জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা
ছয় বছর পর কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
উলফাত বলেন, শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। ‘তিনি রাজি হয়েছেন... তিনি বলেছেন, সুস্থ থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে যোগ দেবেন। আমরা আশা করছি ম্যাডাম এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এর তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উলফাত বলেন, ২১ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
এর আগে ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম জনসমক্ষে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
১ সপ্তাহ আগে
আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। কারণ দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দলের পক্ষে এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে কখনো বিশ্বাস করে না। তারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বাহক মনে করে, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতাসীন দল জাতির সকল আশা -আকাঙ্ক্ষাকে তছনছ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্রের জন্য জনগণ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে?’
বুধবার ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) এখন ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানকে ছিন্ন করে ছদ্মবেশে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালেও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জিয়ার কবরের প্রবেশ পথে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের কিছু নেতাকে কবর প্রাঙ্গণে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
ফখরুল অভিযোগ করেন যে ১৯৭২ সালের পর অনেক মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা এখন জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মতো একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা 'পুনরুদ্ধার' করার পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের জিয়ার কবরে যেতে পুলিশের বাধার নিন্দা জানান।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দল যুদ্ধক্ষেত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। দুর্ভাগ্যবশত, এখানে আসা অতি পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর প্রাঙ্গণে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
৩ বছর আগে