আসিফ নজরুল
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে যোগ্যদের এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রবিবার (২ মার্চ) জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপদেষ্টা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আগে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘র্যাবের মতো প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটা আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বোচ্চ পুরস্কার।’
তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে আমরা এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন—এ পুরস্কার দেখে আরও খুশি হবেন। মনে হবে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আল্লাহ কি হাসিনাকে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি: প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
১০ জনের কম ব্যক্তিকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
এ সময়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য আমাদের সুপারিশ উপদেষ্টা পরিষদে যাবে। এরপর নাম প্রকাশ হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি। আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারব। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয়—এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কিনা আমি জানি না।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার জীবনব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হবে। এত বছরেও তারা কিন্তু কোনো পুরস্কার পাননি। কাজেই আপনাদের অনুমান করে নিতে হবে—কি ধরনের মনোনয়ন দিয়েছি। এ তালিকা উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীতে না-হওয়া পর্যন্ত নামগুলো প্রকাশ করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ৩-৪টি মামলার রায় পাওয়া যাবে: আসিফ নজরুল
গত বছর ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
১১ দিন আগে
আল্লাহ কি হাসিনাকে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি: প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
আগের মতো আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সুরে কথা বলায় অবাক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আল্লাহ কি এই মানুষটার মাঝে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি?’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় যেভাবে আত্নবিশ্বাস নিয়ে মানুষের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সুরে কথা বলেছেন, তার শেষ সংবাদ সম্মেলনেও তিনি একদম একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি তার বক্তব্যে আমাদের যে যন্ত্রণার স্মৃতি সেটা নিতে পরিহাস করেছেন। তিনি বলেছেন আবু সাঈদের হত্যার দৃশ্য (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) এআই দিয়ে বানানো হয়েছে। মুগ্ধকে নাকি ছাত্ররাই গুলি করে মেরেছে। বলুন এগুলো কি সহ্য করা যায়?’
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ৩-৪টি মামলার রায় পাওয়া যাবে: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘মিথ্যাচারের পাশাপাশি তিনি সবাইকে উসকে দিয়েছেন; কার বাড়িতে আগুন দিতে হবে এবং কাকে তিনি ছাড়বেন না এসব নিয়ে। আশ্বর্য! আমার কাছে অবাক লাগে! আল্লাহ কি এই মানুষটার মাঝে নূন্যতম অপরাধবোধ দেননি?’
‘যার মধ্যে নূন্যতম অপরাধবোধ থাকে না তিনি তো সবই করতে পারেন। তার বাহিনীর এক অংশ শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস থেকেই তার মতো মিথ্যাচার করেছে। তারাও একই টোনে কথা বলেছে। তারা বিভিন্ন উসকানিমূলক, আক্রমণাত্বক এবং ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জানতে পেরেছে তারা (আওয়ামী লীগের কর্মীরা) আরও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এ কারণেই অপারেশন (অপারেশন ডেভিল হান্ট) চালানো হচ্ছে।’
২৯ দিন আগে
অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ৩-৪টি মামলার রায় পাওয়া যাবে: আসিফ নজরুল
অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের অন্তত ৩ থেকে ৪টি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামি হিসেবে রয়েছেন।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের যে বিচার, সেই বিচারের অগ্রগতি কী হয়েছে—সেটা জানতে চান অনেকে। একটা কমন অভিযোগ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত যে মামলাগুলো আছে, সেগুলোর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ ধরনের অসন্তুষ্টির কথা অনেকে বলেন। আমরা উনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়া এবং ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের পর ইতোমধ্যে এ আদালতে বিচারের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই আদালত পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে ৪ মাস আগে। আদালতে ৩০০টির বেশি অভিযোগ সেখানে করা হয়েছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে ১৬টি মামলা করেছে। এই ১৬টি মামলার মধ্যে ৪টির তদন্ত কাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে। এরপর চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর ডিফেন্স আইনজীবীদের প্রস্তুতির জন্য ৩ সপ্তাহ সময় দিতে হয়। আমরা আশা করছি, এই ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য গ্রহণের যে প্রক্রিয়া, সেটা আপনারা খুব ঘন ঘন দেখবেন। এই সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াটা শুরু হবে ঈদের পরপর, এপ্রিল মাস থেকে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে অব্যাহতভাবে শুনানি হয় বলে সব মামলার রায় পরবর্তী ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে শুরু করে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দেওয়া যাবে বলে আশা করি।’
‘যদি পুরো বিচারকার্যটা ধরি, পুরো বিচারকার্যটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এক বছরের মতো সময় লাগছে। অথচ শেখ হাসিনার আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির একজন নেতার বিচার হয়। সেই বিচার কাজ শেষ করতে গড়ে কমপক্ষে আড়াই বছর লেগেছিল। সেখানে আমাদের অর্ধেকেরও কম সময় লাগছে।’
আরও পড়ুন: ছয় কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ ৮ ফেব্রুয়ারি: আসিফ নজরুল
