পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে দুই চাচাতো ভাই নিহত
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আতোশখালী গ্রামে মঙ্গলবার রাতে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার খোরশেদ মুন্সীর ছেলে সেলিম মুন্সী (৪০) ও আমির হোসেন মুন্সীর ছেলে আলাউদ্দিন মুন্সী (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, সেলিম ও আলাউদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেলিমকে বাড়ি ফেরার পথে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এদিকে গত রাতে আলাউদ্দিনকে নিজ বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আলাউদ্দিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। আলাউদ্দিনের পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আলাউদ্দিনের স্ত্রী ফুল বানু ও মেয়ে মারজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
পটুয়াখালীতে ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানি জমে রোপা আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপকুলীয় ৫টি উপজেলার আমন ধান খেত হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কাজ চলমান। তাই প্রকৃত তথ্য জানানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ৩৩টি মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনজুর আলম জানান, কয়েকটি গ্রামে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি কাচা ঘর ধ্বসে পড়েছে।
এছাড়া মোটা চালের ধান খেতের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কেটে গেলেও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন পটুয়াখালীর উপকূলের আমন চাষিরা। মিধিলির তাণ্ডবে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকা ধান ঘরে তোলার আগেই খেতের মধ্যে তছনছ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা চাষিরা।
কৃষকরা জানান, একের পর ধাক্কায় দিশেহারা আমন চাষিরা। মৌসুমে শুরুতে বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর এবার আবার পাকা ধানে ঘূর্ণিঝড়ের হানা। অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
এদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৮ হাজার জমির পাকা ধান আক্রান্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় এর তাণ্ডবে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ২ বসতবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬টি বসত ঘর। এছাড়া ৩ হাজার ৭০০ হাজার হেক্টর রোপা আমন খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে তরমুজ ও সবজি খেতের ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরই ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে মাঠে কাজ করছে। মৎস্য বিভাগের তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাথমিকভাবে জেলা কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র জেলা প্রশাসনকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, ৪৪ হাজার ৯০০ জন কৃষক এবং ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান, বিভিন্ন জাতের সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে: এবিএম রুহুল আমিন
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।
তিনি জানান, জরুরি মিটিংয়ে তাদের তিনশ’ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ত্যাগী ও জনপ্রিয়তা দেখে সকল আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সরকার রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে দেশের ক্ষতি হয়। কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি চিন্তা করতে পারে না। আমরাসহ বড় বড় রাজনৈতিক দল এবিষয়ে ভাবছি।
পরে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিসহ বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করেন।
এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেয়র পদে সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
পটুয়াখালীতে পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের জিয়া কলোনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত তিন ভাইবোন হলো-রুমান (৭), শারমিন (৫) ও মরিয়ম (৮)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
মৃত রুমান ও শারমিন ওই এলাকার সোহেল ফকিরের ছেলে ও মেয়ে। আর মরিয়ম সোহেল ফকিরের ছোট ভাই রুবেলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইবোন তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে পরে যায়।
পরে স্থানীয়রা ওই পুকুরে শারমিনের ভাসমান লাশ দেখতে পায় এবং রুমান ও মরিয়মকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে গভীর রাতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত শুশুক প্রজাতির ডলফিন। ৯ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর ডলফিনটির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ডলফিনটি ভেসে এসেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে মৃত ডলফিনটি জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে আটকে পড়ে। এটির মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি শুশুক প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘আমি রাতে খবর পেয়ে ওখানকার বিট কর্মকর্তাকে মৃত ডলফিনটি বালুচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বর ও বরের মাসহ মোট চার জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের জন্য উদ্ধার অভিযান শুরু কড়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা।
মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকালে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে ভোলার চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
