উলিপুর উপজেলা
কুড়িগ্রামের উলিপুরের থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমিন প্রধানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফুলগাজীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে জিআর মামলা ৩৩২/২২ এর দণ্ডবিধির ৪৪৭/৪৪৮/৩৫৩/৩৩২ ধারায় বিজ্ঞ আদালত তার অপরাধ আমলে নেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এই বিবেচনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা পত্রে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
এ বিষয়ে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি প্রজ্ঞাপন পেয়েছি এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি জানি। ২০২২ সালে তহসিলদারকে মারার কারণে আমার নামে মামলা করা হয়েছিল। এ কারণে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আমরা এখনো অফিসিয়ালি প্রজ্ঞাপনটি পাইনি। পেলে এ বিষয়ে বলতে পারব।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাকিস্তান আমলে নির্মিত সেতুর মেরামত হয়নি, ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকালের দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাথারী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই শিশু হলো- সাব্বির হোসেন (৪) একই এলাকার মাঈদুল ইসলামের ছেলে ও ইভা মনি (৩) একই উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের ফজলাল রহমানের মেয়ে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
স্থানীয়রা জানান, দুই শিশু বাড়ির পাশে একটি খালের ওপর খেলতেছিল। কোনো এক সময় খালটিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায় তারা। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে খালে মেয়ে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করেন এক ব্যক্তি।
পরে লাশটি উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলেটিরও লাশও দেখতে পান। লাশ উদ্ধার করে দুইজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মেম্বার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি খালের পানিতে পড়ে দুই শিশু মারা গেছে। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগনি হয়। মেয়ে বাচ্চাটির বাড়ি ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
জামালপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুকন্যার মৃত্যু
১ বছর আগে
নকশী কাঁথা’র ‘সফল উদ্যোক্তা’ মর্জিনা বেগম
শুরুটা হয়েছিল পাঁচটি ছোট কাঁথা দিয়ে, যা দিয়ে কিছু আয় হয় তার। এ থেকেই উদ্বুদ্ধ হন নকশী কাঁথা তৈরিতে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের সেই নকশী কাঁথা তৈরি করে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বামনের হাট গ্রামের মর্জিনা বেগম। এতে তিনি শুধু নিজে সফলতা অর্জন করেননি বরং এলাকার বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের প্রায় ৩৬০ জন নারী সদস্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, তিন বছর আগে মর্জিনা বেগম গ্রামের কয়েকজন নারীকে বাড়িতে ডেকে এনে কাঁথা সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে দিতেন। এরপর তাদেরকে সাথে নিয়ে বাড়িতে বসে নকশী কাঁথা সেলাই করতেন। সেই কাঁথা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে যা লাভ হত তাই সকলের মাঝে বণ্টন করে দিতেন। প্রথমে কেউ আসতে না চাইলেও পরে তার কাছে কাজের জন্য এলাকার বিভিন্ন নারীরা আসতে থাকেন। এরপর নিজ প্রচেষ্টায় অসহায় নারীদের নিয়ে ‘তবকপুর মহিলা উন্নয়ন সমিতি’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। এসব নারীদের নিয়ে নকশী কাঁথা, বালিশ ও বালিশের কভার, শাল ও শাড়িতে ফুল তোলা, পাট দিয়ে গয়না, কাপড়ের গয়না, পাপসসহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন সামগ্রী তৈরি করে আসছেন।
কারখানায় প্রতি মাসে ২ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন একেকজন নারী শ্রমিক। যা দিয়ে তাদের সংসার নির্বাহ করার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মর্জিনা বেগমের মত উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ালে দারিদ্রতম এ জেলায় ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটার পাশাপাশি সৃষ্টি করবে কর্মসংস্থান। ভূমিকা রাখতে পারবে জাতীয় অর্থনীতিতেও।
আরও পড়ুন: তিন বছর ঘুরেও কৃষি সহায়তা পাচ্ছেন না কব্জি হারানো মুক্তার
২০১৯ সালে এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অর্ডার পান বেঙ্গল ক্রাফটের সাথে। সেখানে এক বছর কাজ করার পর করোনার কারণে অর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে ফ্রেন্ডশীফ বাংলাদেশের নদী লিমিটেডের সাথে নতুন করে চুক্তি হয়। এখন তাদের সাথে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করছেন তিনি। তার তৈরিকৃত নকশী কাঁথা, শালসহ দৃষ্টিনন্দন সামগ্রি বিভিন্ন মেলায় পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করাসহ ঢাকার বড় বড় শোরুমে নকশী কাঁথা পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার সরেজমিনে মর্জিনা বেগমের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, নারী শ্রমিকরা তাদের নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এসব কাজ দেখাশুনা করছেন সংগঠনের উদ্যোক্তা মর্জিনা বেগম।
৩ বছর আগে