সময় কম লাগার কারণ ব্যাখ্যা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত টিম অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, আগের বিচারগুলো হয়েছিল অনেক দিনের আগের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে, আর এখন যে বিচার হচ্ছে এটার সাক্ষ্যপ্রমাণ এত বেশি আছে যে আমরা আশা করছি, এক বছরের মধ্যেই আমরা প্রথম কয়েকটি রায় পাব।’
আগামী দুই-একদিনের মধ্যে জাতিসংঘের তদন্ত টিমের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এই রিপোর্টের ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলব না। তবে একটা জিনিস বলে রাখি, তাদের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্ত ও বিচার কাজটাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সহজ করতে অনেক অবদান রাখবে।’
২৯ দিন আগে
সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এরমধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।’
‘১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। তালিকার পর প্রতিটি মামলার রেকর্ড ঘেঁটে আমাদেরকে দেখতে হয়, এটা জেনুইনলি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা কিনা; নাকি এটা কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
‘ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির হত্যা মামলাতো প্রত্যাহার করতে পারি না। প্রতিটা কেস রেকর্ড দেখে-দেখে নিশ্চিত হতে হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলার মধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর এক হাজার ২১৪টি মামলার মধ্যে ৫৩টি মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট আজ-কালকের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে,’ বলেন তিনি।
মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা ওনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গায়েবি মামলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত সব মামলা
বিগত সরকারের আমলে কথা বলা বা লেখালেখির কারণে (স্পিচ অফেন্স) ৩৯৬টি মামলা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় পাবলিক পসিকিউটরদের মাধ্যমে এরইমধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। ৬১টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটাও আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাস যখন শেষ হবে, তখন স্পিস অফেন্স সংক্রান্ত আর কোনো মামলা সাইবার সিকিউরিটি আদালতে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘তবে তিনটি মামলা আমরা প্রত্যাহার করতে পারবো না। কারণ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেগুলো স্থগিত রয়েছে।’
পাওয়ার অব এটর্নি বিধিমালা সংশোধন
আসিফ নজরুল বলেন, ‘২০১৫ সালের পাওয়ার অব এটর্নি বিধিমালা নিয়ে প্রবাসীরা প্রচুর অভিযোগ করত। এই বিধিমালা অনুযায়ী কেউ যদি পাওয়ার দিতে চাইতো; তবে তার পাসপোর্ট থাকতে হতো, বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হতো। প্রবাসীদের সন্তানরা অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেন না। তাই তাদের পক্ষ থেকে পাওয়ার অফ এটর্নি হতে গেলে অনেক জটিলতা হতো।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বিধিমালার সংশোধন এনেছি। সংশোধন অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট না-ও থাকে, তাহলেও তারা তাদের পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার স্টিকার থাকলে, কিংবা তার জন্ম সনদ থাকলে কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তিনি বিদেশ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। আমি মনে করি এটি আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের ভোগান্তি লাঘবে বিরাট ভূমিকা রাখবে।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মামলা ও তদন্তের গতি যাতে ধীর না হয় এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
৩০ দিন আগে
ছয় কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ ৮ ফেব্রুয়ারি: আসিফ নজরুল
অন্তবর্তী সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এমন তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে এ বৈঠক করেন। তিনি সংস্কার প্রতিবেদন বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন।
‘আজকের বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছি,’ বলেন আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, একইদিন ছয় কমিশনের প্রধানরা আশু করণীয় সম্পর্কে এবং সংস্কার বিষয়ে মধ্যমেয়াদে বা দীর্ঘমেয়াদে কী করা যেতে পারে; সে বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সুপারিশনামা পেশ করবেন।
উপদেষ্টা বলেন, এই সুপারিশনামা এবং সংস্কার রিপোর্ট আমরা রাজনৈতিক দল এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর কাছে পৌঁছে দেব। তাদের সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতার ভিত্তিতে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: আসিফ নজরুল
‘আমরা আশা করছি, এ বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেই তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ওই সভার সভাপতিত্ব করবেন ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস,’ বলেন তিনি।
সংবিধান পুনর্লিখন হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধান বাতিল বা সংশোধনীর ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। সংবিধানের ব্যাপারে কোন পদ্ধতিতে ঐকমত্যে পৌঁছানো হবে সেই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত হবে।
‘সবাই মিলে জাতীয় নির্বাচন এবং গণপরিষদ নির্বাচন যদি একসঙ্গে হয়, গণপরিষদের মাধ্যমে সে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন পেতে পারে। এগুলো হচ্ছে আমার কথা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যেতে পারে কি পদ্ধতিতে করা হবে সেগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করা হবে,’ বলেন তিনি।
৩৬ দিন আগে
সৌদিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালযয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সৌদি আরবে ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স এবং টেকনিশিয়ানসহ দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী পাঠানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে সৌদির বিভিন্ন কোম্পানির মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বাংলাদেশের শ্রমবাজারের গুণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর বিভিন্ন মেগা প্রকল্প—যেমন নিওম, রেড সি, কিদ্দিয়া, গ্রিন রিয়াদ, আমালা, দিরিয়া এবং রোশন প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি ২০২৭ সালে এএফসি এশিয়া কাপ, ২০২৯ সালে শীতকালীন এশিয়ান অলিম্পিক, ২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক ইভেন্টে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্য সব দল: আসিফ নজরুল
এ সময়ে সৌদি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা কামনা করে তথ্যের অভাব, মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, ভিসা প্রসেসে দীর্ঘসূত্রতা, ভাষা প্রতিবন্ধকতা এবং বোর্ডিং-পূর্ব প্রশিক্ষণের ঘাটতির মতো চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল। পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধানেরও আশ্বাস দেন তিনি।
নিয়মিত শ্রম মেলার আয়োজন করা, সেমিনার এবং কোম্পানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইন উপদেষ্টা। বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ ও সহায়তার জন্য সৌদি কোম্পানিগুলোর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আসিফ নজরুল।
অনুষ্ঠানে তিনি দূতাবাসের ই-ডিমান্ড এটেস্টেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন, যার মাধ্যমে সৌদি কোম্পানিগুলো অনলাইনে নিবন্ধন করে দূতাবাসে না গিয়েই কর্মী চাহিদাপত্র সত্যায়িত করতে পারবে ও কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আসবে।
জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য বিকল্পগুলো যাচাই করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আসিফ নজরুলের
৪৩ দিন আগে
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
দুদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড এলার্ট জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপরও ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যার্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৫১ দিন আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্য সব দল: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দলের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘সবার অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। সময় আরও লাগতে পারে, তবে সময় যেন নষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণার ওপর একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ বিকালে 'জাতীয় ঐকমত্যের' ভিত্তিতে 'জুলাই ঘোষণা' চূড়ান্ত করতে 'সর্বদলীয় বৈঠকে' বসেছিল।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইংয়ের মতে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্যকে সুদৃঢ় করার জন্য এই ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে, যা তার ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবিকে প্রতিফলিত করবে।
খসড়ায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সকল রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র ফুটে উঠবে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
সরকার আশা করছে যে, ঘোষণাপত্রটি সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তুত করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই ঘোষণা’ চূড়ান্ত করতে সর্বদলীয় বৈঠক চলছে
৫৫ দিন আগে
নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আসিফ নজরুলের
নির্বাচনের আগেই জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে কি শুধু সংস্কার কাজ প্রাধান্য পাবে? জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের যে দাবি ছিল, সেটি কতটুকু প্রাধান্য পাবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বিচারের কার্যক্রম অত্যন্ত সাবলীলভাবে চলছে। আমরা বিচারের ক্ষেত্রে মূলত গুরুত্ব দিচ্ছি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনালের ওপর। এখানে রাষ্ট্রপক্ষের অংশগ্রহণ বেশি। ফলে আমরা এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যে গতিতে এই মামলার তদন্ত কাজ এগোচ্ছে, আশা করছি মার্চ থেকে শুনানি শুরু হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল
তিনি বলেন, ‘যদিও এটা বিচারালয়ের বিষয়, আমাদের আশা আছে, বিশ্বাস আছে— আগামী নির্বাচনের আগেই আমরা অন্তত ট্রায়াল কোর্টের বিচারকাজ সম্পন্ন করতে পারব। এখানে কারও কোনোরকম গাফিলতি করার সুযোগ নাই।’
‘আপনাদের কাছে আমাদের প্রতিজ্ঞা— বাংলাদেশে যে নির্মম, অমানবিক গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে, অবশ্যই আমাদের সরকার তার বিচার করবে।’
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ , প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
৫৭ দিন আগে
গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে: আসিফ নজরুল
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এসময় আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।
ড. আসিফ নজরুল জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ,২০২৪'' প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: আসিফ নজরুল
সাইবার নিরাপত্তা আইন রহিত হলে উক্ত আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিচ-অফেন্সের মামলা প্রত্যাহার করা হবে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই আইন প্রত্যাহারে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করেছি। তবে হ্যাকিং বা কম্পিউটার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা জানান, এই কদিনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এতো বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মাধ্যমে সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে; তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা ‘মামলা বাণিজ্য’ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) বিস্ফোরক মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. আসিফ নজরুল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
১১৪ দিন আগে