তিনি আরও বলেন যে এছাড়া আরও চারজন আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আছে। নিখোঁজরা হলেন- গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৪০) এবং উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ (শনিবার) পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে আরও দু’টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট তল্লাশিতে কাজ করছে। এখনও অভিযান চলছে, নিখোঁজ চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ
রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে ঢাকা-পটুয়াখালীর ৪ উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে ঈদযাত্রীরা
মোটা অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীর বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা-দুমকি উপজেলায় ঢাকাগামী বাস ঢুকতে দিচ্ছে না বলে জেলা বাস মালিক সমিতি বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ২২ বছর ধরে এ রুটে দুরপাল্লার বাস চলাচল করলেও পদ্মাসেতু চালুর পর রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাস বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ সাধারণ যাত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০০ সালের শুরুর দিকে বাউফল-গলাচিপা-দশিমনা ও দুমকি সড়কে ঢাকাগামী বাস সার্ভিস চালু হয়। এ রুটে সাধারণ যাত্রীসহ মালামাল (কাঁচামাল, মাছ) পরিবহন করত বাসগুলো।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে পটুয়াখালীর পায়রা (লেবুখালী) সেতু ও গত বছরের জুন মাসে পদ্মাসেতু চালুর পরে এ রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে আসে নতুন দিগন্ত। দিবা ও নৈশ কোচে সুগন্ধা, মুন, অন্তরা, মেঘনা, হানিফ, বেপারী, খান জাহান, চেয়ারম্যান পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ২৫টি বাস চলাচল করতো।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্প: আড়াই ঘণ্টায় যাতায়াত ঢাকা থেকে যশোর
পায়রা ও পদ্মা সেতু হয়ে সাড়ে চার ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছে যেত যাত্রীরা।
শুধু যাত্রী নয়, উপকূলীয় জেলার চার উপজেলা থেকে মাছসহ বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে যেত ঢাকার মোকামে। সাত মাস আগে গত বছরের আগস্ট মাসে অযৌক্তিক রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাউফল দশমিনা গলাচিপা ও দুমকি উপজেলায় বাস বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতি।
এতে বিপাকে পড়ে যায় সাধারণ যাত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
পুটয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির নেতাদের কাছে সাধারণ বাস মালিক ও শ্রমিকেরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সমিতির প্রভাব খাটিয়ে নেতারা সাধারণ বাস মালিক ও শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছেন। তাদের ইচ্ছে মত পটুয়াখালী জেলায় বাস চলে। ভয়ে তাদের খাম খেয়ালির বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্য মুখ খুলেন না।
এছাড়া কেউ প্রতিবাদ করলে বাস বন্ধ ও শ্রমিকদের চাকরি হারাতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসের মালিক ও সুপার ভাইজার জানান, লেবুখালী (পায়রা) ও পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর এ রুটে বাস যাত্রী বেড়ে যায়। এতে বাসের সংখ্যাও বাড়ে। এ বিষয়কে পুঁজি করে জেলা বাস মালিক সমিতির শীর্ষ দুই নেতা বাস প্রতি এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অনেক মালিক ওই টাকা দিতেও রাজি হয়।
তবে স্থানীয় বাস মালিক ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জেলা বাস মালিক সমিতিকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলা পর্যায় রুট পারমিট না থাকার দোহাই দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে করে দেয় সমিতির লোকজন।
দশমিনা উপজেলার নলখোলা বাস স্টান্ডে অন্তরা পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. চাঁন মিয়া, মুন পরিবহনের কবির মৃধা ও ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, জেলার রুট পারমিট নিয়ে সারাদেশে দুরপাল্লার বাস চলাচল করে। বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা -দুমকি রুটে ২২ বছর ধরে বাস চলাচল করেছে। সাত মাস ধরে অযৌক্তিক রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাস মালিক সমিতি এ রুটে বাস ঢুকতে দিচ্ছেন। কিন্তু একই জেলার কুয়াকাটা, মহিপুর, খেপুপাড়া, তালতলী, কলাপাড়া উপজেলায় কিভাবে ঢাকাগামী বাস চলাচল করে।
তাদের জন্য কি আইন ভিন্ন ?
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি খাম খেয়ালি করে বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চার উপজেলার লাখ লাখ মানুষ।
তথ্য মতে, চার উপজেলা প্রতিদিন দুই হাজার যাত্রী ঢাকা যাতায়াত করতেন। বাস বন্ধ থাকায় তারা বিকল্প পথে যাতায়াত করেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। পটুয়াখালী হয়ে বাউফল দশমিনা গলাচিপায় যেতে অতিরিক্ত টাকা ও সময় ব্যয় হচ্ছে। এছাড়াও এ রুটের বাসে কাঁচামাল ও মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকার মোকামে সহজে মালামাল পাঠাতো। অল্প সময়ে পণ্য ঢাকাতে পৌঁছে যেতো। এতে খরচও কম হত। বাস বন্ধ থাকায় লঞ্চে মালামাল পাঠাতে হয়। এতে সময় ও ব্যয় বেশি লাগছে। ঠিক সময় মোকামও ধরা যাচ্ছে না। পচনশীল এসব মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে মালিক সমিতির চাঁদাবাজির প্রতিবাদ ও পুনরায় বাস চালুর দাবিতে বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সাধারণ যাত্রীরা কয়েক দফায় মানববন্ধন করলেও বাস চালুতে উদ্যোগ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাউফলের লিমন, দশমিনার সহিদ ও গলাচিপার আনোয়ারসহ একাধিক যাত্রীরা বলেন, পায়রা ও পদ্মসেতু চাল হবার পর থেকে নিজ বাড়ি থেকে কম সময় ঢাকা পৌঁছে যেতাম। ঢাকা থেকে ফিরতামও কম সময়ে। বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘসময় ধরে লঞ্চে যাওয়া আসা করতে হয়। বিকল্প পথে পটুয়াখালী হয়ে যাওয়া আসা করলে খরচ বেশি লাগে। পদ্মাসেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা।
বাউফল উপজেলার বৃহৎ বানিজ্যিক বন্দর কালাইয়ার মৎস্য আড়ৎদার মো. রেদোয়ান ইসলাম শাকিল বলেন, ঢাকার মোকামে আমরা প্রতিদিন মাছ পাঠাই। বাসে মাছ পাঠাতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। যেকোনো সময় পাঠানো যায়। মোকামেও কম সময়ে পৌঁছে যায়। বাস বন্ধ থাকায় এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চে পাঠাতে হয়। অনেক সময় ঢাকার বাজারে ঠিক সময় মাছ পৌঁছানো যায় না। যাতে করে মাছ পচে যায়। এতে আমাদের ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
দশমিনা-ঢাকাগামী পরিবহনের মালিক অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, দক্ষিনের দূরপাল্লার যাত্রীদের স্বপ্ন পদ্মা সেতু পারাপার হওয়া। আর সেই স্বপ্নের দ্বারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতির শীর্ষ দুই নেতা।
তাদের চাহিদা পুরন না করায় আচমকা পটুয়াখালী থেকে জেলার সব উপজেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
লিটন বলেন, জেলা প্রশাসক বারবার তাগিদ দিলেও মালিক সমিতি কোন কর্নপাত করছে না। প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জের বাস্তবায়নকৃত স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ভ্রমন সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার এমন ধৃষ্টতা পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির নেই। নির্বিঘ্নে সব উপজেলায় পরিবহন চালুর জন্য তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা বলেন, দুরপাল্লার গাড়ির রুট পারমিট জেলা শহর পর্যন্ত। এর বাহিরে উপজেলা বা ইউনিয়নে পারমিট নেই।
যার কারণি ওই সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ও পটুয়াখালী জেলার বাকি উপজেলাগুলোতে কিভাবে ঢাকাগামী দুরপাল্লার বাস চলে এবং বউফল-দশমিনা- গলাচিপা- রুটে ২২ বছর কিভাবে বাস চলছিল এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমঅেবৈধভাবে বাউফল -দশমিনা-গলাচিপা-দুমকি রুটে অবৈধভাবে দুরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করে।
এখন আর অবৈধভাবে বাস চালুর সুযোগ নেই। রুট পারমিট মেনেই বাস চলবে। আর কুয়াকাটা পর্যাটন এলাকা হওয়ায় সেখানে চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পটুয়াখালী ও বরগুনা সার্কেলের সহকারী চালক মো. আবদুল জলিল মিয়া বলেন, উপজেলা পর্যায় ঢাকার কোন বাস চলাচলের রুট পারমিট সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীতেও নেই। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী জেলা সদর ব্যতিত কোন উপজেলায় বা ইউনিয়ন পর্যায় বাস কাউন্টারও থাকতে পারবে না। এ সুযোগ নিয়ে জেলা বাস মালিক সমিতি অবৈধ সুবিধা দাবি করে থাকেন কোচ মালিকদের কাছে।
এ বিষয় নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একাধিকবার নিস্ফল সভা হয়েছে। আগামিতে বিআরটিএর পরিচালকের সাথে বিষয়টি নিয়ে সভা করার বথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ঢাকার যাত্রীবাহী দুরপাল্লার পরিবহনগুলো বাস মালিক সমিতির সাথে সমঝোতা করেই সারাদেশে চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে তার দপ্তরে ডেকে পাঠিয়ে আসন্ন ঈদের প্রাক্কালে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় পরিবহন সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও তারা সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।
এছাড়া বিষয়টি জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ: সেতুমন্ত্রী
পটুয়াখালীতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গলাচিপায় অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন খন্দকারের (৪২) মৃত্যু হয়।
লিটন জেলার দুলারহাট উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের রফিক খন্দকারের ছেলে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৩
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২১ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামের নজরুল গাজীর ঘরে চুরি করার সময় নজরুলের ছেলে ইউসুফ বাধা দিলে লিটন তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় জনগণ তাকে ধরে ফেলে। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়।
পরে পুলিশকে খবর দিলে আহত অবস্থায় তাকে রাত তিনটায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার চোর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘হোটেল ঝিলিক’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে শনিবার সকালে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী পরিচয় দেয়া সুজন (৩২) পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সুজন ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেয়। পরে গতকালকে সারাদিন তারা হোটেলে অবস্থানসহ বাইরেও ঘোরাঘুরি করে বলে জানায় তারা। শনিবার সকালে নিহত নারীর অবস্থানকৃত রুম চেক আউটের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই পর্যটককে হোটেলের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুমের ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। তবে স্বামী পরিচয় দেয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওইরুম থেকে আলামত হিসাবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রিকৃত নাম পরিচয় নিয়ে আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, লাশটিকে ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার