দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা তিনবিঘা করিডোর গেটে দুই বাংলাদেশি যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে জয়নাল আবেদিন (৩২) ও আল মামুন (৪০) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক করিডোর গেট দিয়ে ভুলবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে গেলে তাদের রাইফেল দিয়ে মারধর করে ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ ঘটনার জের ধরে বিজিবি এবং বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের কারণে প্রায় ২ ঘণ্টা তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, তিনবিঘা করিডোরের ভিতরে দুই বাংলাদেশি যুবক ভুলবশত ভারতের অভ্যান্তরে ঢুকে পরে। এ সময় ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দুই যুবককে রাইফেল দিয়ে মারধর করে। বিএসএফ’র নির্যাতনে আহত ওই দুই যুবক স্থানীয় বিজিবি’র কাছে অভিযোগ করেন। বিজিবি’র সদস্যরা তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। পরে তিনবিঘা গেট সম্মুক্ষে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুজন কোম্পানী কমান্ডার বাংলাদেশিকে মারধরের ঘটনায় বিজিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
৫১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বৈঠকে বাংলাদেশি দুই যুবককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশসহ এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএসএফের ধাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার
৩ বছর আগে