জেল
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
২ দিন আগে
সোনারগাঁয়ে জাল ভোট দেওয়ায় যুবককে ৬ মাসের জেল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ায় আবু হানিফ (১৯) নামে এক যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার বারদি ইউনিয়নের দলরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবু হানিফ দলরদী গ্রামের কবিরের ছেলে।
জানা যায়, ঘোড়া প্রতীকে সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের সমর্থক হানিফ। জাল ভোট দেওয়ার সময় হানিফ ধরা পড়ে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ মাস আগে
না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না প্রয়োজনে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও করপোরেট সকলের দায় আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা (স্লো পয়জনিং) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শ্রমিক দল আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিলেও সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কোনো অপরাধ না করেই কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিমের মতো ব্যক্তিরা অপরাধ করেও আইনের নাগালের বাইরে রয়েছেন।’
এসময় মির্জা আব্বাস ‘অবিচারের শিকল’ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এটা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির কথা নয়, এটা সারাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের ভোটাধিকারের স্বাধীনতার কথা।’
আব্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপার্সন আজ কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। এটাই আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি যদি এখন আমাদের মাঝে থাকতেন, তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন বলে আগে যে বক্তব্য দিয়েছেন-সেই বক্তব্যে অনড় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আবারও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে?
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সাংবাদিকরা মন্ত্রীদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির বিষয়টি বুঝতে হবে। আইনে যাই থাক। ইরানের খোমেনির রাজনীতি কী বন্ধ ছিল? বঙ্গবন্ধু জেলে থেকে রাজনীতি করেছেন না।
এছাড়া কনভিকশন (দণ্ডিত) হয়নি, কনভিকশন হলেই কী বঙ্গবন্ধু রাজনীতি বন্ধ করে দিতেন? আমি সেই জায়গা থেকে বলেছি। জেলে বসেও তো রাজনীতি করা যায়। আমি তো সেই কথাটিই আপনাদের বলেছিলাম। আবারও বলছি।’
আজ নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য পিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা নিয়ে ফের বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে তো বিদ্রোহী ও বিপ্লবীরা এভাবেই রাজনীতি করেছেন। খালেদা জিয়া ইলেকশনে যেতে পারবেন না, আইনের কারণে। কিন্তু তার রাজনীতির চিন্তা-চেতনা এগুলো কী তারা বন্ধ করে দেবে নাকি-যে আমি রাজনীতি করবো না।
কিন্তু আপনারা মন্ত্রিসভার সদস্যরা একমত হতে পারছেন না কেন-প্রশ্ন করলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন আব্দুর রাজ্জাক।
এরপর তিনি বলেন, ক্যাবিনেট কলিগরা বলছেন কীভাবে? আমি ওনাদের সঙ্গে কথা বলিনি, কী বলেছেন। আমাকে যদি কোনো কারণে জেল দেয়। লালু প্রসাদ কী রাজনীতি বন্ধ করেছেন?
‘আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেবও তো বলেছেন, সে (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করতে পারবেন না, আইন অনুযায়ী। সংবিধানে আছে দু-বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু রাজনীতিটা আপনি বন্ধ করবেন কেমনে?’
