দারিদ্র্যসীমা
'স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১২,৫০০ ডলার, দারিদ্র্যসীমা ৩ শতাংশের কম হবে'
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলার এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এ ২০৪১ সালের মধ্যে অর্জন করা লক্ষ্যমাত্রা-তে ৩ শতাংশেরও কম মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের 'স্মার্ট বাংলাদেশে' মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে সাড়ে ১২ হাজার ডলার; ৩ শতাংশেরও কম মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে এবং চরম দারিদ্র্য শূন্যে নেমে আসবে; মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে; বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ২০ শতাংশের ওপরে হবে; এবং বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।’
২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধির টেকসই ভিত্তি স্থাপন করেছে।
‘এর ভিত্তিতেই ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা অনুযায়ী আমাদের 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হবে। চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে- (১) স্মার্ট নাগরিক (২) স্মার্ট সরকার (৩) স্মার্ট সোসাইটি এবং (৪) স্মার্ট ইকোনমি।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে
তিনি বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে বাংলাদেশ শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জন করবে। ‘স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে সবার দোরগোড়ায়। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং টেকসই নগরায়ন সহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা তাদের দোরগোড়ায় থাকবে। একটি কাগজবিহীন এবং নগদবিহীন সমাজ তৈরি করা হবে।’
সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান মেয়াদের জন্য আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এখন তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মহৎ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন, যা জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
করোনায় কর্মহীনদের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দাবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের কাছে করোনায় কর্মহীনদের পরিবারের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মহামারিজনিত কারণে যারা বেকার হয়ে গেছেন তাদের পরিবারের কয়েক কোটি সদস্য ভালো অবস্থায় নেই। সুতরাং, সরকারের জন্য প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা এই দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই মহামারির এই সংকটময় সময়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, করোনার সময়কালে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। যেখানে মহামারির আগে দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ ছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করার জন্য সরকারের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল।
৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৬ জন অধিবাসীর একটি নির্বাচনী আসনে বার্ষিক সরকারি সহায়তা বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকার প্রায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ জন (প্রায় ৩৩ শতাংশ) দরিদ্র। সরকার ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এই এলাকায় এক কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে। শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের পাশাপাশি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৯ টাকা মূল্যের খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে এবং মোট বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ টাকা। সুতরাং, মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল বছরে ১৯১ টাকা এবং মাসে মাত্র ১৬ টাকা। একজন দরিদ্র ব্যক্তি কিভাবে প্রতি মাসে মাত্র ১৬ টাকা সরকারি সাহায্য নিয়ে বাঁচবে?
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের এ ব্যাপারে আরও বলেন, আমি সরকারের কাছে দাবি করছি যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে (কর্মহীনদের) প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করুন। যদি স্বচ্ছভাবে দুই কোটি পরিবারের মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হয়, তাহলে তা দরিদ্রদের জন্য একটি বড় সাহায্য হবে। এতে প্রতি মাসে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি
৩ বছর আগে