হত্যাকান্ড
বুরকিনা ফাসোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫৫
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে সপ্তাহান্তে বন্দুকধারীরা অন্তত ৫৫ জনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ইসলামিক চরমপন্থীদের একটি দল এসকল হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ ৫৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সরকারের মুখপাত্র ওয়েন্ডকৌনি জোয়েল লিওনেল বিলগো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনো প্রদেশের সেতেঙ্গায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
গত দুই বছরে বুরকিনা ফাসোতে ইসলামিক চরমপন্থীদের দায়ী করা সহিংসতায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেছে। আরও দুই মিলিয়ন মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় নেতার ওপর হামলা
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আসফাকোজ্জোহা এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা পুরাতন সার্কিট হাউজ এখন ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর’
অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের নজিরসহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে বিভিন্ন দেশের আদালত কর্তৃক প্রকাশিত রায়ের নজির রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৮২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের দ্বারা গঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্র এবং তৎপরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন চেয়ে রিট দায়ের করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রে কারা ছিল, কারা সুবিধাভোগী, কারা বিচার হতে দেয়নি, কাদের ব্যর্থতা এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার: নভেম্বরে প্যারিস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটি ছিল একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বুধবার সকালে ভোলার লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মরণসভা ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য প্রদানকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে হলেও আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব: নানক
তিনি আরও বলেন, আগস্ট মাস শোকাবহ মাস। এই মাসে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি জাময়াত খালেদা জিয়া, মতিউর রহমান নিজামী ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান গ্রেনেড ব্যবহার করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, মীর জাফরের প্রেতাত্মা ও খুনি মোস্তাকের অনুসারীরা এখনও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদেরকে শক্ত হাতে দমনের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
পরে জাতির পিতাসহ সকল শাহাদাত বরণকরীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত ও প্রায় ৫শ’ দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, সহ-সভাপতি আবদুল মালেকসহ উপজেলা আওয়ালী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
৩ বছর আগে
সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন এবং তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকা দুটির মুজিববর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সচিব মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিএফপি’র মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।
‘জিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত’ -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ফখরুল সাহেবরা প্রতিবছর আগস্ট মাস এলেই এ কথাগুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় সাক্ষী ও আসামিরা যে জবানবন্দি দিয়েছে সেগুলো রেকর্ডেড। তারা জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবে বলেছে কখন, কোথায় জিয়াউর রহমানের সাথে বৈঠক হয়েছে, জিয়াউর রহমান কি বলেছে, কিভাবে সম্মতি দিয়েছে। তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আমি মির্জা ফখরুলকে এ ধরণের জঘন্য মিথ্যাচার পরিহার করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের ‘প্রসিডিং’টা পড়ার জন্য অনুরোধ জানাবো, প্রয়োজনে বিচারের বৃত্তান্ত জনসম্মুখে নিয়ে আসবো। তাহলে মানুষ জানতে পারবে আসামিরা তাদের জবানবন্দিতে কি স্বীকার করেছে।
‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত ছিল এটা কর্নেল ফারুক এবং রশিদ দু’জনই ১৯৭৬ সালে আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিভিশনে চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্বীকার করেছে’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিয়া যদি মোশতাকের আস্থাভাজনই না হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানকে কেন সেনাপ্রধান করা হলো? বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচাইতে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রজ্জ্বালিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল তা নয়, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় কারো বাড়িতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় বা খাবার পেয়েছে জানতে পারলেই পাকিস্তানি সেনা কিম্বা রাজাকার, আলবদররা সেই বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। আর জিয়াউর রহমান রণাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী এবং পুত্ররা পাকিস্তানিদের কাছে মেহমানের মতো থাকে, এ থেকেই তো গোমরটা বোঝা যায়, আসলে জিয়াউর রহমান কি ছিল! মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিয়াউর রহমানের কাছে পাকিস্তানি কর্নেল বেগের যে চিঠিতে লেখা ‘তুমি চিন্তা করো না, তোমার স্ত্রী-পুত্ররা ভালো আছে এবং তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’- এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই মিথ্যার ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি। মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এখন তাদের দলও ছোট হয়ে আসছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী এসময় নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকার মুজিববর্ষ সংখ্যা প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার জন্য এ প্রকাশনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি, জাতি সত্তা সৃষ্টি হওয়ার পর প্রথম বাংলাদেশ নামের এ রাষ্ট্রের রচনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালিদের জন্য পৃথীবিতে এটিই একমাত্র জাতি রাষ্ট্র। তাই বঙ্গবন্ধুকে এবং তার আদর্শকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া ও খালেদা দুজনই হত্যার রাজনীতির পথে হেঁটেছেন: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে