আ হ ম মুস্তফা কামাল
অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিভিন্ন বৈদেশিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে।
তিনি বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক মতামত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে এবং দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি রাখা হয়েছে।
কামাল রবিবার (২২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি পেনশন বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এই মাসের শুরুর দিকে আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। যেখানে বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুমান ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আবারও বলব সারা বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা একা আমাদের অর্থনীতি চালাতে পারি না। সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
একদিকে যুদ্ধ থেমে গেলে অন্য দিকে আরেক যুদ্ধ শুরু হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখন আপনারা (সাংবাদিকরা) বলেন কিভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব?’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি।
তিনি বলেন, ‘সরকার সাবস্ক্রিপশনের টাকা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের ট্রেজারি বন্ডের জন্য ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের শর্তের ভিত্তিতে বাজেট করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থপ্রদানের ভারসাম্য উন্নত হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পরিশোধের ভারসাম্যবিষয়ক উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি সংসদে বেশ কিছু ধাপ উপস্থাপন করেন।
এর মধ্যে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা; রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য সঠিক মূল্যে পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা; বাণিজ্যিক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা ধারণের সীমা হ্রাস করা; ৫ হাজার ডলারের বেশি প্রবাসী আয়ের উৎস দেখানোর বাধ্যবাধকতা রহিত করা হয়েছে এবং পাইপলাইনে বৈদেশিক অর্থায়নের বিতরণ ত্বরান্বিত করা।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রী নীরব, এস আলমের তদন্ত অব্যাহত রাখতে হবে: সংসদে চুন্নু
জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থবির শিল্প সমস্যা সমাধানে ২০০৯ সালে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি শোচনীয় অবস্থার পোশাক শিল্প এবং ২০১১ ও ২০২১৫ সালে ১০০টি শোচণীয় অবস্থার টেক্সটাইল শিল্পকে ঋণ বাতিলের সার্কুলার জারি করা হয়।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে 'কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতি ও কর্মসূচি’র আওতায় ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ঋণ বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাজার, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে বর্তমান প্রচলিত কলরেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কল রেট পুনর্নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
বর্তমানে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা ও সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ/অফার/বান্ডেলে অন-নেট এবং অফ-নেট ভয়েস কলের জন্য ট্যারিফের মধ্যে প্যাকেজ ডিজাইন করতে হবে।
সর্বোচ্চ রেট ২ টাকা হলেও অপারেটররা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ১ টাকার কম হারে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন করে।
নওগাঁ-২ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৪টি মোবাইল অপারেটর পরিচালিত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে, কোম্পানিগুলো সরকারকে ৩১৭৮.৯১ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৩ দশমিক ৭৭ ডলারে মোট ৫৯৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সমন্বিত একটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। যার প্রতি ইউনিট এলএনজি ১৪ দশমিক ৯০ টাকা করে মোট ৬৭৪ দশমিক ৩৫ কোটি টাকায় আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি পেতে ২ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি সই করবে সরকার
সিসিজিপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মরক্কোর ওসিপি থেকে ১২৯ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন (এমটি) এসপি সার আমদানি করবে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মাদেন থেকে ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
সিসিজিপি (১) দোহওয়া, কোরিয়া (২) এসএমইসি ইন্টারন্যঅশনাল প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়া; (৩) প্যান আরব কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, কুয়েত; (৪) এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং (৫) এসিই কনসাল্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ৭২ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনারেরপুল)-লক্ষীপাশা-দুমকি রোডের পাণ্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অটোমোবাইল, কৃষি, জ্বালানি ও ডিজিটাল লেনদেনসহ বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কামাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী দল বাংলাদেশ থেকে সয়াবিন তেল উৎপাদন ও রপ্তানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসা কোম্পানি এসেছে এবং তারা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে সহযোগিতা চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি বড় ভোক্তা বাজার হবে। তারা (এই খাতে) বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
তারা মনে করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি উর্বর ভূমি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, তারা যখন দায়িত্ব নেয় তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩। পরে এক মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে নেমে আসে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির জন্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে দায়ী করেছেন, যার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
১ বছর আগে
জি-২০ জোট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে: অর্থমন্ত্রী
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে জি-টোয়েন্টি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ শিগগিরই জি-২০ জোটের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
কামাল ভারতের গুজরাটে জি-টোয়েন্টি বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি হবে: বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী বলেন, জি-২০ বিশ্বের ২০টি শিল্পোন্নত দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বৈশ্বিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একত্র করার জন্য এই জোট গঠন করা হয়েছিল।
কামাল বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে এবং এই সংকট সমাধানের জন্য আমাদের আন্তরিক হতে হবে।’
তিনি বলেন, জি-টোয়েন্টি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য সুযোগ।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দুটি কার্গো, ৫০ হাজার মেট্রিক টন রাইস ব্রান অয়েল এবং ৯৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিসহ মোট ৩৪টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বৃহস্পতিবার সিসিজিপি’র ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সিসিজিপি-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে, যার প্রতিটির পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ।
প্রথম এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১২ দশমিক ৯৮ ডলার, যার মোট মূল্য ৫৫৭ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩ দশমিক ৮৫ ডলার, যার মোট মূল্য ৫৯৫ দশমিক ১০ কোটি টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় একটি কোম্পানির দুটি আউটলেট থেকে মোট ৫০ মিলিয়ন লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল আমদানি করবে।