সংসদে শেখ ফজলুল হক সেলিম বলেছেন খালেদা জিয়া রাজনীতি না করার জন্য মুচলেকা দিয়েছেন-এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটা আমি জানি না, কোথায় মুচলেকা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। একটা জানি যে, তারেক জিয়া দিয়েছে। বিদেশে যাওয়ার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে সে-ই দিয়ে গেছে।’
খালেদা জিয়া তো এখন নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘জেলে থেকেও তো একজন মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারে। জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে? যদি সে আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ হয়, দেশপ্রেমিক হয়। গোপনে সে চিঠি লিখে পাঠালো-কর্মীদের নির্দেশনা দিলো। এটা করো, সেটা করো। আমি সেটা মিন করেছি। সেটা সে করতেই পারে।’
নির্বাচনের ১০ মাস আগে আওয়ামী লীগ এ ইসু্যটাকে সামনে আনলো কেন- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না। আমর মনে হয় এটা নিয়ে যেটুকু আলোচনা হয়েছে সেটা যথেষ্ট। আমি তো ভারতের দুটি উদাহরণ দিলামই।’
খালেদা জিয়া তো এখন নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘জেলে থেকেও তো একজন মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারে। জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে- যদি সে আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ হয়, দেশপ্রেমিক হয়। গোপনে সে চিঠি লিখে পাঠালো- কর্মীদের নির্দেশনা দিলো। এটা করো, সেটা করো। আমি সেটা মিন করেছি। সেটা সে করতেই পারে।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও একই কথা বলেন। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
যশোরে সিলিকন জেলযুক্ত ২ মেট্রিক টন চিংড়ি উদ্ধার
যশোরে দুই মেট্রিক টন সিলিকন জেলযুক্ত চিংড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাহাদুরপুরে অভিযান চালিয়ে চিংড়িভর্তি তিনটি ট্রাক জব্দ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে খুলনার মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে চিংড়ি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চোখের সামনে চিংড়ির দেহ থেকে জেল বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, জীবনে প্রথম এমন দৃশ্য দেখলাম। এভাবে আমাদেরকে বিষ খাওয়ানো হচ্ছে। সরকারের উচিত এমন জঘন্য কাজ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মানুষের জীবনের আর কোনো মূল্য নেই। এইসব ভেজাল খেয়েই আমরা অসুস্থ হয়ে পরছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ এতকিছু বুঝিনা, আমরা ভেজালমুক্ত দেশ চাই। আর সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবী,যারা এভাবে মানুষকে ঠকিয়ে রাতারাতি বড়লোক হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ১০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বারসহ আটক ১
২ বছর আগে
১৯ দিন জেলে থাকার পর জামিন পেলেন হৃদয় মন্ডল
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ মামলায় গ্রেপ্তারের ১৯ দিন পর মুন্সীগঞ্জের একটি আদালত স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলকে জামিন দিয়েছেন।
রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোতাহার আক্তার ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ শে মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে স্কুলের এক অফিস সহকারী আসাদ মিয়া ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে’র অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী ববিতা হালদার দাবি করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার জন্য, তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের (বিজ্ঞান বিভাগ) দশম শ্রেণির কিছু ছাত্র বিজ্ঞান ও ধর্মের ওপর হৃদয় মন্ডলের একটি ক্লাস কথোপকথন রেকর্ড করেছিল। যেখানে তিনি ‘ধর্মকে অসম্মান’ করেছিলেন বলে তাদের অভিযোগ।
২২ মার্চ কিছু ছাত্র হৃদয় মন্ডলের শাস্তির দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
পরে ওই দিন হাইস্কুলের একজন অফিস সহকারী (ইলেকট্রিশিয়ান) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এর জেরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্ত’ মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর স্মৃতি সিং বলেছেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা বাংলাদেশের চলমান উদ্বেগজনক প্রবণতার প্রতীক, যেখানে ক্রমশই স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। শ্রেণিকক্ষে আলোচনার জন্য একজন শিক্ষকের গ্রেপ্তার হওয়া বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা-ধারায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাউকে জেলে যেতে হতে পারে।’
স্মৃতি সিং আরও বলেছেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের এই ঘটনা বিদ্যমান সংকটের পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে, একটি দেশের স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য হুমকিস্বরূপ এই ঘটনা।’
এদিকে, শিক্ষক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক অধ্যাপক ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ক্লাসরুমে উত্থাপিত প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয়কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষক নিহত, আহত শতাধিক
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
জেল হত্যার রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘সরকার ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার জেল খানায় হত্যার ঘটনার বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন কারাগারে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কিভাবে আইন ভঙ্গ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আর যারা পলাতক আসামি রয়েছেন তাদেরকে আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি।’
আরও পড়ুন:সুন্দরবনে আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় পাব তখনি ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেল হত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্ট ঘটেছে। আর অন্যটি আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা ঘটনা। এই ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীদেরই বিচার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে এবং তাদের ফাঁসি হয়েছে।
পুরাতন কারাগার প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার: গ্রেপ্তার ৪
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বুধবার জেল হত্যা দিবস
যথাযথ মর্যাদা সহকারে বুধবার (০৩ নভেম্বর) দেশব্যাপী জেলহত্যা দিবস পালিত হবে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের এই দিনে প্রাণ হারানো জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে সীমিত আকারে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এরপর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হবে। এছাড়া দলের নেতা-কর্মীরা ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এতে আরও বলা হয়, সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘হত্যাকারীদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে তরুণ প্রজন্মের চেতনা থেকে মুছে ফেলার। পাশাপাশি একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের জন্ম দেওয়া, যা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিয়ে বাঙালিকে জাতীয় নেতাহীন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।'
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী, শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণ করে ১৫ আগস্ট ও জেল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী
এই চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: জেল হত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ
ফরিদপুরে আ’লীগের আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত
৩ বছর আগে
সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!
