ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের নারাজি
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের অব্যাহতির ওপর নারাজি (প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা) দিলেন মামলার বাদী ও মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন।
মঙ্গলবার বিকালে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, আজ বিচারক নারাজি (প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা) আবেদনের উপর কোন আদেশ প্রদান করেননি। আগামীকাল বুধবার মামলায় নথি পর্যালোচনায় আদেশ হতে পারে। তবে আদালত তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি বলে জানান।
গত ১৯ জুলাই এ মামলায় আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে গুলশান থানা পুলিশ।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হয় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার দিন রাতেই মুনিয়ার বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা জাহাঙ্গীর
মামলায় মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়ের পর ২০১৯ সালে আনভীর মুনিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনভীরের পরিবার মুনিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পকের কথা জানতে পারে। তখন আমার বোনকে (মুনিয়াকে) আনভীরের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন তার মা।
এ ঘটনার পর আনভীর মুনিয়াকে কৌশলে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন।
গত ১ মার্চ গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার বি/৩ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন আনভীর। সেই দিন থেকে মুনিয়া সেই ফ্ল্যাটেই ছিলেন এবং আনভীর মাঝে মাঝে ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন।
গত ২৩ এপ্রিল ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় ইফতার পার্টিতে গিয়ে মুনিয়া ছবি তোলেন। ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করলে সেটি আনভীরের পরিবারের একজন দেখে ফেলেন এবং আনভীরকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আনভীর মুনিয়াকে বকাঝকা করেন এবং হুমকি দেন। ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া তার মোবাইল নম্বর থেকে নুসরাতকে ফোন করে কান্নাকাটি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
২২ আগস্ট থেকে আগাম জামিন আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট
৩ বছর আগে