দাওয়াত
দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই প্রাণ গেল মা ও ছেলের
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার (লাহিনী-সান্দিয়ারা) সড়কের বাঁধবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার সেনাসদস্য রহমত আলীর স্ত্রী মোছা. ছালমা খাতুন ও তার ছেলে স্মরণ।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম মাসে সিলেটের সড়কে প্রাণ গেল ৩৫ জনের, আহত ২৯
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, দাওয়াত খেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শহর থেকে কুমারখালী উপজেলার পাইকপাড়ায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন সেনা সদস্য রহমত আলী।
তিনি আরও জানান, বাঁধবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তার স্ত্রী ছালমা খাতুন ও সন্তান স্মরণ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সেনা সদস্যকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রহমত আলী নামে এক সেনা সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল অটোচালকের, আহত ৩
টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
৮ মাস আগে
ঈদের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধের
চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আকুব্বর হোসেন (৭০) বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মৃত খেদআলী মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাগলবাহী ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ছেলে ও দুই নাতিকে নিয়ে উপজেলার আঠারোখাদা গ্রামে বিয়াই বাড়ি কোরবানি ঈদের দাওয়াতে যান আকুব্বর। বিকালে ফেরার পথে ছেলে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। দুই নাতিকে নিয়ে পেছনে বসেছিলেন তিনি।
মোটরসাইকেল উদয়পুর গ্রামের মাঠের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে একটি ট্রাক ছুঁটে আসে। সেটিকে সাইড দিতে গিয়ে বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল রাস্তায় মোটরসাইকেল ব্রেক করলে স্লিপ করে।
এসময় গাড়ির পেছন থেকে ছিটকে চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আকুব্বর সেখানেই মারা যান। বাকিরা অন্যপাশে পড়ে যাওয়ায় সামান্য আঘাত পেলেও প্রাণে বেঁচে যান।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গাজীপুরে ট্রাকচাপায় সিএনজির ২ যাত্রী নিহত
১ বছর আগে
দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা!
নরসিংদীর মনোহরদীতে বন্ধুকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের নামা গোতাশিয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
নিহত আবুল কালাম আজাদ (৩৫) ওই ইউনিয়নের ঠেকেরকান্দা এলাকার আবদুস ছাত্তারের ছেলে। আর অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন (৩৮) একই ইউনিয়নের নামা গোতাশিয়া এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তারা দুজনই পেশায় রংমিস্ত্রি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করতেন তারা। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে যুবক হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে দাওয়াতের কথা বলে আবুল কালামকে বাড়িতে ডেকে নেন বিল্লাল হোসেন। দুপুরের খাওয়ার পর তারা বিশ্রাম নেয়ার জন্য পাশের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন একটি বাঁশঝাড়ে যান। সেখানে প্লাস্টিকের একটি পাটি বিছিয়ে তারা দুজন বসেছিলেন। পরে বিকালের দিকে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিল্লাল ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে একটি ধারালো দা নিয়ে এসে আবুল কালামের গলায় কয়েকটি কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই কালামের মৃত্যু হয়।
এ সময় পালিয়ে না গিয়ে ঘটনাস্থলেই বসে থাকে বিল্লাল। পরে স্থানীয় লোকজন এসে বিল্লালকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মনোহরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় আবুলের গলায় একাধিক কোপের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। পরে বিল্লাল পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেন। এ সময় তাঁর দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়।
সেখানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর রাতে বিল্লালকে থানায় নেয়া হয়।
এসআই হারুন অর রশিদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের দুজনের মধ্যে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ কারণে তিনি কালামের প্রতি বিরক্ত ছিলেন। এ ক্ষোভ থেকে তাকে ডেকে এনে হত্যা করেন। তবে বিল্লালের দেয়া তথ্য সত্য কি না, সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
নিহত আবুল কালামের মা মার্জিয়া বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজের সূত্রে বিল্লাল ও কালামের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। বিল্লাল আমাকে মা বলে ডাকত। নিয়মিত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। ঘটনার দিন তারা কাজে যায়নি। দুপুরে আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে ডেকে নেয় বিল্লাল। বিকালে জানতে পারি, বিল্লাল আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বিল্লাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রকৃত রহস্য জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
বিয়ের দাওয়াতকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে আহত ১৫
নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামে বিয়ের দাওয়াত না করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন, রামেশ্বরপুর গ্রামের আলমগীর শেখ, বাবু শেখ ও জিন্নাত শেখ।
মঙ্গলবারবিকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
ঘটনায় আহত রিপন শেখ, লোকমান মোল্লা, নজির শেখ, ইদ্রিস মোল্লা, জোহরা বেগম, রানা শেখ, জিন্না, নাইম, রাসেল শেখ জামাল শেখ , রাশেদুলকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবু শেখ ও আজগর মোল্লার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংর্ঘষে নিহত ১
গত কয়েকদিন আগে বাবু শেখের পক্ষের রানা শেখের বিয়ে হয়। এ বিয়েতে প্রতিপক্ষ আজগর মোল্লার লোকজন কে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে আজগর মোল্লার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষ জামাল শেখের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন লাটিসোঠা, রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বৃদ্ধ নারীসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানকাটা নিয়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ বছর আগে