আসিফ নজরুল
গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে: আসিফ নজরুল
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এসময় আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা।
ড. আসিফ নজরুল জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সম্পর্কিত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ,২০২৪'' প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: আসিফ নজরুল
সাইবার নিরাপত্তা আইন রহিত হলে উক্ত আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিচ-অফেন্সের মামলা প্রত্যাহার করা হবে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এই আইন প্রত্যাহারে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করেছি। তবে হ্যাকিং বা কম্পিউটার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা জানান, এই কদিনে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৬১টি জেলায় ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এতো বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মাধ্যমে সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে; তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা ‘মামলা বাণিজ্য’ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) বিস্ফোরক মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. আসিফ নজরুল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
৪ সপ্তাহ আগে
হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পরিকল্পনা: ড. আসিফ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, সব পলাতক আসামিকে বিচারের মুখোমুখি করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল
রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘খুব দ্রুতই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে। পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
১ মাস আগে
বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদার ওপর আঘাত: তারেক রহমান
বিদেশের মাটিতে আসিফ নজরুলকে অসম্মানসূচক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের এই ধৃষ্টতামূলক কাজ বাংলাদেশ ও জনগণের মর্যাদার ওপর মারাত্মক আঘাত।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই নিন্দা জানান।
পোস্টে তিনি লেখেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্র্যান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে অন্তবর্তিকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কতিপয় আওয়ামী দুস্কৃতিকারীর উদ্ধত আচরণ করে। বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে এহেন শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং দেশ ও জনগণের আত্মমর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের হিংস্র রুপের প্রকাশ এখনো দেশে-বিদেশে অনেক স্থানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রবাসে আওয়ামী নেতাকর্মীরাও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অভয়ক ধারণ করে সুযোগ পেলেই গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের উশৃঙ্খল আচরণে আবারও প্রমাণিত হলো এরা বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, বিভাজন, সংকীর্ণতা, অনৈক্য, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির হরিলুট এবং বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারসহ অসৎ অনাচারের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার হত্যা ও গুমের রাজনীতির বিশ্বাস থেকে সরে আসেনি।
তারেক আরও বলেন, এরা গণতন্ত্রে স্বীকৃত মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। গণতন্ত্রের সঙ্গে শত্রুতা আওয়ামী লীগের চিরদিনের বৈশিষ্ট্য। রক্তাক্ত পন্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পরাজিত করতে না পেরে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় শেখ হাসিনার ক্রোধ যেমন থামছে না, তেমনি দেশে-বিদেশে তার সমর্থকরাও প্রচণ্ড হাতাশা নিয়ে সুযোগ পেলেই গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা করছে বা শারিরীকভাবে আঘাতসহ নানাভাবে হয়রানির কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সুইজারল্যান্ড জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণ শেখ হাসিনার তৈরি করা সেই দুঃশাসনেরই অভিব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক বলেন, পতিত শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিকে জটিল করে তুলতে বাইরে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লুটপাটের সুবিধাভোগীরা বিদেশে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। গণতন্ত্রের স্বপক্ষের ব্যক্তিবর্গকে হেনস্থা করাসহ বাংলাদেশের ভেতরেও অন্তর্ঘাত সৃষ্টির গভীর চক্রান্তজাল বুনে যাচ্ছে। লুটপাটের স্বর্গরাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য উদগ্রীব ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে-বিদেশে নানা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন অপরাধপ্রবণ রাজনৈতিক দল। ক্ষমতা হারানোর মনোবেদনায় এরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না বলেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নেয়।
তারেক বলেন, আত্মপ্রত্যয়হীন, যুক্তিবিমুখ, মানবতাবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী দোসরদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। এদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে গণতন্ত্রকামী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন ও বিচার বিভাগকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী দৈত্যকে জনগণই বোতল বন্দি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এই সমস্ত আওয়ামী কুচক্রীদের বিচারের আওতার মধ্যে আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ওপর ফ্যাসিস্ট দোসরদের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জোট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না তা জনগণই নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা চালানোর পরও যে দলের অনুশোচনা নেই, বিচারের আগে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জোট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না তা জনগণই বিবেচনা করবে।’
মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত দলগুলোর নির্বাচনের যোগ্যতা নির্ধারণে জনগণের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা আমার বলার জায়গা না। এখন আপনি যদি মনে করেন, যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আরও চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি ঘটিয়েছে, চোখ কেড়ে নিয়েছে, এখনো তারা সেই অপকর্মের পক্ষে কথা বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ফাঁস হওয়া রেকর্ডটা সঠিক হয়, তাহলে এখনও তাদের নেত্রী ২৮৭ জনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্য দেশে বসে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে, যিনি একটা গণহত্যার মামলার আসামি। বিচারের আগে, দায়মুক্তির আগে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাবে আরও হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার জন্য? কাজেই সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা গণহত্যা চালানোর পর এখনও একটা দল বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের এত বড় আন্দোলনের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে, আরও মানুষকে হত্যা করার হুমকি দেয়, সেই দলের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কি না, তা প্রতিটি মানুষই বিবেচনা করবেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যাবে।’
মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব দেশেই মৃত্যুদণ্ড রহিত করার কথা বলে জাতিসংঘ। তাদের একটি অপশনাল প্রটোকল আছে। ওই প্রটোকলের মূলকথাই হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য। কিন্তু পৃথিবীর খুব অল্প দেশেই মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে। এটা তাদের অঙ্গীকার থেকে বলবেই। কিন্তু আমাদের যে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম, আমাদের যে জুডিসিয়াল কালচার আছে, সেগুলো তো আমাদের কাছে প্রাধান্য পাবে। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার যে অপশনাল প্রটোকল রয়েছে, আমাদের কোনো সরকারের পক্ষ থেকেই এই অপশনাল প্রটোকলের পক্ষরাষ্ট্র হওয়ার বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের বলেছি, আমাদের আইনগত যে সংস্কার, সেটাতে তারা জড়িত আছেন, প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারে আমাদের যদি ফরেনসিক সহায়তা লাগে, সেটা তারা দেবেন। আমরা এখানে সুবিচার করব, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিচার করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগের আদালতে যেভাবে হয়েছে, সেভাবে আমরা অবিচার করব না। আমাদের কোনোকিছু লুকানোর নেই। আমরা কীভাবে বিচার করছি, সেটা যে কেউ এসে দেখতে পারবেন।’
বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন আইন উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে হাই কমিশনার বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা যায় সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জুলাই গণহত্যার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
১ মাস আগে
সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে নেই বলে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, তার এ বক্তব্য শপথ ভঙ্গের শামিল এবং রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না- সেটা নিয়ে সরকার আলোচনা করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, 'রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। উনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেশমূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে উনার (রাষ্ট্রপতি) কাছ থেকে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়- এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী আছে? এটার প্রেক্ষিতে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের যিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং অন্য বিচারপতিরা মিলে ১০৬ এর অধীনে একটা মতামত প্রদান করেন রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের ভিত্তিতে। সেটার প্রথম লাইনটি হচ্ছে, দেশের বর্তমান অদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন...। তারপর অন্যান্য কথা।'
আরও পড়ুন: সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করায় ছাত্র-জনতার অভিযোগ নিরসনের উপায় হলো: আইন উপদেষ্টা
'এই রেফারেন্সটিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সই আছে বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, 'এই যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, এর প্রেক্ষিতে যে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই মতামতের ভিত্তিতে একটা নোট আমরা মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠাই। রাষ্ট্রপতি এই অভিমতটা দেখেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। এরপর তিনি নিজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন।'
আসিফ নজরুল বলেন, ‘একের পর এক কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত উনি পুরো জাতির কাছে নিশ্চিত এবং পুনর্বার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। এখন প্রায় আড়াই মাস পরে যদি উনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেননি, এটা এক ধরনের স্ববিরোধিতা হয়, ওনার শপথ লঙ্ঘন হয়। এ পদে থাকার আর ওনার যোগ্যতা আছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রশ্ন আসে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে আপনার যদি শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকে বা আপনি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনি থাকতে পারেন কি না সে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সংবিধানে রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'এত কিছুর পর উনি (রাষ্ট্রপতি) এটা কীভাবে বলতে পারেন, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। উনি যদি এই বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না সেটা, আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'জাতির সামনে বলা কথা নিয়ে যদি বিতর্ক সৃষ্টি করেন, সেটা তো অসদাচরণের পর্যায়ে পড়ে। তখন এই প্রশ্ন আসে আপনার মানসিক সক্ষমতা আছে কি না রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে- এ প্রশ্নগুলো আসার সুযোগ তিনি তৈরি করে দিয়েছেন।'
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখি পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তিরা যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ-আয়োজন করছে, তখন হঠাৎ করে তিনি আড়াই মাস পর এমন কথা কেন বললেন সেটা নিয়ে সমাজে প্রশ্ন আসতে পারে, প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক।'
এর আগে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।
সাক্ষাৎকারটি শনিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন উল্লেখ করে আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন নিয়ে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যের ব্যাখ্য দিয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছেন ‘এটি(নির্বাচনের তারিখ ও সময় ঘোষণার এখতিয়ার তার (প্রধান উপদেষ্টার) একার রয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আসিফ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই আয়োজিত 'আজকের পত্রিকা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী নির্বাচনের সময় জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে ড. আসিফ বলেন, সেখানে এসব বিষয় পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ তিনি পাননি। তবে সরকারের কথায় সবাই বুঝতে পারবেন, নির্বাচনে সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয় রয়েছে। ‘এগুলোই ফ্যাক্টর। সংস্কারের কথাও বলেছি।’
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আমি কর্মসূচিতে আরও কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, এসব বিষয় ঠিক থাকলে আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে। 'আমি আমার প্রাথমিক অনুমানও বলেছি।
এসব শর্তসাপেক্ষ ধারণা ও অনুমানকে কোনো গণমাধ্যম নির্বাচনি ঘোষণা হিসেবে উপস্থাপন করছে।
আসিফ নজরুল তার জবাবে বলেন, 'সত্যি বলতে, এটা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
১ মাস আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং সম্মিলিত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার খুব খারাপ লাগছে। এটা আমাদের জন্য অসহনীয়। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চ্যানেল আইয়ের 'আজকের পত্রিকা' অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ বলেন, বন্যার প্রভাব কমে আসছে এবং শীত আসছে। 'আমরা আশা করছি পরিস্থিতির অনেকাংশে উন্নতি হবে। কিছু কিছু এলাকায় এরই মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে এটি পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত একটি সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেট অত্যন্ত শক্তিশালী স্বীকার করে তিনি বলেন, এটা এত সহজ নয়।
আসিফ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সমস্যা সমাধানে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা সরকারে থাকা সকলকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী নির্বাচন সম্ভব হতে পারে: আসিফ নজরুল
২ মাস আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত: আসিফ নজরুল
আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই আমরা যাব।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুরো আইন বাতিল করা হবে, নাকি কেবল স্পিচ অফেন্স বাতিল করা হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু আলটিমেটলি এটা বাতিল হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগের বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন করা হবে, তখন তার মৌলিক একটি অনুচ্ছেদে নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে অবশ্যই নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সেজন্য এরকম সেমিনার অব্যাহত রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সংশোধন বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তবে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। এরপর এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে অনেকেই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার পরামর্শ দেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ইতোমধ্যেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নাগরিক পরিসরে একটি ধারণা আছে আইন মন্ত্রণালয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিতে পারে। এটা সত্যি না। একটি মামলা বিভিন্ন পর্যায় বা স্তরে থাকে। সব মামলা ইচ্ছে করলেই প্রত্যাহার করা যায় না। মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে মামলার কনভিকশন হয়ে যায়, সেখানে যিনি কনভিকটেড (দোষী সাব্যস্ত) হয়েছেন ওনার আবেদন ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মামলাগুলো কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। এর উত্তরে তিনি বলেন, মামলায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে যায়, যত ভুয়া মামলাই হোক, চাইলেই তা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এজন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: অচিরেই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আসিফ নজরুল
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পর্যায়ক্রমে সব ধরণের কালা-কানুন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, আমাদের আইন সংস্কারের মধ্য দিয়ে তার প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ( যা পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত করা হয়েছে) মূলত অপ্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এর প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই এই আইনকে আমরা যতভাবেই সংশোধন করি না কেন, এর প্রতি মানুষের অনাস্থা থেকে যাবে। তাই আলোচনা সভার যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনাগুলোকে আমলে নিয়ে এবং আরও যেসব বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা প্রয়োজন তা বিচেনায় নিয়ে নতুনভাবেই আইনটি করা উচিত।
আলোচনা সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম, টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, ইংরেজি দৈনিক দ্য ঢাকা ট্রিবিউন এর নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ভিকটিম খাদিজাতুল কোবরাসহ প্রমুখ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল
২ মাস আগে
শিগগিরই সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আয়োজিত ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার: এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার আইন হয়েছে আবার তথ্য অধিকার বিনাশ করারও আইন হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না। কারণ এটি মূলত দুই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে 'কম্পিউটার অফেন্স' (কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে করা অপরাধ) এবং অন্যটি 'স্পিচ অফেন্স'। 'স্পিচ অফেন্স' বাতিল করা সম্ভব হলেও 'কম্পিউটার অফেন্স' বাতিল করা সঠিক হবে না।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ অধিকারটা কিন্তু অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত। তাই তথ্য অধিকার নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। যারা তথ্য অধিকারের কথা বলেন, তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলতে হবে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলতে হবে। বিগত সরকার বিচার বিভাগকে কীভাবে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের, অন্যায়-অবিচারের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।’
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. অনন্য রায়হান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, এমআরডিআইর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: জনগণের সংস্কার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নতুন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার সমন্বয় করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকবে: আসিফ নজরুল
২ মাস আগে
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, 'কমিশনগুলো ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে আশা করছি।’
ড. আসিফ জানান, প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে বিস্তৃত সংলাপ ও পরামর্শ আয়োজিত হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ৬ কমিশন গঠনের ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, যারা গণহত্যায় জড়িত ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এবং যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাস শেষে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান ও পাঁচটি মূল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।
কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সচিব বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে কাজ করা। এটি একটি জনসেবামূলক কাজ। অতীতে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে ছিল এবং জনগণ নানাভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা আমাদের কাজ এবং সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেয়েছি।’
মাহফুজ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব রয়েছে।
সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
২ মাস আগে