মিডিয়া বলছে সম্রাট পিজিতে ছিল ২৪৪ দিন। পিজি কর্তৃপক্ষ বলছে ১৫ দিন। মিডিয়ার সূত্র জেল কর্তৃপক্ষ। পাবলিক মনে করছে এটা অংকের সমস্যা, সিস্টেমের নয়। ক্যাসিনো ঝামেলায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
ব্যাপার কি?
এই প্রসঙ্গে ‘আমাদের পত্রিকা’ বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে মতামত নেয়।
সকল বিষয় সজ্ঞ বিশ্ষেজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এতো চিন্তিত হবার কিছু নেই। তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির ভালো মানুষ এবং দেশে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক কাজ করেছেন। তিনি আসলে একটু রেস্টে ছিলেন, সম্ভবত বাসাতেই ছিলেন। আমার সাথে ফোনে কথা হয় তবে ঠিকানা দেননি কারণ আমি ধরে নিয়েছি তিনি জেলেই আছেন বা পিজিতে বা বাসা। তবে মিডিয়ার সব দোষ। ধন্যবাদ।’
বিদেশে থাকা এক পন্ডিত যিনি দেশের বিষয় গবেষণা করেছেন তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টার উত্তর জানা যাবে এডওয়ার্ড সাঈদের লেখায়, দেরিদার ভাবনায়। আমাদের বুঝতে হবে যে পশ্চিমা উদার পুঁজিবাদী সমাজের আদলে জেল ব্যবস্থা চলবে না। নতুন করে ফাঁনো ও ফুকোর আদলে জেল ব্যবস্থা দরকার।’
জনৈক রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, তিনি কোনোদিনই তাকে ‘সম্রাট’ ডাকবেন না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি সবার জন্য। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সম্রাট এই দেশের রাজতন্ত্রপন্থী নাম। এই ধরণের নাম যেমন, সম্রাট, রাজা, বাদশা ইত্যাদি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
নারীবাদী কর্মী সুলতানাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি এটাকে পুরুষতন্ত্রের একটি প্রকাশ বলে জানান। তার কথা হচ্ছে, ‘আমরা দেখলাম সকল আসামি পুরুষ এবং তাদের সবার বিভিন্ন হেলথ প্রব্লেম হচ্ছে। তারা পিজিতে যাচ্ছে এবং থাকছে অথচ আমরা কেউ শুনছি না নারী জেলবাসীদের কি হচ্ছে। তাদের অনেকেরই হৃৎপিণ্ড পুরুষতন্ত্রের নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু কই তারা তো পিজিতে নেই? আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি এর সমাধানের জন্য এবং যদি না হয় আমরা দেশের বিভিন্ন জেলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি নেব।
কয়েদির কথা
করম আলী মিয়া একজন পেশাদার বাটপার। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকা জেলে ছিলেন কয়েদি হিসেবে। তার বক্তব্য হচ্ছে, জেল বলে কিছু নাই, সবই মায়া। এটি একটি জানালার মতো। কখনো খোলা কখনো বন্ধ। প্রয়োজনে জেলের দরজা খুলবে, কিন্তু খরচ করতে হবে। ‘কোথাও কি লেখা আছে যে সব সময় জেলে থাকতে হবে? আমি জেলে যেতাম মাসে একবার, কয়েকদিন থেকে আমার বাড়িতে আসতাম। ব্যবসা বাণিজ্য ভালোই চলতো, একাধিক বিয়ে করেছি, বহু সন্তান আমার, এটা কি করে সম্ভব হলো। আসলে জেল একটি মনের ব্যাপার, ভাবলে আছে, ভাবলে নেই।’
সবার সাথে আলাপ করে বোঝা গেলো এই জেল ব্যবস্থা ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সেই কাল আর নেই। তাই জেল ব্যবস্থার সংস্কার চাই। আমাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক জেলের সিস্টেম বানাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ লোকদের দীর্ঘ দিন ভেতরে রাখা ঠিক হবে না। এতে দেশের ক্ষতি। তাছাড়া জেলে এসি, ফ্রিজ কিছুই নেই, এইভাবে জেল চলতে পারে না। পিজি আর কত লোড নেবে। আমরা আশা করবো যাতে সরকার পাঁচ তারা জেলের ব্যবস্থা করেন যাতে সবাই জেলে যেতে আগ্রহী হয়!
(লেখাটা কাল্পনিক)
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে