমান্ডোসের মুখপাত্র কার্লোস ফুয়েন্তেসও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের মানবসৃষ্ট চাঁদ!
ফুয়েন্তেস বলেন, ‘আমরা ৯জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি। নিহতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং দুজন নারী। আমরা ৫০০ জনেরও বেশি লোকের সঙ্গে দেখা করেছি এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।’
জানা যায়, গেট বন্ধ করে দেওয়ার পর দেয়াল টপকে এবং ধাক্কা দিয়ে একটি গেট ভেঙে বিপুল সংখ্যক সমর্থক মাঠে ঢোকার চেষ্টা করলে এ মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কালোবাজারিরা অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেছিল। যার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়।
সেসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ম্যাচ শুরুর ১৬ মিনিটের মধ্যে খেলা স্থগিত করতে বাধ্য হন আয়োজকরা। ঠেলাঠেলি-হুড়োহুড়িতে পায়ের নীচে পিষ্ট হন বেশিরভাগ মানুষ।
এল সালভাদর সরকারের ফার্স্ট ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট পেড্রো হার্নান্দেজ বলেছেন, প্রাথমিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন যে ভক্তরা ধাক্কা দিয়ে স্টেডিয়ামের একটি গেট ভাঙার চেষ্টা করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাতীয় সিভিল পুলিশ কমিশনার মাউরিসিও আরিজা চিকাস বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সঙ্গে মিলে একটি ফৌজদারি তদন্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা টিকিট বিক্রি বিষয়ে তদন্ত করবো। বিশেষ করে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গেটে টিকিট বুথ নিয়ে তদন্ত হবে, যে গেটটি ধাক্কা দিয়ে খোলা হয়েছিল।’
সালভাদোরান সকার ফেডারেশন একটি বিবৃতিতে যা ঘটেছে তার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রাণঘাতী বন্যা জলবায়ু বিপর্যয়ের সর্বশেষ চরমতম উদাহরণ
ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
১ বছর আগে
মহিলা ফুটবল: বসুন্ধরা কিংস, এআরবি কলেজের বিশাল জয়
বসুন্ধরা কিংস এবং আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব বসুন্ধরা গ্রুপ মহিলা ফুটবল লীগ ‘২০২১-২২’-এ তাদের সর্বাত্মক জয় বজায় রেখেছে।
বুধবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ শিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দল দু’টি তাদের এই ফলাফল ধরে রাখে।
দিনের ম্যাচের পর উভয় দলই সম্পূর্ণভাবে লীগে আধিপত্য বিস্তার করে টানা ৯টি ম্যাচ থেকে পূর্ণ ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। ২৯ ডিসেম্বর লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে ১১তম এবং শেষ রাউন্ডের ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: বাঘিনীদের রাজসিক বরণ
কিন্তু গোল ব্যবধানে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
দিনের প্রথম ম্যাচে স্ট্রাইকার সানজিদা আক্তারের হ্যাটট্রিকে বসুন্ধরা কিংস আজ বিকালে কুমিল্লা ইউনাইটেড ক্লাবের বিপক্ষে ১২-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে।
তিন গোলে সানজিদার হ্যাটট্রিক ছাড়াও, শিরাত জাহান স্বপ্না এবং মার্জিয়া দু’টি করে গোল করেন এবং কিংসের পক্ষে সাবিনা, শিউলি, মারিয়া, মাসুরা এবং রূপনা একটি করে গোল করেন। যা প্রথমার্ধে ৯-০ গোলের ব্যবধান তৈরি করে।
বুধবার বিকালে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ৮-০ গোলে পরাজিত করে।
বিজয়ীদের পক্ষে রিপা ও মাহফুজা দু’বার করে এবং কোহাটি, স্বপ্না, নওসন ও মিরোনা একটি করে গোল করেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল: ১-১ গোলে ড্র শেখ জামাল-বসুন্ধরা
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
২ বছর আগে
ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
২০২২ এর ২০ নভেম্বর দিনটিকে সামনে রেখে গোটা ফুটবল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। কাতারের মত একটি আরব দেশ প্রথমবারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় স্পোর্ট্স ইভেন্ট-ফিফা (ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) বিশ্বকাপ। প্রতিটি স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমিদের জায়গাগুলো সুসজ্জিত থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ রাখা সৌর-চালিত কুলিং প্রযুক্তি দিয়ে। এছাড়াও ৮টি স্টেডিয়ামের সবগুলোই হবে পরিবেশ বান্ধব এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর স্টেডিয়ামগুলো হলো-আল বাইত, লুসাইল, আহমদ বিন আলী, আল জানুব, আল থুমামা, এডুকেশন সিটি, খলিফা ইন্টারন্যাশনাল ও স্টেডিয়াম-৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপ মৌসুমের এই সূচনালগ্নে চলুন, এবার স্টেডিয়ামগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়াম
দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৮০,০০০
মধ্য দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে লুসাইল শহরে এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। এর উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২২ এর ১১ আগস্ট আল রাইয়ান এবং আল আরাবির মধ্যকার কাতার স্টারস লিগের ম্যাচ দিয়ে। এখানে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল খেলা।
চারপাশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জাকজমক ভাবে নির্মিত এর অপরিমেয় অথচ সূক্ষ্ম নকশাটি এক অপার বিস্ময়। নকশাটি সমগ্র আরব এবং ইসলামিক বিশ্ব জুড়ে পাওয়া হাতে তৈরি বাটির। আর আলোক ছটা দেয়া আয়নাগুলো ফানার নামের আরব্য লণ্ঠনের অবয়বে তৈরি। সোনালী বাহ্যিক অংশটি পুরনো ধাতব হস্তশিল্পের প্রতিলিপির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আছে।
এখানে টুর্নামেন্টের মোট দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের শেষ হলে স্টেডিয়ামটিকে কাতারের স্কুল, দোকান, ক্যাফে, খেলাধুলার সুবিধা এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিকের একটি কমিউনিটি স্পেসে রূপান্তরিত করা হবে।
আল বাইত স্টেডিয়াম
দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৬০,০০০
দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে আল খোর শহরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২১ এর ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের প্রথম ম্যাচ দিয়ে। এখানে ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এর উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একটি সেমিফাইনাল সহ টুর্নামেন্টের মোট নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে।
২ বছর আগে
দলের হাল ধরতে সাকিবের দ্রুত ফিফটি
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত ফিফটি করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিবের দ্রুত ফিফটি ও লিটনের ফিফটির সুবাধে বাংলাদেশ লিড নিতে সক্ষম হয়েছে। তবে দলীয় রানে চ্যালেঞ্জিং স্কোর যোগ করার আগেই দুজনে মাঠ ছাড়েন।
এদিকে মুমিনুল হক ও তামিম ইকবালের পর তৃতীয় দ্রুততম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে লিটন পূর্ণ করলেন দুই হাজার রান।
এর আগে চার উইকেটে ৩৪ রানে চতুর্থ দিন শেষ করে ছিলো বাংলাদেশ। অপরাজিত ছিলেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম দিনের সকালের সেশনে বাংলাদেশ মুশফিককে হারিয়েছে মাত্র ২৩ রান যোগ হতেই।
এর আগে লিটন ও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ। জবাবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে ৫০৬ রান করে ১৪১ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিক
২ বছর আগে
সাকিবের পাঁচ উইকেট, শ্রীলঙ্কার ১৪১ রানের লিড
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৯৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে টেস্টে সাকিব আল হাসান আবারও পাঁচ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন।
এই ফরম্যাটে এটি ছিল সাকিবের ১৯তম পাঁচ উইকেট শিকার।
তবে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং দিনেশ চান্ডিমালের জোড়া সেঞ্চুরিতে ১৪১ রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: উইকেটবিহীন সেশন, লিড নিয়ে লাঞ্চে শ্রীলঙ্কা
চান্ডিমাল ১২৪ রানে আউট হলেও ম্যাথিউস ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব পাঁচটি এবং এবাদত হোসেন চারটি করে উইকেট নেন।
ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথুস ও চান্ডিমালের ১৯৯ রানের জুটিতে ১৪১ রানের লিড নিয়ে ৫০৬ রানে ইনিংস শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে মুশফিকুর রহীম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬৫
২ বছর আগে
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয় টাইগারদের
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারাল বাংলাদেশ।
নাসুম আহমেদের ৪ উইকেট শিকারে এই দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ। দলের সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে।
১৩১ রানের জবাবে মাঠে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অজিরা। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে অজি অধিনায়ক হাল ধরার চেষ্টা করলেও নাসুম আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন নাসুম আহমেদ।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ে টাইগারদের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
৩ বছর আগে