হাই কমিশন
নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শনিবার সকাল ৯টায় হাই কমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে বাণিজ্যিক সেমিনার
দিবসটির স্মরণে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাণী পাঠ করা হয়।
বক্তৃতায় ইমরান বলেন, পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের পথে আমাদেরকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির আত্ম-মর্যাদার প্রতীক, এদেশের মানুষের সাহস, সংকল্প ও সক্ষমতার প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক।
আরও পড়ুন: অ্যানজাক দিবসে নিহতদের প্রতি ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের শ্রদ্ধা
পরে দূতাবাসের কর্মীরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি যুক্ত হন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করে।
২ বছর আগে
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালিস্ট কিশোয়ার অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনে সম্মানিত
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড ফাইনালিস্ট কিশোয়ার চৌধুরীর সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে বাংলাদেশি সংস্কৃতি এবং খাবারের সমৃদ্ধি প্রচারে কিশোয়ার চৌধুরীর সাফল্য উদযাপন করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, হাইকমিশনার বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রচারে কিশোয়ারের চেয়ে খুব কম মানুষই বেশি কিছু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অসামান্য অর্জনও। সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় বহুসংস্কৃতির দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ধারণা তৈরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করেছেন কিশোয়ার।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, ব্যবসায়িক ও এনজিও প্রতিনিধি এবং তরুণ নারী শেফরা উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের অব্যাহত উদযাপনের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে প্রয়াত ৩ ভাষা সৈনিককে সম্মাননা প্রদান
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সাতটি চক্র সক্রিয় ছিল: গওহর রিজভী
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে কমপক্ষে সাতটি চক্রের সম্মিলিত ও সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের আমরা চিনি। তারা ছিল নিতান্ত সাধারণ সৈনিক। এদের পিছনে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রে কমপক্ষে সাতটি চক্র সক্রিয় ছিল। কোনো কোনোটি ছিল ব্যক্তি বিশেষের ষড়যন্ত্র, কোনোটির পিছনে ছিল সম্মিলিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হচ্ছে জাতির পিতাকে হত্যার এই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু হয়েছিল যাতে করে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জীবিত অবস্থায় আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত এক স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী এ সব কথা বলেন।
আন্তজার্তিক খ্যাতি সম্পন্ন এই ঐতিহাসিক ও গবেষক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, ধর্ম-নিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়াই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এসবের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। যথাযথ সময়ে সেসব প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে স্মারক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন এবং এ বিষয়ে তিনি কখনোই আপোষ করেন নি। আজ যারা নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে তারাই এক সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবেই রেখে দিতে চেয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে সাফল্যের সাথে যেভাবে এগিয়ে চলেছেন তাতে সব ষড়যন্ত্রই মোকাবিলা করা সম্ভব।’
৩ বছর আগে