চূড়ান্ত বরখাস্ত
দুর্নীতির দায়ে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শনিবার জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, এ বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানাবো। তার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মো. আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রোমেল, হিসাবরক্ষক মো. মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার অ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আব্দুস সালাম ও হায়তুল ইসলাম।
বরখাস্ত হওয়া এই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের চিঠিতে বরখাস্তের কারন উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুতরা।
চাকরিচ্যুত হওয়া বিসিসির পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে বরখাস্তের চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে তারা ওএসডি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মাসের বেতন পরিশোধপূর্বক ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগে বিসিসির প্রধান বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানকে উৎকোচ গ্রহণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজ শাহীনকে নামে বেনামে স্বজনদের বিপরীতে করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ দেয়া, একই অভিযোগে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বিসিসির রাস্তা খুঁড়তে সহায়তা করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এনিয়ে গত দুই বছরে দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চাকরি হারালেন ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
করোনা মোকাবিলায় তথ্য নয় বরং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন: টিআইবি
৩ বছর আগে