তাজুল ইসলাম
ক্যাপ্টেন তাজুলসহ তিনজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
সাবেক মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল (যাকে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল) এবং সাবেক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি।
তাজুল ইসলামকে বনশ্রী এলাকা থেকে, আহমদ হোসেন গুলশান থেকে এবং সোহায়েলকে বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ডিবির একটি সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: বারিধারা ডিওএইচএস থেকে দীপু মনি গ্রেপ্তার
তাজুল ইসলাম টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
গত ১৯ আগস্ট (সোমবার) সোহায়েলকে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। সোহেল র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আহমেদ হোসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: সাবেক চিফ হুইপকে মারধরের অভিযোগে ডিবির হারুন-বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা
৪ মাস আগে
মাদকের উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্থায়ীভাবে মাদকের অবাধ ব্যবহার এবং মাদক নির্মূল করতে মাদকের সরবরাহ উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশের সব সচেতন নাগরিককে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে৷ তাহলে কেন আমরা মাদকের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারছি না?’
বুধবার (১০ জুলাই) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি- অপরাধ নাকি মানসিক রোগ এবং এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন৷
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘মাদকের প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে৷ একইসঙ্গে মাদক ব্যবসা বা মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদক নির্মূলে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মাদকবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মাদকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’
ঢাকাসহ অন্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার মাঠ সংকটও উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার জন্য মাঠের সংকট রয়েছে৷ যার ফলে উঠতি বয়সিরা অবসর সময়গুলো কাটানোর জন্য মাদক ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়। একটি নগর পরিকল্পনায় যেমন ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা ও বিনোদন ব্যবস্থার জন্য ১৫ শতাংশ থাকতে হবে৷’
এথেনা লিমিটেডের আয়োজনে ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী, মেহের আফরোজ শাওনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
৫ মাস আগে
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এছাড়া যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই সবাই মিলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমুহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে উভয়কেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেস করার কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এই সেবা শুধু ঢাকা জেলায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তিও কমবে৷ আগে আমরা দেখেছি, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাজস্ব প্রদানসহ যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অনীহা দেখা যেত। কিন্তু, ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
৫ মাস আগে
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
সোমবার (৬ মে) ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসময় নতুন নিয়োগ পাওয়া সরকারি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যেরকম সম্ভব তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
৭ মাস আগে
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না, তারা সমাজের আরও ১০ জনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে’র ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিল বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
তাজুল ইসলাম নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে এ সময় উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে, তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোনো বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার মনোবৃত্তি।
মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দেবে না।
এ সময় মন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, জারা মাহবুব, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
৭ মাস আগে
ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।
তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
তাজুল ইসলাম এ সময় ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাজধানী ঢাকাতে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে এগুলোর নাব্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলোর সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: ১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৯ মাস আগে
১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় এবং সরকার বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৪০০-৩৬০০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২১৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট সিটি করপোরেশনে ৩৭৫ মেট্রিক টন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৫০০ মেট্রিক টন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১ হাজার মেট্রিক টন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩৫০ মেট্রিক টন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১২০ মেট্রিক টন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১০০০ মেট্রিক টন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১০ মেট্রিক টন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪০০০ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
মন্ত্রী বলেন, মোট বর্জ্যের প্রায় ৩৯ শতাংশ আসে ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন: দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের অর্থায়নে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি চারটি কোম্পানির প্রস্তাবনা নির্বাচন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে।’
এছাড়া মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেডিকেল ইনসিনারেশন স্থাপনের জন্য 'ওয়েস্ট কনসার্ন'-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
১০ মাস আগে
নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদারের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-প্রতিষ্ঠানসহ অনেক নির্মাণকাজ অর্ধেক শেষ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এখন অবস্থা এমন, কাজ শুরু না হলে ভালো হতো। কাজ বন্ধ থাকায় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার অনুরোধ করেও কাজ করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির জন্য সংসদ সদস্যরা অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগে যে রড প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি মেট্রিক টন রড এক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যে সিমেন্ট প্রতি বস্তা ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা হয়ে গেছে ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছেন, সবগুলোতেই দাম বাড়ার কারণে ঠিকাদাররা কাজে অনীহা প্রকাশ করেছেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসব সামগ্রীর দাম বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যে ঠিকাদাররা আগে কাজ করেছিলেন তারা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ আমাদের যে কাজগুলো করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র জারি করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’
এই প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেলেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাদের সব কাজ বাতিল করে তা বাস্তবায়নের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা হাতের নাগালে পায় সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
পরিবর্তীত বাংলাদেশে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উত্তরোত্তর পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
এ সময় নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিএনপি শাসনামলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হত মাত্র ১১০০ মেগাওয়াট। মানুষ তখন লোডশেডিং এর জ্বালায় অস্থির হয়ে বলতো বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে।
তিনি আরও বলেন, দেশের শিল্প উৎপাদন কৃষি উৎপাদন প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। কৃষক বিদ্যুৎ ও সারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোন কৃষক বিদ্যুৎ বা সারের দাবিতে আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়েনি।
আজকের বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ যা এক সময় কল্পনাও করা যেত না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক আয়তনে ছোট্ট ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সতের কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন ও খাবারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়লে আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের এখানে কোনো খাদ্য সংকট তৈরি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ভালো উদ্যোগ নস্যাৎ করার উদাহরণ টেনে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবার আওতায় আসতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
সংকীর্ণ দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে বিএনপি কখনো যেতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অথচ কমিউনিটি ক্লিনিক আজ শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে জাতিসংঘ দ্বারা স্বীকৃত এবং সারা বিশ্বে প্রশংসিত একটি উদ্যোগ।
মন্ত্রী এ সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের অনেকের চিন্তাভাবনায় নেতিবাচকতা রয়েছে। এই নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচকতায় আসতে হলে মনোজাগতিক একটি পরিবর্তন দরকার।
মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন একদিনে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। সমাজ ব্যবস্থা মানুষের চিন্তা-ভাবনার জগতে প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নেতিবাচকতার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃশ্যমান শত শত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখেও অনেকে তা অস্বীকার করে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল এর মত বড় প্রকল্পের কথা না হয় বাদই দিলাম, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এবং পানির সুবিধা নিশ্চিত করার কৃতিত্বটুকুও অনেকে সরকারকে দিতে চায় না।
ভালো কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাহলে মানুষ আরও বেশি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রক্ষায় জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক বিষয় হচ্ছে জাতির পিতার খুনিদের আইন করে অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেরকম সারাজীবন সংগ্রাম করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নানা রকমের চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বিএনপি জামাতের বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুশাসন ও সুবিচারের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার কাজ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনকল্যাণে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্নফুলি পানি শোধনাগার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এক সময় চট্টগ্রামে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পানি সরবরাহ নিয়ে ওয়াসার অবস্থা ছিল নাজুক। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রামে এখন পানির সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। রাস্তায় রাস্তায় পানির জন্য কলসি মিছিল করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। আর এখন পানির জন্য চট্টগ্রামে হাহাকার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে