জীবনাদর্শ
খানবাহাদুর আহছানউল্লার জীবনাদর্শ তরুণ প্রজন্মের জন্য পাথেয়!
নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লাকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
এমনকি তার উদারতা, মানবতা সৃষ্টি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে।
খানবাহাদুর আহছানউল্লা অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতেও অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার হলে হজরত খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র.)- এর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ্য হিসেবে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য শীর্ষক’ সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, খানবাহাদুর আহছাউল্লা (র.) রচিত গ্রন্থ ও কর্মজীবন থেকে তরুণদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেওয়ার আছে।
তিনি আরও বলেন, খানবাহাদুর আহছাউল্লার আদর্শ ও ধ্যান-ধারণাকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র) এর জীবন ও সমাজ গঠনে তার যে অবদান সেগুলো সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল যুগে খানবাহাদুর আহছানউল্লা সম্পর্কে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ করে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবি মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, আমরা মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শামীমা ইসলাম তুষ্টি, এটিএন বাংলার সংবাদ পাঠিকা শারমিন মিশু।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
‘তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বিশ্বমানের করার দাবি’
১০ মাস আগে
বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ হোক সকল নারীর অনুকরণীয়: রাবাব ফাতিমা
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তার অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গমাতা- সংকটে সংগ্রামে নির্ভিক সহযাত্রী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেছে এই প্রতিপাদ্যে। জাতির পিতার দীর্ঘ গৌরবময় সংগ্রামে, সকল সঙ্কটে অকুতোভয়, নির্ভিক সহযাত্রী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। সঙ্কটময় রাজনৈতিক জীবন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে শক্তি যুগিয়েছেন। তাই বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মুল্যবোধ হোক সকল নারীর অনুকরণীয় আদর্শ।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তার সম্পর্কে কথা বলি তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা।
আরও পড়ুন: বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গমাতার আদর্শ ও আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিচক্র: তথ্যমন্ত্রী
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে -কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কিভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, উদার-মানবিক হৃদয় এবং সাদামাঠা জীবন যাপনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এমন মানবিক উদারতা ও দূরদর্শীতা বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই উৎসারিত হয়েছে।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান করাকে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গমাতাকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন মিশনের কর্মকর্তারা।
৩ বছর আগে