সম্প্রসারণ
ভারতের টাইটান ও বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের চুক্তি সই
বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটান।
বিখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্কের ঘড়ি, চশমা, পারফিউম বাংলাদেশে বাজারজাত করবে রিদম গ্রুপ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে টাইটানের সদর দপ্তরে টাইটান কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের মধ্যে এ সংক্রান্ত এক যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ২০০ ব্রডগেজ বগি কেনার চুক্তি সই
টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি.কে. ভেঙ্কটরামান এবং রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাইটানের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সিইও কুরুভিলা মার্কোস।
চুক্তির আওতায়, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তানিষ্কের গয়না তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করা হবে। এই কারখানা স্থানীয় বাজারের জন্য গয়না তৈরি করবে এবং পরে খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে।
গত তিন বছরে, তানিষ্ক সফলভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করেছে। রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ তানিষ্কের বাংলাদেশি বাজারে প্রবেশের একটি বড় পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে তৈরি গয়না স্থানীয় চাহিদা মেটাবে এবং ভারতের ৪৫০টি আউটলেট ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হবে, যা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
কুরুভিলা মার্কোস বলেন, ‘আমরা রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমাদের সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কারিগর, বিক্রেতা ও গ্রাহকদের কাছে সেরা মূল্য দিতে চাই।’
সি.কে. ভেঙ্কটরামান বলেন, ‘বাংলাদেশি বাজারে টাইটানের প্রবেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পকে উঁচুতে নিয়ে যেতে এবং তানিষ্কের পণ্য তৈরি কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘টাটা গ্রুপের অধীনে ভারতের প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটানের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমাদের দেশ ও ব্যবসার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের পর শিগগিরই তারা ঢাকায় তানিষ্কের পাঁচটি জুয়েলারি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, টাটা গ্রুপের অধীনে টাইটানের জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্ক গ্যারান্টিযুক্ত পণ্যের মানের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই নগর উন্নয়ন অপরিহার্য: বিশেষজ্ঞরা
৫ মাস আগে
কার্যক্রমের পরিধি বাড়ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের: গণপূর্তমন্ত্রী
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে উপজেলা পর্যন্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যত্রতত্র ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে একদিকে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের আবাসন পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী
মফস্বলে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা প্রয়োজন এবং এজন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
কর্মক্ষেত্র অকারণে কালক্ষেপণ না করে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যমান আইন মেনে যেকোনো সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাগৃক সদস্য (ইঞ্জিনিয়ার) মোসলেহ উদ্দিন গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে প্রাকৃতিক পাথরের মূল্য দেশীয় বাজারে অনেক বেশি। অন্যদিকে সিমেন্ট শিল্পের স্বার্থে যেসব পাথর আমদানি করা হয় সেসব পাথরের আমদানি শুল্ক কম হওয়ায় বাজারে এর মূল্য অনেক কম। ফলে বেসরকারি নির্মাণ শিল্পে এসব নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ফলে কম স্থায়িত্বের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুন: জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
এজন্য গণপূর্তের রেট শিডিউলে রেডিমিক্স কংক্রিট ও পরিবেশবান্ধব ব্লকের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে দেশীয় অনেক ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা লিফটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্র মেকানিক্যাল সামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে। কিন্তু গণপূর্তের রেট সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে এসব পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই।
রেট সিডিউলে এসব দেশীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী এসব প্রস্তাবনা লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ ভবন বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করেই ভাঙা হবে: গণপূর্তমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী মিশর: পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করছে মিশর।
তিনি জানান, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পাটমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহিম এলদিন আহমেদ ফাহমি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্ত্রী বলেন, মিশরের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করায় তাকে অভিন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার প্রশংসা করেছেন। গত বছর মিশর ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি জানান, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মিশর ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র, তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।
আলোচনায় জাহাঙ্গীর কবির নানক মিশরের রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে মিশর বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরাদার হবে। বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী দেশ।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের উদ্যোক্তরা পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিশর পাট ও বস্ত্রখাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার হবে না এবং দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন সর্বজনীন করার জন্যই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যে মেলা আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী
১০ মাস আগে
মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা মেট্রোরেল উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য জরিপ চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমা ও বইমেলাসহ বিভিন্ন দিনে মেট্রোরেলের সার্ভিসের সময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার-শাহবাগ স্টেশন
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে এবং মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’
ট্রেনের প্রতিটি ট্রিপের সময়ের ব্যবধান হবে পিক আওয়ারে ১০ মিনিট এবং অফ-পিক আওয়ারে ১২ মিনিট।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিকালে উত্তরা উত্তর থেকে মেট্রোরেলে মতিঝিল যাব। সময় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলে নিয়মিত যাতায়াত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘
তিনি বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন চালু হবে।
কাদের বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উত্তরা-মতিঝিল রুটে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
১১ মাস আগে
বুড়িমারী স্থলবন্দর সম্প্রসারণ: উন্নত বাণিজ্য ও পরিষেবার দিকে যাত্রা
পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবা দিতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে আরো ৬০ একর ৮৯ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
‘স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি করা মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং নির্মাণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দর।
প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে এই স্থলবন্দরটির। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশিরা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪০ একর জমিতে হচ্ছে কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে আরো ৬০ একর ৮৯ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কমবে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১১ একর ১৫ শতক জমির উপর বুড়িমারী স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, ৩টি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দু’টি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি এক হাজার টন ধারণ ক্ষমতার শেড, দু’টি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দু’টি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বুড়িমারী স্থলবন্দর, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, ‘পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলা সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সব পক্ষেরই সুবিধা হবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে বিশ্বমানের একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এতে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সব ধরনের চোরাচালান ও অনিয়ম বন্ধের পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।’
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ৮দিন বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
'পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ' শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নের পর ঢাকা শহর ও তৎসংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। যা হবে ডিজিটাল ঢাকা শহরের মূল ভিত্তি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা।
টিবিইএ'র ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক মা ইউএনবিকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন যে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরিচালক মা বলেন, টিবিইএ ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের অধীনে কাজ করছে। যার অধীনে বেশ কয়েকটি উপপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে এই প্রকল্পটি দুই দেশের সরকারের মধ্যে বৃহত্তম বিদ্যুৎ সহযোগিতা প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
১ বছর আগে
বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
চীন বলেছে যে ব্রিকস-এর সম্প্রসারণের বিষয় জোটটির পাঁচ সদস্য একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে বলেন, ‘চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদারদের যুক্ত করতে প্রস্তুত।’
মাও বলেন, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস বহুপক্ষীয়তা সমুন্নত রাখতে, বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কারকে জোরালোভাবে এগিয়ে নিতে এবং উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে ঢাকা স্বাগত জানাবে
এর আগে গত ১৯ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের জোটে যোগ দিতে ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে)। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন ব্রিকস নেতারা।’
এর আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হতে পারে।
আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন জোটটির নেতারা। গাউতেংয়ের জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
ব্রিকস নেতারা ব্রিকস বিজনেস ফোরামের সময় ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল ও অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
আফ্রিকা ও বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের নেতাদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা এর প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপের আয়োজন করা হবে।
মোমেন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডোরের আমন্ত্রণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দেশগুলোকে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে আরও সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
মোমেন জোটের দেশগুলোর উন্নয়ন, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাতের কথা উল্লেখ করেন।
ব্রিকস সদস্য দেশগুলোকে তাদের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নশীল অংশীদারদের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ফ্লাইট কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চায় এয়ার এশিয়া
