পাইলট
বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলেছেন আদালত।
এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিমানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সিভিল এভিয়েশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে যুক্ত করতে বলেছেন আদালত।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে রবিবার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
এর আগে পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
জনস্বার্থে গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিটটি করা হয়।
রিটে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
রিটে পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতি চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে।
পাইলট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যকে। বিমানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এই নিয়োগের তদন্ত চায় বাপা।
এর আগে বিষয়টি তদন্তের দাবি করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর একটি চিঠি জমা দেয় বাপার নির্বাহী কমিটি। একইভাবে এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিমানের প্রশাসন ও ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকদের কাছে।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম তুলে ধরে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্রিকায় বিমানের পাইলট নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
বাপার পর্যবেক্ষণেও দেখা গেছে, নিয়ম ভেঙে পাইলট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়োগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের ট্রেনিং বিভাগের প্রধানকে। যার নিজের স্ত্রী পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এটি নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
এদিকে বাপা বলেছে, পাইলট নিয়োগে বিমান ও বাপার মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। তবে নিয়োগের সময় এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়োগের সময় বাপার মতামতকে পাত্তা দেওয়া হয়নি।
বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ চালনার জন্য নতুন করে কোনো পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে বিমানের পক্ষ থেকে এই উড়োজাহাজের জন্য ক্রু নিয়োগের সার্কুলার দেওয়া হয়। ক্রুদের বাছাই করে ট্রেনিং দেওয়ার মেইল পাঠানো হয়েছে।
একজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে বিমানের ফার্স্ট অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি সিম্যুলেটর ট্রেইনিং করেননি। পরবর্তী সময়ে বিমানের খরচে তাকে ট্রেনিং করতে পাঠানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ অপচয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিমানের চরম গাফিলতির কারণে বোয়িং-৭৮৭ ফ্লাইটের ক্রুদের বিদেশে গিয়ে জেডএফটিটি এবং পিপিসি নামের দুইটি ট্রেনিং রিটেক করতে হচ্ছে, যা বিমানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়ের অন্যতম কারণ। বোয়িং-৭৭৭ এর জুনিয়র পাইলটকে পাইলটদের প্রশিক্ষক বানানো হয়েছে যা অনৈতিক। এটি সিনিয়র পাইলটদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
অনিয়মের কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ সতর্কতা চিঠি (ওয়ার্নিং লেটার) পেয়েছে। এটি একটি এয়ারলাইনসের জন্য বিব্রতকর বিষয়।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়েকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিংয়ের সময় ওই নারী পাইলটের সাধারণ জ্ঞান কম থাকায় তাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই পাইলটের পক্ষে বোয়িং-৭৭৭ এর ট্রেনিং নেওয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
বাপা জানায়, বাপা চায় বিমানে দক্ষ পাইলট নিয়োগ দেওয়া হোক। পাইলট নিয়োগে সব নিয়মনীতি মানা হোক, যা বিমানকে উচ্চমানের একটি এয়ারলাইনসে পরিণত হতে সাহায্য করবে। এ জন্য বাপা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি করছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
১ বছর আগে
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি এ কথা জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সংলাপ পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে পাইলট নিয়োগের বিষয়ে। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরাও তদন্ত করেছি, বিমানের নিজস্ব তদন্তও হয়েছে। এর মধ্যে ইনিশিয়ালি যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সম্ভবত ৯ জন, তারা সিলেক্ট করেছিল। এই ৯ জনই বাদ পড়েছে বা জয়েন করেনি।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত দাবি করে ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠায়।
আরও পড়ুন:ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
পর্যটনকেন্দ্র পর্যটক হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাবলিক অ্যাওয়ারনেস জরুরি। অন্যান্য দেশগুলোতে জনগণ সেটি জানে, সেদিকে নজর রাখে। কক্সবাজারসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের ডিসিকে আমরা বলেছি তারা যাতে নজর রাখেন। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মূল্য তালিকা দেখতে বলেছি। সবাইকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে পর্যটনে সফলতা আসবে না। পরিবেশ তৈরি হলে বিদেশি পর্যটক আসবে। সরকার আন্তরিক, একটা ক্যাম্পেইন দরকার পর্যটনকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।
