প্রতিষ্ঠা
আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এছাড়া মামলা ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা ও মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা থেকে বেরোতে চাই।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন: আইন উপদেষ্টা
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসে। তারা বিব্রত বোধ করেন। কেন বিব্রত বোধ করেন আপনি? বিব্রত বোধ করবেন যখন আপনার ভাইবোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রত বোধ করেন?’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আরজি গ্রহণ করতে বিব্রত বোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন। আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন। সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলো আর কইরেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার–বুদ্ধি আছে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েবি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য
আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সৎ হতে হবে।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে। সঠিক আইনি পরামর্শের মাধ্যমে মামলার জট কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
বুধবার (২২ মে) বেলা ১১টায় লালমনিরহাট আদালতে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ বিশ্রামাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা করে। এসব বিষয় সামাজিকভাবে মিমাংসা করাই ভালো, তবে তা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এসব বিষয়ে পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সচেতন করতে পারেন। ছোট ঘটনাগুলো মিমাংসার মধ্যে দিয়ে মামলার জট ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
৭ মাস আগে
দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, সার্বজনীন শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি নতুন ছাত্র জোট গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যানারে শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ১৫টি ছাত্র সংগঠন এই জোটটি গঠন করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই জোটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ৯ দফার ওপর বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি সক্রিয় ছাত্র জোট গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন, মেধা ও যোগ্যতার আলোক শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব জাতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
এছাড়াও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারবিরোধী ৩১ দফা দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, গণফোরাম মন্টু, ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
জোট থেকে নির্বাচিত তিন সমন্বয়ক হলেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব।
ছাত্রদল নেতা জুয়েল জোটের মুখপাত্র এবং সব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
১ বছর আগে
শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ এদেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, নেতৃত্বের অগ্রভাগে থেকেছে এবং অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং দেশকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন।
বুধবার (১০ মে) স্পিকার নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সফটওয়্যার তৈরির বিকল্প নেই: স্পিকার
এসময় শিরীন শারমিন চৌধুরী আওয়ামী লীগে নিজের সদস্যপদও নবায়ন করেন।
অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, তাকে অকুন্ঠ সমর্থন করে, এবং এই সমর্থন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে নিরলস কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, আর নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। এরা সব আঘাত থেকে দলকে রক্ষা করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরম্ভ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক নম্বর সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ ও মেধাবী সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প উপলক্ষে স্পীকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি সফল হয়েছে এবং সারাদেশের জনগণকে সুষ্ঠুভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মানবতার সেবায় বিনামূল্যে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এক অনন্য উদাহরণ।
স্পীকার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারিভাবে ৩২ ধরনের ঔষধ জনগণকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এরপর তিনি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন এবং সেবাপ্রার্থীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।
এ অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
১ বছর আগে
সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তলাবিহীন ও ভিক্ষুকের দেশ খ্যাত বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের নৃসংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না।
এছাড়া ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময় চরমশত্রু মনে করতো এবং তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য নেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের ভর্তি শুরু হচ্ছে আগামী বছর
চাঁদপুর, ৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- নবপ্রতিষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবিপ্রবি) ভর্তি কাযর্ক্রম শুরু হচ্ছে ২০২১ এর এইচ.এস.সি পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে। আগামী বছর ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরাই হবে চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচ, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপে এ তথ্য নিশ্চিত করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন এবং প্রথম উপাচার্য ড. মো. মাছুম আখতার।
সরেজমিনে ইউএনবি প্রতিবেদক ঘুরে দেখেন, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে চাঁদপুর সেঁচ প্রকল্প বাঁধের ভিতরে বন্যামুক্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। চাঁদপুর-হাইমচর উপজেলা সড়কের ঠিক পূর্ব পাশেই মনোরম ও শান্ত পরিবেশে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে ৬০ একরের জায়গার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হচ্ছে। জায়গার অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বেশ দ্রুত গতিতে।
আরও পড়ুন: জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
আপাতত ক্যাম্পাসের পাশেই ভাড়া বাসায় অফিসের ও ১ম বর্ষের ভর্তির কাযর্ক্রম চলবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণের কাজও শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কাযর্ক্রমের জন্য ইতোমধ্যে একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে উপাচার্য জানান।
তিনি আরও জানান, ২০২১ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের শুভ যাত্রা ও প্রথম ব্যাচের শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি তিনটি বিভাগ নিয়ে প্রথম শিক্ষা বর্ষ শুরু করবে। বিভাগগুলো হল– কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতি বিভাগে ভর্তি করা হবে ৩০ জন করে মোট ৯০ জন। এর পরে ধাপে ধাপে বিভাগ এবং ভর্তির আসন বাড়বে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
উপাচার্য আরও জানান, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ২০২২ সালে আরও একটি ব্যাচ ভর্তি করা যাবে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জনপদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে এবং এই অঞ্চলে শিক্ষার হার আরও বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, বাড়িতে থেকেই আমাদের কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’ পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য শিক্ষকেরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে চাঁদপুর সফরকালে জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সেই বাস্তবতার আলোকে ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণের কাজ।
এই এলাকারই সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে চলেছেন।
৩ বছর আগে
ওআইসির বৈঠকে আফগান শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান বাংলাদেশের
আফগানিস্তানে দ্রুত স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং আটকে পড়া বিদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধিদের এক জরুরি সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ আহবান জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে আফগান জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ তার নিজস্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহ্বান
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে এবং অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বাংলাদেশের নীতি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের ভাষণ থেকে অনুসৃত, যেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন “আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে যৌথ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করব।”
এসময় আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশি সহ সকল বিদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের আহবান জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা চাই আফগানিস্তানের মানুষ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপভোগ করবে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভূ-কৌশলগত অবস্থানের সুষ্ঠু ব্যবহার করবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগান জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা উচিৎ। তিনি বলেন, ওআইসির উচিৎ হবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে ওআইসি ও এর সদস্য দেশগুলোর করণীয় বিষয়ে বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন: দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ টিকা
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আফগানিস্তানের ভূমি অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। ওআইসির সদস্যদেশগুলো এই বিষয়ে একমত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে একটি যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়।
৩ বছর আগে