তাজিয়া মিছিল
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
আসন্ন পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আদালতের নির্দেশ আমাদের মানতে হবে। তাই আদালতের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই পুলিশ কাজ করবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে হাবিবুর রহমান বলেন, যারা পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া শোভাযাত্রা পালন করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইমামবাড়া সংলগ্ন বহুতল ভবন থেকে নিরাপত্তা মনিটরিং করা হবে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
কমিশনার আরও বলেন, যেহেতু শোভাযাত্রার সময় পতাকা বহন করার রীতি রয়েছে, তাই তাদের (অনুষ্ঠানের আয়োজকদের) সতর্ক করা হয়েছে যে এটি খুব বেশি উঁচু না রাখতে যাতে এটি বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ না করে।
৫ মাস আগে
হোসনি দালানে বোমা হামলা: ২ আসামির কারাদণ্ড, খালাস ৬
তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং কবির হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তবে এই মামলায় অন্য ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার আট আসামির সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবির জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই ) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে।
পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে অভিযোগ পত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ওই বছরের অক্টোবরে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।
২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সিরিজ বোমা হামলায় জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। অভিযোগ পত্রে ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার মামলা বর্তমানে শিশু আদালতে বিচারাধীন।
বাকি আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন, আরমান ওরফে মনির ওরফে রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে সুমন।
আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলাটিতে ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৬৩
২ বছর আগে
এবারও তাজিয়া মিছিল বন্ধ
এবারও পবিত্র মুহররমে সকল প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা ইত্যাদি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা ৬ আগস্টের জরুরি বিজ্ঞপ্তির অনুবৃত্তিক্রমে সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে আরোপিত বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে। একই সাথে পবিত্র মুহররম উপলক্ষে সকল প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ঢাকায় কোনো তাজিয়া মিছিল নয়: ডিএমপি
তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে আবশ্যক সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালিত হবে।
৩ বছর আগে