সাম্প্রদায়িক
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হবে: আইজিপি
জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শত্রুদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দলমত নির্বিশেষে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সম্ভাব্য বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল: আইজিপি
পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান 'জিরো টলারেন্স'। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, এসবি, সিআইডি, র্যাব ও জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত বিষয়টি মনিটরিং করছে। তিনি বলেন, দেশে যাতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সতর্ক রয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি ও জামিনে থাকা অন্যান্য অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিত মনিটরিং করছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কেউ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তারসহ তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
বাংলাদেশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম
২ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র বলেন, ‘সকল ধর্মের উৎসব আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় পাশে আছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।’
রবিবার বিকালে প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের হল রুমে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
মতবিনিময় সভায় পূজামণ্ডপে আগত শিশু ও নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যানযট নিরসণে ব্যবস্থা গ্রহণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় মেয়র বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশি একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
এসময় মেয়র পূজামণ্ডপের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, রাস্তাঘাট সংস্কারে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিমকে সর্বদা প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ডিএনসিসির আওতাধীন অঞ্চলের পূজামণ্ডপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলররা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো. আবু ইউসুফ এবং ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে: মেয়র আতিক
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এবং সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি, একাত্তর সালে যারা ফতোয়া দিয়েছিল, হিন্দুরা গণিমতের মাল, সেই জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল এবং তারা স্লোগান দেয়- আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যুব সংগঠনকে যুবকল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেকও বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির উপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এর চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর বারবার আঘাত করেছে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল, আর এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে; আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আমদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন; সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। এখন সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সম্মান দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিলনা।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও যেমন- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির, সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে যাতে কোনভাবেই জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ফিরে না আসে এ বিষয়ে সরকার তৎপর রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত গরীব-অসহায়, কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মূলনীতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এদেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময়, রোলমডেল; ঠিক তেমনি এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় স্বার্থান্বেসী মহল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে পর্যাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ভোগ করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ২০০৯-২০২১ সময়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বিদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২৮কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে এক হাজার ৮১২টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ/মন্দির/শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: বঙ্গভবনে জাতির পিতার দোয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩২৪টি মঠ/মন্দির/আশ্রম ও শ্মশান সংস্কার/উন্নয়নের জন্য ১৪ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী সুব্রত পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী মনোরঞ্জন শীল, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামলী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
শ্রী সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সভাপতি শ্রী নির্মল রঞ্জন গুহ, সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা পরিষদ এর সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এ-র
সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং গরীব-অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
৩ বছর আগে