স্বর্ণ চোরাকারবারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বর্ণ ধরা পড়ার ঘটনার সাতদিন আগে গিয়েছিলাম। সেখানে ভিতরের গেটটি দেখে আমার সন্দেহ হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম সমস্যা হতে পারে, তার চারদিন পরই ঘটনাটি ঘটেছে। এখন শক্তিশালী গেইট দেয়া হয়েছে, সিসি টিভি লাগানো হয়েছে। বিমানে যারা উঠবে নামার সঙ্গে সঙ্গে যাতে চেক করা হয় সেটি বলেছি। এটি দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য এয়ারপোর্টে বেরিকেড দেয়া হয়েছে। তবে যাত্রীরা ট্রলি নিয়ে যাতে রোড পর্যন্ত বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ট্রলি পায় ঠিকমতো সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা আরও ট্রলি এনেছি, আশা করি ট্রলির সংকট হবে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারপোর্টে যাওয়ার বিষয়টি আমিও অনুধাবন করেছি। তৃতীয় টার্মিনালে যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীরা যেকোন পরিবহন নিয়ে যেতে পারে সেভাবে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা কিন্তু যেকোন পরিবহন এয়ারপোর্টে গিয়ে আবার বের হয়ে আসতে পারবে কোন প্রকার ট্রাফিক সিগনাল ছাড়া।
আরও পড়ুন:ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরু
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
২ বছর আগে
নবাবগঞ্জে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: পাইলটের মৃত্যু
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারের পাইলট মঙ্গলবার মারা গেছেন।
নিহত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৪৫) র্যাবের এয়ার উইং পরিচালক।
গত ২৭ জুলাই ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার একটি জলাশয়ে বিধ্বস্ত হলে দুই পাইলট আহত হন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, পাইলট- লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল এবং মেজর শামসকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কর্নেল ইসমাইলকে পিঠের হাড়ে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ৫ আগস্ট তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনা, ২ পাইলট আহত
গত ৬ আগস্ট হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার করা হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পরে মঙ্গলবার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে কর্নেল ইসমাইল তার বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
কর্নেল ইসমাইলের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, র্যাব ডিজি এবং র্যাব ও সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার
২ বছর আগে
সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনা, ২ পাইলট আহত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার অবতরণকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুজন পাইলট আহত হয়েছেন।
আহত দুই পাইলট লেফটন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল ও মেজর শামসকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তির মৃত্যু
আর্মি এভিয়েশনের বিইএলএল-২০৬ হেলিকপ্টারটি রুটিন প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার অংশ হিসেবে জরুরি অবতরণ পদ্ধতি অনুশীলন করছিল। এ সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা ও হেলিকপ্টারের নিরাপত্তায় স্থানীয় পুলিশ সহায়তা দিচ্ছে।
এছাড়া হেলিকপ্টারটি উদ্ধারে পোস্তগোলা ও মাওয়া সেনানিবাসের নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
২ বছর আগে
ইউএস-বাংলার খরচে পাইলট হবার সুযোগ
বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিজ খরচে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাইলট বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
যেসব মেধাবী বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞান বিভাগে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অথবা এ লেভেলে নূন্যতম দুই বিষয়ে (গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান) গ্রেড-বি পেয়েছেন তারা এক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকরাও আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের সময় বয়স সর্বোচ্চ ২৫ বছর হতে হবে। উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি নূন্যতম।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রার্থী নির্বাচনী সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে সকল টেস্টে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ৫০জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিতদের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের খরচে বিশ্বের খ্যাতনামা ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানো হবে। দুই বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্নের পর উত্তীর্ণ পাইলটগণ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদান করতে পারবেন।
স্টুডেন্ট পাইলটদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে আইকিউ টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য পরীক্ষা। অনলাইনে আবেদন করা যাবে
usbair.com/career/studentpilot এ ঠিকানায়।
আবেদনের শেষ তারিখ ৫ মে ২০২২।
আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন ইউএস-বাংলার ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইট
ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বাড়ল চেন্নাই ও মালেতে
২ বছর আগে
কাশ্মিরে পাকিস্তানের সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিরোধপূর্ণ কাশ্মির উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারের দু’জন পাইলটই নিহত হয়েছেন।
সোমবার দেশটির সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত দুই পাইলট হলেন মেজর ইরফান বের্চা ও মেজর রাজা জিশান জাহানজেব।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,বিমানটি সিয়াচেন হিমবাহে বিধ্বস্ত হয়েছে। কারাকোরাম রেঞ্জে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম পর্বত হিমবাহগুলির মধ্যে একটি এই সিয়াচেন হিমবাহ। প্রায়ই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার বিরোধের কারণে এটিকে ‘পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনডোসা নিহত
