অনুপ্রেরণা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড।
রবিবার বাংলাদেশে তার প্রথম সফর শেষে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে জরুরি ভিত্তিতে গভীর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার প্রয়োজন।
বিজার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।’
সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত ও সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে।’
বিজেরদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বর্তমানে, প্রায় সব ছেলে ও মেয়ে শিশু স্কুলে যায় এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের প্রয়োজন মেটাতে দুটি নতুন প্রকল্পে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বব্যাংক ও সরকার।
অর্থায়নের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করা হবে এবং অনুদানের শর্তেই তা ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিজার্ড এলন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত, দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করব।’
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতাদের এবং নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অর্থায়নে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ ও রেয়াতি ঋণ আকারে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম চলমান আইডিএ কর্মসূচি এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা: ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা
দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অসাধারণ যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে কীভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে তা এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বর্ণনা করেন বক্তারা।
বাংলাদেশকে ‘অনেক উন্নয়নের সফলতার গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করে তারা মানুষের জীবন বদলে দেয়া প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বর্ণনা করেন এবং নিজস্ব আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চায় অস্ট্রিয়া
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘৫০ এ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য: সমৃদ্ধিতে বন্ধুত্ব’ নামে শুক্রবার ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
২ বছর আগে
প্রণব মুখার্জী আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তাঁর মৃত্যু এই উপমহাদেশের বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক অঙ্গণে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তিনি আমাদের অঞ্চলের আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রতি তাঁর সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য আমরা তাকে স্মরণ করব।’
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘প্রণব মুখার্জি লিগ্যাসি ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত প্রথম প্রণব মুখার্জি স্মারক বক্তব্য (ভার্চুয়াল) উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে প্রয়াত প্রণব মুখার্জির অনুরাগী স্মৃতিচারণ
প্রণব মুখার্জি ছাড়া এক বছর পার করা কঠিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু এবং উপমহাদেশের একজন মহান রাজনৈতিক আইকন। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কখনও ভোলার নয়।’
শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, একজন তরুণ সাংসদ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য ১৯৭১ সালের জুন মাসে রাজ্যসভায় একটি প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য সাহসী উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রণব মুখার্জির মৃত্যু: শোক বইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে তার সমর্থনের কথা মনে রেখেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রণব মুখার্জির অসীম ও গভীর শ্রদ্ধা ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর অসাধারণ গুণগুলো তাকে দেশের প্রথম নাগরিক এবং ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হতে সাহায্য করেছিল।’
আরও পড়ুন: প্রণব মুখার্জির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শেষ শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির সাথে আমার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং খুব প্রিয় স্মৃতি রয়েছে। প্রণব দাদা ও শুভ্রা দিদির আমার ও আমার বোন রেহানার প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা -মা এবং পরিবারের অন্যান্য ১৮ জনকে হত্যার পর ভারতে আমাদের কঠিন দিনগুলোতে তারা আমাদের অভিভাবক এবং পারিবারিক বন্ধু হিসেবে আমাদের পাশে ছিলেন।
৩ বছর আগে