আবু বক্কর
আহত আবু বক্করের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন
কোটা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী আবু বক্করের (১৭) চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদর এলাকায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম অনুসারীদের হামলায় আহত আহত হয় সে। তার শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আবু বক্কর দেবিদ্বার উপজেলার শাকতলা গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবুল খায়েরের ছোট ছেলে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
আবু বক্করের বড় ভাই মো. আলী বলেন, ‘আহত হওয়ার পর ভাইকে নিয়ে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেলে যাই। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ও শেষে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এছাড়া ভাইয়ের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তার অবস্থা খারাপ দেখেও আমরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, ভাইকে আইসিইউতে রাখতে অর্থের প্রয়োজন, আমাদের সেই সামর্থ্য নেই।’
‘এরইমধ্যে কুমিল্লার বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার এসে দেখে গেছেন। তিনি বলেছেন, ওনারা চিকিৎসার সব খরচ দেবেন।’
৪ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় বোমা বিষ্ফোরণে আহত আবু বক্করের মৃত্যু
কুষ্টিয়া, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের বিলগাথুয়া গ্রামে বোমা বানাতে গিয়ে বিষ্ফোরণে আহত বোমা তৈরির কারিগর আবু বক্কর (৩৫) মারা গেছেন।
বিস্ফোরণের ছয়দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আবু বক্কর বিলগাথুয়া গ্রামের ইন্তাজ মন্ডলের ছেলে।
আবু বক্করের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল খালেদা সরকার: প্রধানমন্ত্রী
গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামে বোমা বানানোর সময় বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে বোমা তৈরির কারিগর ও মাদক পাচারকারী আবু বক্কর (৩৫) ও তার স্ত্রী মধুবালা (৩০) আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে অবস্থার অবণতি হওয়ায় আবু বক্করকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আবু বক্কর মারা যান।
উল্লেখ্য, বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আবু বক্কর ও তার স্ত্রী মধুবালা আসামী।
আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার পর স্ত্রীর মৃত্যু
এছাড়াও এ মামলার অপর আসামি বিলগাথুয়া গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম (৪৫) ও তার সহযোগী মৃত আমিরুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে বিকু (৪০) এবং তাহের আলীর ছেলে রায়হানকে (২২) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
৩ বছর আগে