ভিকারুননিসা
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ
বয়স জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (১৪ জুলাই) পৃথক লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে
আদালতে লিভ টু আপিলকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ।
আর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল। হাইকোর্টের রায় অনুসারে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এখন শিক্ষার্থী ভর্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের আইনগত কোনো বাধা নেই।’
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল: হাইকোর্ট
যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
৪ মাস আগে
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার (২৬ মে) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত নো অর্ডার দেন। এতে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল: হাইকোর্ট
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান বলেন, ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে বহাল রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের রায় বহাল থাকছে।
আদালতে শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এর আগে গত ২১মে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাতিল হওয়া আসনগুলোতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে আসন পূরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া ভর্তি বাতিল হওয়াদের অনলাইন সিস্টেমে আবেদন ও ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ছিল কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৫ মাস আগে
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল: হাইকোর্ট
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাতিল হওয়া আসনগুলোতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে আসন পূরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়ম ছিল কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
আর ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
রায়ের পর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, হাইকোর্ট ভিকারুন্নিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তির বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব গাফিলতি আছে, তা কাভার হবে। কিন্তু রায়ে যারা দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোথাও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পান। কেউ বলতে পারবে না লটারিতে দুর্নীতি হয়েছে। আবার গার্ডিয়ানদের কোন জালিয়াতি বা গাফিলতি ছিল-এটাও কেউ বলতে পারবে না। গাফিলতি থাকলে মাউশির অথবা ভিকারুন্নিসা কর্তৃপক্ষের ছিল। যাদের দায় ছিল, তাদের কেউ ভিকটিম হলো না, ভিকটিম হলো ১৬৯ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। উন্নত কোন দেশ হলে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট করার জন্য অন্তত এক মিলিয়ন করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেত। যাইহোক আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যাব। আশা করি সেখানে ন্যায় বিচার পাব।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
যেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি উল্লেখ করে বলা হয় যে, ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৬৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে গত ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সেইসঙ্গে এই সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমানদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ জারি করেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ ধ্বংস করতে ফার্মা সল্যুশনসকে হাইকোর্টের নির্দেশ
প্রার্থিতা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল, সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
৬ মাস আগে
ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম দীপু ও আরও কয়েকজন তার রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনের উপর শুনানি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, বাবা-মার পরই শিক্ষকের অবস্থান। পরিবারে বাবা-মা আর সামাজিক জীবনে শিক্ষকই হলেন বাবা-মা। তারা যদি এই রকম কাজ করেন তাহলে তাকে কী বলা যায়? তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। রক্ষক এ ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার গণিত শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, মুরাদ হোসেন শিক্ষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। আজীবন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিন ওই স্কুলের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা শিকার মাত্র।
ঘটনার দিন অভিযোগকারী মেয়ের মা স্কুলের বাইরে প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন, কখন এ ঘটনা ঘটল- এমন প্রশ্ন তুলে আসামিপক্ষ বলে কথিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত ২২ তারিখে তিন সদস্যের কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দেয় যেখানে মুরাদকে নির্দোষ বলা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া সোমবার রাতে ভিকারুননিসা স্কুলের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বস্তিতে আগুন
৮ মাস আগে
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ শিক্ষার্থীর সহদোরাকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার এসব শিক্ষার্থীর বোন ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের করা পৃথক চারটি আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। এছাড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: ৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন জানান, চারটি আবেদনে মোট আবেদনকারী ৫৬জন। তাদের সহোদরারা ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর ১৪ বিধি অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যান্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা জমজ ভাই/ বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদন সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ওই পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৫৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত জানুয়ারিতে পৃথক রিট করেন। শুনানি হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়ে রুল দেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
১ বছর আগে
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে চলমান অবরোধ প্রত্যাহার করেছে শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করে।
মঙ্গলবার সকালে স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ধানমন্ডির মিরপুর সড়ক অবরোধ করেছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা স্কুলের ধানমন্ডি শাখা থেকে একটি মিছিল বের করে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে। এতে ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
২ বছর আগে
জমজ ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসায় ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
পৃথক ১৯টি পরিবারের জমজ ১৯ শিশুকে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জমজ ১৯ শিশুর পক্ষে প্রকৌশলী আবদুল্লাহ কবির মাহমুদ নামের এক অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
পৃথক পরিবারের ১৯ জমজ (মোট ৩৮টি শিশু) শিশু ভর্তির আবেদন করে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মোট ১৯ জন লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অপর জমজ ১৯ জনকে ভর্তি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাদের ভর্তি করার নির্দেশনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, প্রত্যেক পরিবারে জমজ বাচ্চারা সব সময় একসাথে থাকে। একসাথেই খেলাধুলা করে। তাদের চাওয়াও একইরকম। তারা প্রায় সব কাজে একজন আরেকজনকে অনুকরণ করে। এ কারণে তাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসাথে থাকাটা খুবই জরুরি। আলাদা থাকলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। তাদের যদি আলাদা কিছু দেয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। খারাপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ১৯টি পরিবারের ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পেরেছে। আর ১৯টি শিশু ভর্তি হতে পারেনি। যারা ভর্তি হতে পারেনি তাদের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদপড়াদের ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
৩ বছর আগে
ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে নিন্দনীয়: হাইকোর্ট
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই তদন্ত রিপোর্ট দেখে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের মঙ্গলবার
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালত বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড-এর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
৩ বছর আগে
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার রিটের আদেশ মঙ্গলবার
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গর্ভনিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুনঃ ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদানে ‘বাধা নেই’
উল্লেখ্য সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্যরা। তারা বলছেন, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার চলতি বছরের প্রথম দিন যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে স্কুলে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মন্ত্রী, সচিবালয় এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন গভর্নিং বোর্ডের কয়েকজন সদস্য।
৩ বছর আগে