মামলার আবেদন
যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী রাজা প্রধান শাওনকে হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারসহ ৪২ জন ও আজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে বিএনপির পক্ষ থেকে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান হোসেনের আদালতে এই মামলার আবেদনটি করেন। এসময় বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীর সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আবেদনটিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান সহ বিয়াল্লিশ জন কর্মকর্তা ও সদস্যের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়েছে। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের এস আই মাহফুজুর রহমান কনককে। এছাড়া আজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলার আবেদনে।
মামালার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, এক নম্বর আসামি জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনকের অস্ত্রের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন নিহত হয়েছে এবং এ ঘটনায় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সহযোগিতা করায় তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
আদালতে আবেদন করার পর মামলার বাদী রুহুল কবির রিজভীর আইনজীবী (সুপ্রীম কোর্ট) অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছে এবং তা যাচাই বাছাই করে পরবর্তীতে আইনসম্মত আদেশ প্রদান করবে বলে তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ঘটনা তাই প্রমাণ করেছে।
এর মাধ্যমে দেশে একদলীয় সরকারের নমুনার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
আরও পড়ুন:পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
নারায়ণগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির খান গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল জব্দ
২ বছর আগে
এবার মুরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলায় ভার্চুয়াল টকশোর সঞ্চালক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.আব্দুল হক বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আবদুর রহিমের আদালতে মামলাটি নেয়ার আবেদন করেন।
মামলার বাদী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের নাতনি এবং দেশের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে একজন মন্ত্রী যেভাবে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই কাম্য নয়। এ বক্তব্যে শুধু জাইমা রহমান নয়,দেশের পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি,আদালত সঠিক বিচারের ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা, শুনানি ১৫ ডিসেম্বর
২ বছর আগে
বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলামসহ প্রায় পঞ্চাশ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ও একই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে এই মামলা দুটির আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
তাদের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধা দান, বিনা উস্কানিতে বিসিসির কর্মচারীদের ওপর গুলি বর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলি বর্ষণের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানী এবং ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
এদিকে, একই আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারা হেফাজতে রেখে সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।
৩ বছর আগে