বাংলাবাজার
বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল ৬৫ বসতঘর
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৫ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের বাংলাবাজার জলদাস পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজাদুল ইসলাম জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে আটজন দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী বাবুবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
তিনি বলেন, ভোর ৪টা ১০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। খবর পেয়ে বাঁশখালী ও পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান আজাদুল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ২৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড: হোটেল মালিক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফেরি চলাচল শুরু
দীর্ঘ ১৩ দিন পর আবারও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক ফেরি সফলভাবে ঘুরে আসার পর সোমবার দুপুর থেকে চালু করা হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফেরি সার্ভিস। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারি আকারের ফেরি সীমিত আকারে চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। ফেরিগুলো পদ্মা সেতু অতিক্রম করে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছে।
এর আগে স্রোতের গতিবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। পরে গত ৪ অক্টোবর সীমিত চালু হলেও সাত দিনের মাথায় গত ১১ অক্টোবর আবার ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৪ ও ২৬ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল সফল হলেও ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘ দিন পরে ফেরি চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানিয়েছে, হালকা যানবাহন নিয়ে দিনের বেলায় মাঝারী ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। এর আগে ১৫ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করলেও এখন চারটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া থেকে ৮৭ লঞ্চ ও ১০১ স্পিডবোটে যাত্রীরা পাড়ি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: উদ্ধার কাজ স্থগিত
ফেরি উদ্ধারে প্রয়োজনে বেসরকারি সহায়তা নেয়া হবে: বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা ষড়যন্ত্র কি না তদন্ত করতে হবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কাকে তুচ্ছ কোন ঘটনা ও নিছক কোন দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়া যাওয়া ভুল হবে। এখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না, অন্তর্ঘাত আছে কি না তদন্ত করে দেখতে হবে।
ফেরি ধাক্কার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বলবো এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করা দরকার। এখানে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।’
মন্ত্রী শিমুলিয়া বা বাংলাবাজার যে কোন একটি ঘাট স্থানান্তরের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কমিটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে উল্লেখ করে বলেন, সবগুলো বিষয় নিয়েই সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট কমিটির সভা থেকে সিদ্ধান্ত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো এর পিছনে অনেক লোক লেগে আছে। দেশ বিদেশ থেকেও লেগে আছে। বারবার কেন ঘটছে ধাক্কার ঘটনা। পদ্মা সেতু এখন জাতীয় সম্পদ। সারা দেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত আসে। সেতুটি গোটা জাতির সম্পদ। জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হয়েছে। এভাবে কেন বারেবারে পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগছে এর জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় সভাটি হবে।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক বানিজ্য আশিকুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
৩ বছর আগে