কাকরাইল
শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি
রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় শনিবার সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার ময়নুল হাসানের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিএমপি অধ্যাদেশের ২৯ ধারা অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবর রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠিসোঁটা হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাপা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৫৩৮ মামলা, জরিমানা ৬২ লাখ টাকা: ডিএমপি
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, রাজধানীর কাকরাইলে জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, বিএনপির কয়েকজন কাকরাইলে আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
হারুন-অর-রশীদ বলেন, 'আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
সহিংসতায় জড়িত বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যাত্রা শুরু করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে।
পরে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়েছে দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো হুমকি নেই: ডিবি প্রধান
১ বছর আগে
কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রাজধানীর কাকরাইলে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে শনিবার বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে- আজকের মহাসমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে এখানে জমা হয়েছিলেন।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাকরাইলে অভিযান চালায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ওই এলাকায় (নয়াপল্টন) বেশ কতগুলো ককটেল চার্জ করা হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পুলিশ ও ডিবি একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি গাড়ি, প্ল্যাকার্ড, খাবার রান্নার সরঞ্জাম, অনেক লাঠিসোঁটা, রড এবং অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।’
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ১৫-২০টি বোমা চার্জ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
হারুন বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অথবা মহাসমাবেশে কেউ যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। রাজধানীজুড়ে এরকম আরও ৭-৮টি ভবন আছে। সেখানেও এরকম সমাগম হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা সেখানেও অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক
১ বছর আগে
এসএ পরিবহনের পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের কাকরাইল অফিসে আগুন
রাজধানীর কাকরাইলে একটি চারতলা ভবনে সোমবার (৯ অক্টোবর) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা ১০মিনিটে এসএ পরিবহন কার্যালয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে চলন্ত বাসে আগুন, আহত ১০
ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
১ বছর আগে
রাজধানীর কাকরাইলে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত
রাজধানীর কাকরাইলে দ্রুতগামী পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় সোমবার রাতে ৬৫ বছর বয়সী এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন।
নিহত তাজুল ইসলাম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাসিন্দা এবং ঢাকার রামপুরা টিভি স্টেশন এলাকায় থাকতেন।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোমেন মিয়া বলেন, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্সের সামনে পিকআপ ভ্যানটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে তাজুল গুরুতর আহত হয়।
রাত সোয়া ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এসআই।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে দুর্ঘটনায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক নিহত
বাঁশখালীতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক খুন
১ বছর আগে
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় সোমবার রাতে কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার কর্মকার জানান, মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল এলাকা পার হওয়ার সময় শাহ সিমেন্টের একটি কাভার্ড ভ্যান শহিদুলকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
২ বছর আগে
আবারও হাব সভাপতি তসলিম
হজ এজেন্সিস এসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (হাব) এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেল প্রধান এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান খন্দকার শামসুল আলম এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
বিজয়ী সভাপতি তসলিম ভোট পেয়েছেন ৬৫০। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের প্যানেল প্রধান আবদুস ছোবহান ভূইয়া পেয়েছেন ৭৯ ভোট। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একযোগে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ক্র্যাবের নতুন কমিটির সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বিকু
নির্বাচনে একই প্যানেল থেকে ২৭ জন কেন্দ্রীয় সদস্য ও ১৩ জন ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কমিটিরে ৭জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সিলেট আঞ্চলিক কমিটিতে ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। বিজয়ী নেতারা পরবর্তীতে তাদের মহাসচিব নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আমাদের অতীত কার্যক্রম দেখে তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দেবো। সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং এজেন্সির সুখে দুখে পাশে থাকবো। তাদের কল্যাণে যখন যা করা দরকার আমি সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করবো।’
‘করোনায় আর্থিক সঙ্কট দূরীকরণে হজ এজেন্সির মালিকদের সরকারি প্রণোদনা ব্যবস্থার সহযোগিতা, এজেন্সির জামানত থেকে দশ লাখ টাকা করে অর্থযোগান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলোকে সরকারি রাজস্ববাবদ পাঁচ কোটি টাকা মওকুফ, বিশেষ করে এজেন্সি মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাদের উত্তরাধীকারীগণকে তিন লাখ টাকা প্রদাণে সিদ্ধান্তসহ নানা ইতিবাচক কাজকর্মের কারণে’ ভোটাররা এবার হাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেলকে নির্বাচিত করেছেন বলেও জানান হাবের নতুন সভাপতি তসলিম।নির্বাচনে মোট ৭২৮ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিচক্র: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত বলেই জাতির পিতার পরিবার-পরিজনকে হত্যা করেছে। আর সেই খুনিদের পৃষ্ঠপোষকেরাও বঙ্গবন্ধুর ছায়াকে ভয় পায়। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, অস্বীকার করার অপচেষ্টা চালায়।'
তথ্যমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের তিন সংস্থা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড আয়োজিত 'সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে জাতির সামনে প্রশ্ন, তারা কেন বঙ্গমাতাকে হত্যা করলো, তারা কেন ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করলো? আসলে খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত বিধায় তারা বঙ্গমাতা থেকে ছোট্ট শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। আর সেই খুনিচক্রের দোসরেরা এখনও বাংলাদেশে আস্ফালন করে।
কিন্তু ক্রমাগতভাবে যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেছে, খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, আস্তে আস্তে তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাচ্ছে, মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বঙ্গমাতা আজীবন বঙ্গবন্ধুর ছায়ার মতো সঙ্গী ছিলেন, মরণেও তিনি সঙ্গী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতকের দল যে কামরায় বঙ্গমাতা ছিলেন সেখানে হাজির হলে তখন তিনি নিজেই বলেছিলেন তোমরা তাকে মেরেছো আমাকে এখানেই মেরে ফেলো। এই বলেই তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন।'
মানুষের সাফল্যের পেছনে জীবন সাথীর একটি বড় ভূমিকা থাকে, যা ছাড়া মানুষের পক্ষে সফল হওয়া কঠিন আর বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে সেটি আরও বেশি সত্য ছিল, উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে করোনার টিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটি কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
ড. হাছান বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশে টিকাদান শুরুর সময়েই বাংলাদেশ যখন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন থেকেই বিএনপি নেতারা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, বলেছে টিকা নিলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। তারাই আবার পরে লজ্জায় গোপনে এবং কেউ কেউ প্রকাশ্যেই টিকা নিয়েছেন। মাঝখানে ভারতের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় টিকা আসতে দেরির সময়ও বিএনপি সমালোচনা করতে পিছপা হয়নি। কিন্তু এখন সরকার কোটি কোটি ডোজের সংস্থান করে গণ টিকাদানের ব্যবস্থা করেছে দেখে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, নিকটতম প্রাজ্ঞ সহকর্মী ও সবচেয়ে বড় প্রেরণাদাত্রীও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হচ্ছে বলেই আজ আমরা বঙ্গমাতার জন্মদিন পালন করতে পারছি, আগে তা সম্ভব হয়নি।
সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাথে সারাজীবন ত্যাগ-তিতিক্ষা, ধৈর্য ও সংগ্রামের যে নজীর বঙ্গমাতা স্থাপন করেছেন ইতিহাসে তার তুলনা নেই। আমরা তাকে পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
এসময় আরো বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম' প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
৩ বছর আগে