নৈতিকতা
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে ‘নৈতিকতা বিভাগ’ চালু করল তালেবান
মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ‘নৈতিকতা সংক্রান্ত একটি বিভাগ’ চালু করেছে আফগানিস্তানের নতুন শাসক তালেবান।
দেশটিতে তালেবানরা সরকারে আসার পর নারীদের অধিকার সীমাবদ্ধ করার বিষয়ে এটি সর্বশেষ উদ্বেগজনক খবর। এর আগে ৯০’র দশকে আফগানিস্তানে আগের শাসনের সময় তালেবানরা কঠোরভাবে ইসলামী আইন প্রয়োগ করে মেয়ে এবং নারীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
বর্তমানে তালেবানরা দেশ পরিচালনায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
শুক্রবার কাবুলে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামিয়ে সেখানে নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
আফগান উইমেনস নেটওয়ার্কের প্রধান মাবুবা সুরজ বলেন, তালেবান সরকার পরিচালিত নারী ও মেয়েদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তিনি হতবাক।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান: বিপদে শিশুরা, বিবাদে তালেবান আর অথর্ব জাতিসংঘ
নয়া তালেবান, পুরান তালেবান: তফাৎ কী?
আখুন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার
৩ বছর আগে
গণমাধ্যমের নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
সমাজ ও রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক বিকাশে গণমাধ্যমের প্রসারের পাশাপাশি এক্ষেত্রে নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠী দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল: তথ্যমন্ত্রীতথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও সমাজের বহুমাত্রিক বিকাশের স্বার্থে গণমাধ্যমের প্রসার ও স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন, একইসাথে সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের নীতি-নৈতিকতাও আবশ্যক। তা না হলে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রসারের সাথে নীতি-নৈতিকতা থাকলেই কেবল গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য সফল হবে।’তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত পত্রপত্রিকা প্রকাশ হয় না, সেগুলোর ডিক্লারেশন রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন দেখা দেয়। এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এজন্য আমরা ভূতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রীঅনলাইন গণমাধ্যমকে মন্ত্রী আজকের পৃথিবীর বাস্তবতা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সেইসাথে বলেন, ‘যথেচ্ছভাবে নয়, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তবেই অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। একইসাথে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল সংবাদ ছাড়া ভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একইসাথে আইপি টিভির জন্য ছয়শ’ আবেদন পড়েছে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একজন বিচারপতিও মন্তব্য করেছেন, যা রায়ের অংশ। এক্ষেত্রটিও আমরা সর্তকতার সাথে দেখছি। মন্ত্রিসভায় পাস করা নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি কোনো সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। খুব সহসা আইপি টিভি’র রেজিস্ট্রেশন দেয়ার পাশাপাশি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিকবান্ধব নেতা ছিলেন। তখন যারা সাংবাদিক ছিলেন তারা বঙ্গবন্ধুকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাঙালির জন্য তার চিন্তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া সহজ হয়েছিল। স্বাধীন হওয়ার পর দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। বাসন্তী নামের একজন নারীকে শাড়ির চেয়ে বেশি দামের জাল পরিয়ে ছবি ছাপানোসহ কিছু পত্রপত্রিকায় ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে আসার পর সেই বাসন্তীর সাথে দেখা করেছেন, তার ঘরও পাকা করে দিয়েছেন। স্বাধীনতা উত্তর সে অবস্থায় বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর পত্রপত্রিকার সংখ্যা নির্ধারণের জন্য বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন যেখানে ছিলেন মিজানুর রহমান, অধ্যাপক খালেদ, আনিসুজ্জামান খান, গিয়াস কামাল চৌধুরী, আমানুল্লাহ খান, আব্দুল গণি হাজারী, শুধুমাত্র সলিমুজ্জামান ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। এর বাইরেও সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের পরামর্শ নেয়া হয়েছিল। তাদের পরামর্শেই পত্রিকার সংখ্যা সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বেকার হননি, বেশিরভাগ চাকুরিচ্যুতদের অন্যত্র চাকুরি দেয়া হয়েছিল, বাকিরা তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ভাতা নিয়ে আসতেন।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে অপপ্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রীহাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের জন্য যা করেছেন তা অতীতে কেউ করেনি। করোনার মধ্যে এদেশে তিনি সাংবাদিকদের সহায়তায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন, আশেপাশের দেশে তা করা হয়নি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের তেমন কোনো জোরালো দাবি ছিল না, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন। আজ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে হাজার হাজার সাংবাদিক উপকৃত হচ্ছে এবং এটি সাংবাদিকদের একটি ভরসাস্থল। কেউ মারা গেলে পরিবার তিন লাখ টাকা পায়। সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তার জন্যও নীতিমালার খসড়া হয়েছে। ডিআরইউ’র এই জায়গাটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। আর জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রাও বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে। সেখানে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিচক্র: তথ্যমন্ত্রীডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় সভায় ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম ও সাইফুল ইসলাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও রাজু আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার ও সদস্য মোতাহার হোসেন, মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে