মাদকমুক্ত
খেলাধুলা করলে মাদকমুক্ত থাকা যায়: শেখ সালাহউদ্দিন
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, খেলাধুলা করলে খারাপ চিন্তা আসে না, মাদকমুক্ত থাকা যায় ও শরীর ভাল থাকে। বাংলাদেশে ক্রীড়াবিদরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন খেলোয়াড়রা।
রবিবার দুপুরে খুলনার লবণচরায় গুলজান সিটি প্রাঙ্গণে ক্রীড়াক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য খুলনা জেলার দেশবরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের সহযোগিতায় খুলনা জেলার সাবেক ক্রীড়াবিদদের এই মিলন মেলায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরা কারাগারকে মাদকমুক্ত ঘোষণা
সংসদ সদস্য আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতার জন্য খুলনায় তিনটি মিনি স্টেডিয়ামসহ দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেক স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। চিকিৎসা ও যোগাযোগের মান উন্নয়নের জন্য খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে। খুলনা শিশু হাসপাতালে ১৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যার লভ্যাংশ দিয়ে গরীব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা করা হচ্ছে। হার্ট, কিডনি ও ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য খুলনায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ময়ুর নদের সংস্কারের কাজও চলমান রয়েছে। এসকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে খুলনা শহর তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক ক্রীড়াবিদ অধ্যাপক জাফর ইমাম, ক্রীড়াবিদ মো. আসলাম শেখ ও ইউনুছ আলী গাজী। এসময় জেলার সাবেক ক্রীড়াবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য খুলনা জেলার ৭০ জন সাবেক ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে তৈরি না হলেও পাশের দেশ থেকে সেগুলো আসছে। মাদকের ছোবল থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। এটি শুধু সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষ করার সম্ভব নয়। সমাজ মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ‘রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি। পরে তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মিদের সঙ্গে সে দেশের সরকারের যুদ্ধ হচ্ছে। এ কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলা পড়ছে। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘রাজশাহীতে বিএমডিএর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যিনিই জড়িত থাকনা কেন; তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলে শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার করা হলো। এর মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাদের অবদান কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ।’
জাদুঘর উদ্বোধন শেষে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
মাগুরা কারাগারকে মাদকমুক্ত ঘোষণা
মাগুরা জেলা কারাগারকে ‘মাদকমুক্ত’ ঘোষণা করেছেন কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আখেরুল ইসলাম। তিনি মাগুরা যোগদান করার পর থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন মাগুরা জেলা কারাগারকে।
ইতোমধ্যে মাগুরা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কক্ষ, কয়েদিদের থাকার স্থান সহ মাগুরা জেলা কারাগারকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মাগুরা জেলা কারাগার চত্বরে ‘মাদকমুক্ত’ ঘোষণা করতেও সক্ষম হলেন এবার।
কারাগার আধুনিক সভ্যতায় বন্দীদের সংশোধন ও সুপ্রশিক্ষিত করে সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন কারণে মানুষ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। আইন অনুসারে শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি তাকে সংশোধন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশ কারা বিভাগের। তাই বাংলাদেশ কারা বিভাগের মূলমন্ত্র হচ্চে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ।’
সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে এক সাক্ষাৎকারে মাগুরা জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আখেরুল ইসলাম জানান, বন্দীদের নিরাপদ আটক নিশ্চিতকরণ সহ কারাগারের কঠোর নিরাপত্তা ও বন্দীদের মাঝে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছয় মাসের সাজা ভোগের পরও তিন বছর ধরে মাগুরা কারাগারে ভারতীয় নাগরিক!
সাক্ষাৎ প্রার্থীদের সহজ ও ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে কারাগারের বহির্বিভাগ ও অভ্যন্তরে ১টি করে দোকান চালু করা হয়েছে। এর ফলে আগত সাক্ষাৎ প্রার্থীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করে বন্দীদের সরবরাহ করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন কারাগারে অবৈধ দ্রবাদির প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, অন্য দিকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখাও সহজ হচ্ছে।
মাগুরা জেলা কারাগার থেকে বন্দীদের সাথে দেখা করতে আসা ব্যক্তিরা কি কি সেবা পাবেন জানতে চাইলে জেলার বলেন, আত্মীয়-স্বজন হাজতী বন্দীদের সঙ্গে ১৫ দিন অন্তর অন্তর একবার দেখা করতে পারবেন। কয়েদী বন্দীর সাথে মাসে একবার দেখা করা যাবে।
আরও পড়ুন: শাপলা তুলে জীবিকা চলে মাগুরার রহিতোষ মল্লিকদের
একবারে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের জন্য এবং সর্বোচ্চ পাঁচজন এক সাথে একজন বন্দীর সাথে দেখা করতে পারবে। বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে বন্দীদের সাথে আত্মীয়-স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। তবে অস্থায়ী টেলিফোন বুথে বন্দীদের সাথে কথা বলার সুযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া কারাগারে আটক বন্দী অথবা কারো সম্বন্ধে কোন তথ্য জানতে চাইলে কারাগারের ফটকের সামনে অবস্থিত রির্জাভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষীর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। কারাগারে আটক বন্দীদের ব্যক্তিগত তহবিলে (পিসি) অর্থ জমা রাখার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। মোবাইল বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ে সাক্ষাৎ কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের দেখা সাক্ষাৎ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করা হয়েছে।
ওকালতনামা স্বাক্ষরের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত এই জেলার জানান, ওকালতনামা স্বাক্ষরের ব্যাপারে অবৈধ অর্থের লেনদেন রোধে কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে ওকালতনামা দাখিলের জন্য নির্ধারিত বক্স রয়েছে। নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর বক্স খুলে ওকালতনামা স্বাক্ষরের পর বন্দীর বিজ্ঞ কৌশলী/আত্মীয়দের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওকালতনামা বন্দীর স্বাক্ষরের জন্য কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না মাগুরা জেলা কারাগারে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
যদি কেউ এ ব্যাপারে কোনও অর্থ দাবি করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি রির্জাভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষী অথবা সরাসরি জেল সুপার/জেলার এর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও কারাগারে আটক বন্দীদের স্ব-স্ব ধর্ম প্রতিপালনের স্বার্থে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগসহ প্রতিপালনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
নারী কয়েদীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আখেরুল ইসলাম বলেন, ‘নারী বন্দীদেরকে সেলাই, এমব্রয়ডারী, নকশীকাঁথা, বেডশিট, বালিশের কভার ও শাড়ির ওপর ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাদের তৈরিকৃত এসব পণ্য বাহিরে বিক্রয় করে আয়ের একটি অংশ এ শ্রমে নিয়োজিত বন্দীদের ব্যক্তিগত পিসিতে জমা দেয়া হয়।’
মাদকমুক্ত মাগুরা জেলা কারাগারসহ বন্দীদের সাথে মানবিক আচরণ করা, যথাযথভাবে তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা এবং আত্মীয়-স্বজন, আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করা, একজন সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাগুরার সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন এই ভারপ্রাপ্ত জেলার।
৩ বছর আগে