কক্সবাজার বিমানবন্দর
শনিবার সকাল ৭টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কক্সবাজার বিমানবন্দর
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি জানানোর সময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেছিলেন যে সকালে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এক নির্দেশনায় জানায়, চট্টগ্রাম বোর্ড, কুমিল্লা বোর্ড, বরিশাল বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে রবিবারের (১৪ মে) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি থাকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে,মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জেলেদের ফিরিয়ে আনতে ভোলায় কোস্টগার্ডের প্রচারণা
১ বছর আগে
বাংলাদেশকে বিশ্বের যোগাযোগের কেন্দ্রে পরিণত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বিমান চলাচলের একটি কেন্দ্রে পরিণত করতে চায় যা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে আমরা দেশটাকে বিশ্বের বিমান চলাচলের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, এতে আমাদের দেশ আর্থিকভাবেও বেশি উপকৃত হবে।’
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের যুগান্তকারী কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বিমান শিল্পের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘এক সময় হংকং, সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংকক গুরুত্ব পেয়েছে, এখন দুবাই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। আমি বলতে পারি যে ভবিষ্যতে কক্সবাজার হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পশ্চিমা দেশগুলো ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে এটি আমাদের ব্যবসা -বাণিজ্য সম্প্রসারণে সাহায্য করবে।’
হাসিনা বলেন, শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে মুখ করে থাকব না। আমাদের অন্যান্য দেশের সাথেও বিমান যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর চারটি বোয়িং-৭৭৭, দুটি বোয়িং-৭৩৭ ও চারটি বোয়িং-৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং-৭৮৭-৯ ও চারটি ড্যাশ-৮ সহ মোট ১৬টি অত্যাধুনিক বিমান যুক্ত করেছি।
তিনি বিমান কর্মকর্তাদের সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে এবং নিরাপত্তাসহ সকল সেবাকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নীত করতে চায় যাতে ভুটান, নেপাল এবং কিছু ভারতীয় রাজ্য এটি ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু
কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন আজ
কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের আরও অনেক দেশি -বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য এই এলাকার অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) কক্সবাজার বিমানবন্দরের সমুদ্র তীরবর্তী রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এই ধরনের সমুদ্র তীরবর্তী রানওয়ে বাংলাদেশে প্রথম যা বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
মূলত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পটি শেষ হলে বড় আকারের বিমানগুলো এখানে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প কক্সবাজার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: সাত মাসেও আলোর মুখ দেখেনি ‘সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প’
সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো পর্যটন নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেগা পরিকল্পনার আওতায় সরকার বর্তমানে কক্সবাজারে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
৩ বছর আগে