এর মধ্যে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড, যশোর থেকে কেনা হবে এবং বাকি ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড, ঢাকা থেকে কেনা হবে।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ৯১ দশমিক ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) টিএসপি সার আমদানি করবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে ১১০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এস.এ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিকটন টিএসপি সার আমদানি করা হবে।
বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ২০৬ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এস.এ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ডিএপি সার আমদানি করবে।
১ বছর আগে
বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা মোট ১২১টি অর্থপাচার মামলা করেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদন্তের পর বন্ড সংস্থার বিরুদ্ধে অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রায় ১৫টি মামলা করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ ২০১৭ সাল থেকে বিগত পাঁচ আর্থিক বছরে অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নে জড়িত ২৪ হাজার ৯৭৭টি সন্দেহজনক লেনদেন পরীক্ষা করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ১০০২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন
মন্ত্রী বলেন, বিএফআইইউ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা (দুদক, সিআইডি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর) এ বিষয়ে আইনি তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ৫ দশমিক ৪ লাখ করদাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেননি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সংসদকে বলেছেন যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে এই বছরের এপ্রিলের মধ্যে, মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ১ হাজার ৪৩১টি লিঙ্ক সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে এবং ১২০টি সাইবার হুমকি সংক্রান্ত সতর্কতা পাঠিয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি নজরদারি করছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
১ বছর আগে
ব্যাংক আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন
আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রবিবার সংসদে ব্যাংক আমানত বীমা বিল (সংশোধনী) ২০২৩ পেশ করা হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসানে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে একজন আমানতকারী সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পান।
সংশোধিত আইনে এই ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৮৪ সালে আমানত বীমা চালু করা হয়েছিল, যখন বীমা কভারেজের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার টাকা যা পরবর্তীতে ১ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।
পূর্ববর্তী আইনে শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, যদিও প্রস্তাবিত আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের জন্য সীমা বাড়ানোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
সংসদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে বর্ধিত ব্যয় মেটাতে মঙ্গলবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৭ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন জাতীয় বাজেটের সঙ্গে সম্পূরক বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে মোট বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
সম্পূরক বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ব্যয় বেড়েছে ১০১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ব্যয় কমেছে ৪২ হাজার ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
ফলে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট বরাদ্দ কমেছে ১৭ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা এবং মোট বরাদ্দ এখন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
এর ওপর সাধারণ আলোচনা শেষে মঙ্গলবার সংসদে সম্পূরক বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান অনুদানের জন্য ৩৯টি দাবিতে বর্ধিত পরিমাণ চেয়েছে।
১৬৩টি কাট-মোশন ১১ সদস্য দ্বারা সরানো হয়েছিল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়- এ তিনটি কাট-মোশন নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের সাংসদ মোকাব্বির খান ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম এই কাট মোশন আনেন।
তবে সেই কাট-মোশন কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বনিম্ন ২৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
অর্থ বিভাগ প্রাইম ৫০৪ কোটি ০৫ লাখ টাকা, পরিকল্পনা কমিশন ২ হাজার ২৪৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১১২ কোটি ০৫ লাখ টাকা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৭০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩ হাজার ৪৯১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় ৭০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, খনিজ সম্পদ বিভাগ ৩২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৮৮৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৩৫ কোটি ০৮ লাখ টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ৫৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ ১ হাজার ১১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৭৭ কোটি ০৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ঘাটতিসহ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন।
অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থাপিত তার ২৫২ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বিদ্যমান মুদ্রাস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে থেকে প্রায় ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা করেছিলেন। অর্থনীতিবিদেরা এই লক্ষ্যকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কামাল টানা তার পঞ্চম বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
তিনি এবারের বাজেটে ব্যয়ের প্রস্তাব করেছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যেখানে মোট রাজস্ব ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে এবং ৭০ হাজার কোটি টাকা আসবে অন্যান্য উত্স থেকে।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি পরিচালন ও অন্যান্য খাতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে, যা বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কম।
আরও পড়ুন: বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
ঘাটতি অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং বাইরের উত্স থেকে ১২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা আনা হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।
নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন পণ্যের ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি করমুক্ত ব্যক্তির আয়কর সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
সামনের দিনগুলোতে সরকার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে সেগুলোও তিনি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জ হল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, চলতি হিসাবের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করা।’
তিনি ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে টেকসই উত্তরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী বাস্তবতা’ মোকাবিলা করার জন্য কৌশলগুলো গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে শুল্ক যুক্তিযুক্তকরণ, রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ, ভর্তুকি প্রত্যাহার বা নগদ সহায়তা বা বিকল্প অন্বেষণ.. এখনই বিবেচনা করা উচিত।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘জনবান্ধব’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে, যা দেশকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একে ‘জনগণের টাকা লুটপাটের স্মার্ট বাজেট’ বলে নিন্দা করেছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বাজেটকে অবাস্তব আখ্যায়িত করে বলেছেন, সরকার জনগণের অর্থ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১২,৫০০ ডলার, দারিদ্র্যসীমার ৩ শতাংশের কম হবে'
বাজেট ২০২৩-২৪: ভ্রমণ কর বাড়বে
১ বছর আগে