বাংলাদেশের অন্যতম জনশক্তি রপ্তানির দেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। প্রবাসীদের যাতায়াত ও পণ্য আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বাড়াতে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদশের ফ্লাইট কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চায় মালয়েশিয়াভিত্তিক এয়ারলাইন্স এয়ার এশিয়া।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এয়ার এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যারেন চ্যান।
সংবাদ সম্মেলনে এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আকাশ যোগাযোগ সম্প্রসারণে এয়ার এশিয়া ও বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনাপূর্বক সাক্ষাত করতে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসে।
ক্যারেন চ্যান বলেন, বাজেট ফেয়ার, কাস্টমার সন্তুষ্টি ও যথাসময়ে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এয়ার এশিয়া জনপ্রিয় রুট হিসেবে পরিচিত। গত বছরের তুলনায় ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট অপারেশন করছে এয়ার এশিয়া। মেডিকেল ট্যুরিজম নির্ভর বিশেষ করে চোখের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের জন্য বেশ জনপ্রিয় দেশ ইন্দোনেশিয়া। ফিলিফাইন ও ইন্দোনেশিয়া রুটে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইট অপারেশনের সুযোগ আছে কি না সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক
তবে এ মূহুর্তে ইন্দোনেশিয়া-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন সরাসরি ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করায় কানেক্টিং ফ্লাইটে ঢাকার যাত্রীদের সময় নষ্ট হয় না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপানে অনেক বাংলাদেশি বসবাস করছেন। জাপানে এয়ার এশিয়া প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভিবাসন আয়ের এসব দেশেও বাংলাদেশিদের যাতায়াত সেবা দিতে চায় এয়ার এশিয়া।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম, ঐহিত্যনির্ভর বহু স্থাপনা, বৃহৎ সমুদ্রসৈকত রয়েছে। এখানে বিশ্বের সেরা তৈরি পোশাক শিল্পগুলো থাকায় বিদেশি ক্রেতারা আসছে। ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্ত থাকা অন্যান্য দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের এসব পর্যটন আকর্ষণের বিষয়গুলো এগুলো প্রমোট করতে চাই, যাতে তারা ভ্রমণে আগ্রহী হয়। ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে সে সুযোগ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে ডলার সংকট ও জেট ফুয়েলের দাম কয়েকদফা বৃদ্ধিতে এয়ারলাইন্স পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরবর্তী আমরা ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়েছি। বহরে নতুন নতুন মডেলের এয়ারক্রাফট যোগ করছি। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশের ১৬৫টি গন্তব্যে ফ্লাইট অপারেশন করছে এয়ার এশিয়া। ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সার্ভিস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কারণে কোনো কাস্টমারকে সার্ভিস পেতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নিতে হয় না। এতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফ্লাইটের চাহিদা বাড়ছে। সেবার মান বাড়িয়ে আমরা আরও অনেকদূর যেতে চাই। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে এয়ার এশিয়া বাংলাদেশের জিএসএ টোটাল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কাজী শাহ মুজাকখের আহমেদুল হকসহ এয়ার এশিয়া গ্রুপ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ঢাকার ৩টি ফ্লাইট নামলো সিলেটে
১ বছর আগে
কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেল ট্র্যাক সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন
কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেল ট্র্যাক নবায়ন এবং রেল স্টেশনের এপ্রোচ সড়ক ও পার্কিংসহ পুননির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের আয়োজনে উলিপুর রেলস্টেশনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মতিন এই কাজের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে থাকবেন ৬ নারী চালক, উদ্বোধনে চালাবেন মরিয়ম আফিজা
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) আসাদুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উলিপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচলের জন্য মিটারগেজ স্টিল ও কাঠের স্লিপার রেললাইন-১৯ কিলোমিটার, কুড়িগ্রাম স্টেশনে-৩টি এবং উলিপুর স্টেশনে একটি শাখা রেল লাইনের জন্য প্রায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৩শ টাকা ব্যয়ে পুননির্মাণ কাজ করা হবে। দেড় বছর মেয়াদকালে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উলিপুর থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেল পথে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলাচল করতে পারবে।
দারিদ্রপীড়িত কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে যাতে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তাতে এটি ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল মেট্রোরেলের প্রথম অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সম্প্রসারণ কাজের শুভ সূচনা করেন।
বাংলাদেশে ইতিহাসে এই রানওয়েই হতে চলেছে সমুদ্র তীরবর্তী প্রথম রানওয়ে। এরফলে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার মূল ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। স্থানীয় ফ্লাইটের পাশাপাশি এবং আন্তর্জাতিক ও বড় বিমানও এই রানওয়ে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মূলত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো সমুদ্র তীরবর্তী জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটি শেষ হলে বড় আকারের বিমানগুলো এখানে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প কক্সবাজার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো পর্যটন নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেগা পরিকল্পনার আওতায় সরকার বর্তমানে কক্সবাজারে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সম্পন্ন করার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালে ১০ মে ধরা হলেও, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরটি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।
৩ বছর আগে