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার ও সেনা পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিয়াচেন এমন একটি জনশূন্য স্থান যেখানে যুদ্ধের চেয়ে তুষারপাত বা তীব্র ঠান্ডায় বেশি সেনা মারা গেছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে হওয়া তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি হয়েছে কাশ্মীর নিয়ে।
আরও পড়ুন: কেরালার বিমান দুর্ঘটনায় শেখ হাসিনার শোক
তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় ৭ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
৩ বছর আগে
যথাযোগ্য মর্যাদায় ক্যাপ্টেন নওশাদের দাফন সম্পন্ন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের নাগপুরে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট বিজি-০২৬ তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯ টা ১২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।
এসময় বিমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, এমপি, সচিব জনাব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও বিমানের পাইলটসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীগণ এ সময় উপস্থিত থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এরপর ক্যাপ্টেন নওশাদ এর মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২ টায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে তার মৃত দেহ আনা হলে সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি. এর পক্ষ থেকে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব (অবঃ) সাজ্জাদুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অতঃপর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও সর্বস্তরের কর্মীগণ উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
জানাজা শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর মরদেহ বিকাল ৪ টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নওশাদ মাস্কট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার সময় মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুরে নিরাপদে বিমান অবতরণের জন্য প্রশংসিত হন। ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট তখন থেকেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩ বছর আগে
পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ ভারত থেকে দেশে আনা হবে।
বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই শোকাবহ, একজন সম্মানিত পাইলট, যিনি এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে অনেক যাত্রীর জীবন রক্ষার্থে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং যাত্রীদেরকে নিরাপদে অবতরণের ব্যাপারে দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি আজকে আমাদের মধ্যে নেই, আমরা অত্যন্ত শোকাবহ।
তিনি বলেন, ‘যতদ্রুত সম্ভব তার মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সম্ভবত আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টায় উনার মরদেহ আসবে। আমরা মর্মাহত এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু নিয়মিত ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে না, এখন কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মিশন প্লাস ওই দেশের সিভিল এভিয়েশনের পার্মিশন, সবগুলোই নিতে হবে। যে অপশনটি সহজ হয়, সে অপশন ব্যবহার করেই আমরা নিয়ে আসব।’
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পাইলট নওশাদ: একজন বীরের মৃত্যু
মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
৩ বছর আগে
পাইলট নওশাদ: একজন বীরের মৃত্যু
মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নাগপুরে নিরাপদে বিমান অবতরণের জন্য প্রশংসিত হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম সোমবার ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
৪৪ বছর বয়সী পাইলট ২৭ আগস্ট মাঝামাঝি সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতের পশ্চিম মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, যেখানে তিনি সোমবার সকালে মারা যান।
আরও পড়ুন: অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমানের ফ্লাইট বিজি০২২ ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের নাগপুর শহরে জরুরি অবতরণ করে। পরে পাইলটকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহবুব আলী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন পাইলটের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
এক বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদ একজন দক্ষ পাইলট ছিলেন এবং তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে যাত্রীদের এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে বিমান তার মতো একজন দক্ষ পাইলটকে হারিয়েছে।
৩ বছর আগে
অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অসুস্থ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের সুস্থতার জন্য উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
শনিবার বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্যকে আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মত দক্ষ পাইলট একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। তিনি কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে তাঁর দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট ওমানের মাস্কাট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। তার চিকিৎসার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সার্বক্ষণিক তদারক করছে। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছে ভারতে জরুরি অবতরণকারী বিমানের যাত্রীরাউল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট মাস্কাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। পরবর্তীতে বিমানের পাইলটকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩ বছর আগে