সেপ্টেম্বর
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ৩৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৪৮ জন নারী ও ৫৩ জন শিশু।
বেসরকারি সংস্থা আরএসএফ শনিবার (৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৫১ জন (৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ) মোটরসাইকেল চালক; ১৬ (৪ দশমিক ০৬ শতাংশ) বাস যাত্রী; ১৫ (৩ দশমিক ৮০ শতাংশ) ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপের আরোহী এবং ৬৮ (১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ) সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশার মতো থ্রি-হুইলারের আরোহী ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৩৯ (৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ১৮৩ (৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৪৯ (১২ দশমিক ৩১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ২২ (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ) এবং ৫ (১ দশমিক ২৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য জায়গায় ঘটেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ১১৬ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ২০টি দুর্ঘটনা হয়েছে, যেখানে ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি দেশের সড়কে উচ্চ সংখ্যক হতাহতের জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে- ১.ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ২.বেপরোয়া গতি; ৩.চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; ৪.বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; ৫.মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; ৬.তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; ৭.জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; ৮.দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; ৯.বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; ১০.গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী চিনির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ: এফএও
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, প্রধান সরবরাহকারীদের উৎপাদন হ্রাস, জ্বালানির দাম এবং এল নিনোর প্রভাবের কারণে সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী চিনির দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালের পর এই দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এফএও আরও জানিয়েছে, চিনির উৎপাদন কম হওয়ার কারণে সেপ্টেম্বরে চিনির দাম আগস্টের তুলনায় গড়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি ছিল। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে শুষ্ক আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: খরা, যুদ্ধের মধ্যে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়: এফএও
এফএও সাব-ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০১০ সালের নভেম্বরের পর গত সেপ্টেম্বরে চিনির দাম বৃদ্ধি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। কিন্তু সামগ্রিক এফএও খাদ্য মূল্য সূচকের অন্যান্য খাতে কম নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে।
বৈশ্বিকভাবে লেনদেন হওয়া খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যের মাসিক পরিবর্তনের হিসাব রাখা সূচকটি সেপ্টেম্বরে গড়ে ১২১ দশমিক ৫ পয়েন্ট ছিল, যা আগস্টে ছিল ১২১ দশমিক ৪ পয়েন্ট।
এফএওর মতে, এক বছর আগে সূচকটি বর্তমান মূল্যের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কম ছিল এবং ২০২২ সালের মার্চে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ কম ছিল।
আরও পড়ুন:কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭টি দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ ছাড়া একই সময় আহত হয়েছেন ৬৮১ জন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত এবং ৬৫১ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন।অ এ ছাড়া নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ৪ জন আহত ছাড়া এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ছাড়া সারাদেশে মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ঢাকা শহরে, ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে এবং ০ দশমিক ২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
মোট দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রয়েছেন ১০ জন, ১৪৩ জন চালক, পথচারী ৬৬ জন, ৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৫ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৪৪ জন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৯, আহত ৫৪৪ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো চিহ্নিত করেছে।
কারণগুলো হলো-
বিপজ্জনক ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ফুটপাতের অভাব বা ফুটপাত দখল, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে ফিডার রোড থেকে হঠাৎ করে যানবাহন প্রবেশ, ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেনের অভাব, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন ফিডার রোড থেকে ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা নেমে আসাও এর অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
সেপ্টেম্বরে বিজিবি ১৯২ কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৯২ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য জব্দ করেছে।
অন্যদিকে, গত আগস্টে বিজিবি ২১৫ কোটি টাকার মালামাল জব্দ করেছিল। যা গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২২ কোটি ৮১৩ লাখ টাকা বেশি ছিল।
আরও পড়ুন: আগস্ট মাসে ২১৫.২৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে- ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৭ পিস ইয়াবা, ১০ দশমিক ৯৯১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১১ হাজার ৭০৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৮৩৯ বোতল বিদেশি মদ, ৫ হাজার ৭১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ২১২ কেজি গাঁজা, ৩০ দশমিক ৪১৫ কেজি হেরোইন, ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১০৬ প্যাকেট সিগারেট ও বিড়ি জব্দ করা হয়।
শরিফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩ হাজার ১০৬টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ১ হাজার ৪৪৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ৩১ কেজি ১৯ কেজি স্বর্ণ, ২৬ দশমিক ৭০৬ কেজি রূপা, ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৮টি কসমেটিকস, ১৯ হাজার ৫৬টি নকল জুয়েলারি, ২৪ হাজার ৩১২টি শাড়ি, ১০ হাজার ৮০৬টি থ্রিপিস/শার্ট-পিস/বিছানার চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭২০ সিএফটি কাঠ, ৬ হাজার ৫৩৫ কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১০ কেজি কয়লা, ১১টি হার্ড রকের প্রতিমা, ৫টি পিকআপ ভ্যান, ৫টি পিকআপ ভ্যান এবং ৬টি পিকআপ ভ্যান।
জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- চারটি পিস্তল, বিভিন্ন ধরনের ৯টি বন্দুক, সাতটি ম্যাগাজিন ও ২৬ রাউন্ড গুলি।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৬ জন চোরাকারবারিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৪ জন ভারতীয় নাগরিক এবং মিয়ানমারের ১৩১ জন নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করুন: বিজিবি মহাপরিচালক
৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১৫৫টি অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন আহত হলেও কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আগস্টে ঢাকা শহরে ১২৮টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সে হিসেবে সেপ্টেম্বরে ২৭টি দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে।
তবে মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্টে সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১ হাজার ৬৬৭ টি থেকে সেপ্টেম্বরে ৯০ টি হ্রাস পেয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মাসে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি এবং রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে আরও বলা হয়, অন্যান্য দুর্ঘটনায় ৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
এছাড়া, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ১৩টি, লিফটে ১৫টি, বজ্রপাতে ১৯টি এবং পানিতে ডুবে ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মাসে সারাদেশে নদী, পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানিতে ডুবে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঘটনায় সারাদেশে তাদের কার্যালয়গুলো ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের জবাব দিয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ১ হাজার ১৫২টি কলের জবাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৯৮ জন রোগীকে পরিবহন সেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কৃষি মার্কেটের আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা: ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক
পুলিশ নদীতে খোয়ালেন রাইফেল, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল
সেপ্টেম্বরে দেশে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স এসেছে
বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ (১৯৬ মিলিয়ন ডলার) কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা প্রায় গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২২৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
প্রবাসীরা আগস্ট মাসে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। ফেব্রুয়ারি মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ আরও একধাপ কমে ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এরপরে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা চলতি বছরের জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এবং জুলাই মাসে তা ছিল ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
এই খাতের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যখন খোলা বাজারে বিনিময় হার ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন হুন্ডিতে লেনদেন বেড়ে যায়। আর হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিটেন্স কমে যায়।
গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি।
তাই বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: ২০২৩’ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশ মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে।
এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
'অব্যবস্থাপনার রেসিপি'
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি ভিন্ন শিরোনামে মার্কিন ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।
বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫ পয়সা। রপ্তানি বিল ক্যাশিং প্রতি ডলারে 109 টাকা 5 পয়সা দেওয়া হয় এবং আমদানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য ১১০ টাকা ৫ পয়সা দেওয়া হয়।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেছেন, এটি অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার একটি রেসিপি।
তিনি বলেন, মার্কিন ডলারের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ চ্যানেলের (হুন্ডি) মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। খোলা বাজার এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর একই রকম না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতি নাও হতে পারে।
মনসুর বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে কম রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, কারণ দেশ থেকে নির্বিচারে অর্থ পাচার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রেকর্ডসংখ্যক শ্রমিক রপ্তানি করলেও, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে; যা পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
সেপ্টেম্বর মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজিতে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগস্ট মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ৯৪ টাকা ৯৬ পয়সা, যা এখন বেড়ে ১০৭ টাকা ০১ পয়সা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর)বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করেছে।
খুচরা ক্রেতাদের এখন ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার আগের ১ হাজার ১৪০ টাকার পরিবর্তে ভ্যাটসহ ১ হাজার ২৮৫ টাকায় কিনতে হবে।
অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির গ্রাহকদের অতিরিক্ত ১৪৪ টাকা খরচ করতে হবে।
আগস্টে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম বেড়েছিল ১৪১ টাকা।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই হারে বাড়বে।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
আজ (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটারে ৫২ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা ৮৭ পয়সা (ভ্যাট সহ) হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে ৬ টাকা ৭ পয়সা বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
প্রতিকেজি এলপিজির দাম ১৩ টাকা ৪২ পয়সা কমেছে
আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
আগামী মাসে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সফর নিয়ে কাজ করছে এবং ১১ সেপ্টেম্বর ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলেও জানান তারা।
তবে এই সফরের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি। এই সফরকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করার আরও প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফরাসি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহরের ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
দুই নেতার নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ফ্রান্স ও বাংলাদেশ কৌশলগত দিকনির্দেশনার জন্য নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শের মাধ্যমে তাদের অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও গভীর করার জন্য তাদের অভিন্ন ইচ্ছার কথা তুলে ধরেছে।
উভয় দেশ রাজনীতি ও কূটনীতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় দেশ প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে টেকসই ও বাস্তব সহযোগিতার গুরুত্বকেও স্বীকৃতি দিয়েছে।
দুই দেশের অংশীদারিত্বের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স।
সেই লক্ষ্যে, উভয় দেশ সংলাপ জোরদার করতে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, যা ওই সফরের সময় চালু হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় দুই দেশ। উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সম্মতিপত্রে সই করেছে।
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং সবার জন্য অভিন্ন সমৃদ্ধির ভিত্তিতে একটি অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একই মত পোষণ করেছে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ম্যাক্রোঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
দাবি আদায়ে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘটে যাবে খুলনার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে জ্বালানি তেল বিক্রয়ে কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাত ৮টায় খুলনা নিউ মার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
খুলনা জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির আয়োজনে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের চেষ্টা করছে সরকার: জ্বালানি সচিব
তাদের ৩ দফা দাবি হলো- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনোমিক লাইফ ৫০ বছর নির্ধারণ করতে হবে, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করতে হবে এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট এ সংক্রান্ত সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস বলেন, অনেকদিন ধরে তিনটি দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ সরকার মানছে না। আগে তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিশন বাড়ানো হতো। তাই এবার তেলের দাম বাড়লেও কমিশন বাড়েনি। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের বিষয় সমাধান না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করব।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, সহ-সভাপতি মহিবুল হাসান থ্রাইমস ও কোষাধ্যক্ষ এসএম মুরাদ উজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র, পঞ্চগড়। এ উপলক্ষে চেম্বারের হলরুমে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)থেকে শুরু হয়েছে “অনলাইন টি অকশন” বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।ব্রোকার হাইজ সমূহের যৌথ উদ্যোগে স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হান্নান শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
দুই দিনের প্রশিক্ষণে অকশন সেন্টারে অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কীভাবে চা বেচা কেনা করা হবে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণে ব্রোকার হাউজ, ওয়্যার হাউজের মালিক, স্থানীয় বিডার এবং বায়াররা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
আইটি বিডিটেক অ্যাপসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদ বিন অপু ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপনন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহানন্দা ব্রোকার হাউজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম এ শাহীন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এই নিলাম কেন্দ্রটি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এটি হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চল। বৈশ্বিক মহামারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের দেশের মোট উৎপাদনের ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন করেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলো। মোট উৎপাদনের ৮১ শতাংশ উৎপাদন করেছে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৮টি, অনিবন্ধিত ২০টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান ৭ হাজার ৩৩৮টি, নিবন্ধিত ১ হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম তেঁতুলিয়া টি কোম্পানি লিমিটেড চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করে একে একে জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিয়া সিড