স্বাক্ষর
প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতে মারাকেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ
দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ সবধরনের পঠনপ্রতিবন্ধীদের বই পড়ার সংকট দূর করতে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক মেধাসত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) সদর দপ্তরে জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান সংস্থাটির মহাপরিচালক ড্যারেন টাংয়ের হাতে মারাকেশ চুক্তিতে বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরের দলিল হস্তান্তর করেন।
দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পড়ার সুযোগকে অবারিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৬তম দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য, মরক্কোর মারাকেশ শহরে ২০১৩ সালের জুন মাসে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ডব্লিউআইপিওয়ের একটি কূটনৈতিক সম্মেলনে ‘মারাকেশ চুক্তি’ চূড়ান্ত করা হয়। এই চুক্তির আওতায় দৃষ্টি ও পঠন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অ্যাকসেসিবল বই (যেমন: ডেইজি মাল্টিমিডিয়া টকিং বই, ব্রেইল ইত্যাদি) মুদ্রণ ও এক দেশের বিভিন্ন অ্যাকসেসিবল কনটেন্ট অন্য দেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। চুক্তিটি ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের আগে এই চুক্তিতে প্রতিবেশি দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা অনুস্বাক্ষর করেছে।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক ড্যারেন টাং বলেন, মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণরাসহ সকলের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সমান অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ সকল প্রকার পঠনপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে সংস্থাটি একসাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ভার্চুয়াল সভা
এদিকে, মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের তিন লাখ ৪০ হাজারের অধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ডব্লিউআইপিও’র ‘অ্যাক্সেসিবল বুক কনসোর্টিইয়াম’ এর আট লাখের বেশি বই পড়ার সুযোগ তৈরি হবে। ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য গুণগত শিক্ষা প্রদানে মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক ও এক্সেসিবল ডিকশনারি তৈরি, বছরের শুরুতে ব্রেইল পদ্ধতির পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া, এটুআই বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। মারকেশ চুক্তিতে অনুসমর্থন করে সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষায় সমান সুযোগ প্রদান এবং জাতিসংঘ ঘোষিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ (ইউএনসিআরপিডি) ও ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অর্জনে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নিবেদিতদের ‘সুবর্ণ নাগরিক সম্মাননা’ দেয়া হলো
২ বছর আগে
বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব সুইজারল্যান্ডের
বাংলাদেশের সাথে বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সাথে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিজ নাথালি চুয়ার্ড চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবনা প্রতিমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
এসময় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন ও দুই দেশের মধ্যে পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ড চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে চায়। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করার বিষয়েও এ সময়ে রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের প্রস্তাবটি যথাযথ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে যথাসময়েই সম্পাদন হবে। দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি স্বাক্ষর
৩ বছর আগে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা (টিফা) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড্যান তেহান এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই টিফা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা প্রদান সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ায় ৮০৪.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৫৯৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত দুই বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি।
উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার এজন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিবে। আশা করা যায়, এই টিফা স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশ উপকৃত হবে এবং বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহ বাড়বে।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ড্যান তেহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক ও শিক্ষাসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় সেক্টর রয়েছে।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তিনি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে মানবিক কারণ বিবেচনায় বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে সরবরাহের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ দেশগুলোর দক্ষ গ্র্যাজুয়েটদের কাজের সুযোগ দিতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রীবাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বিগত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে, এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রুপের প্রস্তাবে সমর্থন থাকবে বলে আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানির বাজার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমাই ব্রুয়ার। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বরিশালে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা
গ্রাহকের চেকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের বরিশাল ব্রাঞ্চ ইনচার্জসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে উপ-পরিদর্শক সমমর্যাদা সম্পন্ন কোনও গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনারকে আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা ও তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মনিরুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২.৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ
মামলার বিবাদীরা হলো, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড বরিশালের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ সাইফুর রহমান সরদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল আলম ও সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. অসিউদ্দিন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংক বরিশাল শাখায় বাদী একাউন্টে ১৪ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পরবর্তীতে একাউন্টে ব্যালেন্স অনুসন্ধানে গিয়ে একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় বাদী বিবাদীদের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে তারা কোনও উত্তর না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এরপর চলতি বছরের ১৪ জুন বাদী নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যমে বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ করে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ব্যাংকে জমা দেওয়া ১৪ লাখ টাকা একাউন্টে জমা না হওয়ার কারণ জানতে চায়।
পরে বিবাদীরা তাদের নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যেম জবাব দেয় যে, বাদীর নোটিশের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বাদীর ১৪ লাখ টাকা ভুলক্রমে ক্রেডিট হওয়ায় তা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।
বিবাদীদের এই জবাবের পর বাদী ব্যাংক একাউন্টের হিসাব বিবরণী উত্তোলনের পর দেখা যায়, মনিরুল ইসলামের একাউন্টের চেকের বরাতে তার স্বাক্ষর, টাকার পরিমাণ ও বাহকের নাম জাল করে বাদীর একাউন্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জন কারাগারে
বিবাদীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীর হাতে রক্ষিত অক্ষত চেকের বরাতে চেকে বাদীর স্বাক্ষর টাকার পরিমাণ, তারিখ ও বাহকের নাম জাল করে ওই চেকটি ব্যবহার দেখিয়ে বাদীর টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে অপরাধ সংগঠন করায় বাদী বাধ্য হয়ে মামলাটি দায়ের করে বলে জানায়।
৩ বছর আগে
ডিএপি সার আনতে চায় বাংলাদেশ, আম নিতে চায় রাশিয়া
রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি।
বুধবার কৃষিমন্ত্রীর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে দুপক্ষ এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীরএসময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফা আহমেদ, ঢাকার রাশান দূতাবাসের অ্যাটাচে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন।সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদেরকে ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার চার দফা সারের দাম কমিয়েছে। ডিএপির দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। এর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে চাই এবং এ ব্যাপারে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চাই।উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দুদেশের মধ্যে একটি এমওইউ বিদ্যমান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হাড়িভাঙ্গা’ আম উপহার শেখ হাসিনারএছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে এখন অনেক উন্নতমানের আলু উৎপাদিত হচ্ছে। রাশিয়া আলু আমদানি পুনরায় শুরু করতে পারে।উল্লেখ্য, আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশান রাষ্ট্রদূত আলু আমদানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুনঃ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনার আম উপহাররাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এ আম রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি।
৩ বছর আগে