পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় তামান্না বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের কলাপাড়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত তামান্না উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের রওসন মাতব্বরের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় তামান্নাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হলে প্রসবের সময়ের ১৫ দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে রক্ত সংগ্রহ না করেই ডা. পার্থ সমদ্দার ও ডা. মুনতাহা মারিয়াম মিতু সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
এসময় তামান্নার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে তারা তাকে বরিশালে রেফার করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে রওনা করার কিছু সময় পর ক্লিনিক থেকে ফোনে আমতলী হাসপাতালে চেকআপ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে রোগীকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘দায়ের কোপে’ বাবার মৃত্যুর অভিযোগ, ছেলে আটক
রোগীর স্বজনদের দাবি, রোগীকে মৃত দেখেই তারা ক্লিনিক থেকে দ্রুত বের করে দিয়ে পালিয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলীন বলেন, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের ট্রেনিং সার্টিফিকেট আছে কিনা কিংবা অপারেশনের অনুমতি আছে কিনা তা যাচাই করা হয়নি। রোগীর স্বজনের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ দিন আগে
পটুয়াখালীতে আগুনে ছাই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়ি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামানের কাফির গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনি জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন ছিলেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে আগুনে পুড়ে তার বাড়িটি ছাই হয়ে গেছে।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ‘রাত সোয়া ২টার দিকে আমাদের মোবাইলে কল আসে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লেগেছে। আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে সক্ষম হই। তবে কেবল পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।’
আরও পড়ুন: নাটোরের চামড়ার গুদামে আগুন
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা মাওলানা এ বি এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ঘরটি দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে বের হয়েছি। বাড়ির কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব শেষ হয়ে গেছে।’
প্রতিবেশি ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। তাদের সাথে আমরাও আগুন নির্বাপণের কাজে নেমে যাই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কারণ জানালার বাইরে থেকে ছিটকানি লাগানো ছিল। সবাই খালি কাপড়ে নেমে পড়েছে। কোনো রকমের জানে বাঁচা গেল।’
আরও পড়ুন: শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
নুরুজ্জামানের কাফির বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন এ এলাহী দাখিল মাদরাসার সুপার।
৬৪ দিন আগে
পটুয়াখালীর নদীতে মিলল ১ মণ ওজনের কচ্ছপ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ১ মণ ওজনের একটি কচ্ছপ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতার চর নামক স্থানে বজলু হওলাদার নামের এক জেলের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
বজলু জানান, বিকাল ৪টায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীর মোহনায় পাতার চর এলাকায় জাল বাইতে যায় তিনি। জাল টানার শেষপর্যায় বিশাল একটি কচ্ছপ উঠে আসে। কচ্ছপটি তীরে নিয়ে এলে সেটিকে দেখতে শত শত লোক ভিড় করে। পরে স্থানীয়রা কচ্ছপটি আবার নদীতে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহ আলম অপু বলেন, ‘আগে কখনও এত বড় কচ্ছপ দেখিনি, আজ দেখলাম।’
১৪৮ দিন আগে
ভারতে রপ্তানির খবরে বেড়েছে ইলিশের দাম
ভারতে রপ্তানির খবরে আরও বেড়েছে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম। তাই মধ্য ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশ রপ্তানি করা হয়। তবে এ বছরও সরকার ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে ইলিশের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী জেলার পৌর নিউমার্কেট মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ইলিশের দাম ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগে ১ কেজি ইলিশের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম বা দেড় কেজি মাছের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ঝাটকা ৬৫০ টাকা। ছোট ঝাটকা ৫০০ টাকা করে চলছে।
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে ইলিশ কেনার সামর্থ্য হারাতে বসেছি। দাম এত বেশি যে, কিনতে গেলে সাধারণ পরিবারের বাজেটেই টান পড়ে।
মাছ বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, রপ্তানির কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় তারা বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, পরিবহন ও অন্যান্য খরচও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নিলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।
এ বিষয়ে এক মৎস্য আড়ৎদার জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে দেশীয় বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে। সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করে, তবে ক্রেতাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে বিগত ২০-২৫ দিন গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ ছিল। তাই আলিপুর, মহিপুর বন্দরে মাছ কম এসেছে। আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যে বাজারে মৎস্য সরবরাহ বাড়বে। খুব তারাতারি ইলিশের দাম কমবে ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে চলে আসবে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। অস্বাভাবিক মূল্যে বিক্রয়ের কোনো প্রমাণ পেলে তারা আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
২০৫ দিন আগে
ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ৫৭ নম্বর ধুলাশার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।
ভোট শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, আমার এই দুটি উপজেলায় সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সময় স্বল্পতার কারণে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে আসা। আমি মনে করি, প্রতিটি ভোটই মূল্যবান।’
উল্লেখ্য, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৮ জন। দুই উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ভোটের মাঠে ২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের ৪টি টিম, বিজিবির ৭টি টিম ও কোষ্টগার্ডের ৮টি টিম মোতায়ানে করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিম কাজ করছে।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৩১৬ দিন আগে
রাঙ্গাবালীতে ভেসে এল ২০ থেকে ২৫ ফুট টর্পেডো
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর একটি খালে ‘টর্পেডো’ সদৃশ একটি বস্তু ভেসে এসেছে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামসংলগ্ন ভাঙা খালে বস্তুটি দেখতে পায় গ্রামবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাছ থেকে বস্তুটি দেখে ভারী কোনো অস্ত্র ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বস্তুটির কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় লোকজন।
অন্যত্র যেন ভেসে না যায়, এজন্য রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বস্তুটিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, বস্তুটি দেখতে ভারী কোনো অস্ত্রের মতো। গ্রামবাসীর ধারণা, পার্শ্ববর্তী রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে হয়তো এটি ভাসতে ভাসতে এই খালে এসেছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হলে ছবি দেখে তারা প্রাথমিকভাবে জানায় এটি টর্পেডো হতে পারে। টর্পেডো ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। যেহেতু এটি ভেসে আসছে, তাই এটিকে ব্যবহৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবুও ঘটনাস্থলে গিয়ে কোস্টগার্ড বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানান ওসি।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের আন্ধারমানিক নদীতে যে টিমটি আছে তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু আমি দেখলাম ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল না। টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, ওটারও আছে। যেকোনো বড় জাহাজ ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌবাহিনীর কাছে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টর্পেডো অনেক ভারী থাকে। সাধারণত এটা পানির নিচে থাকে। যেহেতু এটি ভেসে আসছে, সুতরাং ব্যবহার হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে যদি ভেতরে কোনো বাতাস থাকে তাহলে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমাদের যে টিম ঘটনাস্থলে গেছে তার রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে টর্পেডো এবং লক্ষবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে।
এটি পানির নিচে চালিত হয় এবং পানির নিচে বা উপরে উভয় স্থান থেকে নিক্ষেপ করা যায়। এগুলোকে বিভিন্ন প্রকারের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে এক শিশুর মৃত্যু, আরেকজন নিখোঁজ
৩৫৪ দিন আগে
পটুয়াখালীতে দুই চাচাতো ভাই নিহত
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আতোশখালী গ্রামে মঙ্গলবার রাতে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার খোরশেদ মুন্সীর ছেলে সেলিম মুন্সী (৪০) ও আমির হোসেন মুন্সীর ছেলে আলাউদ্দিন মুন্সী (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, সেলিম ও আলাউদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সেলিমকে বাড়ি ফেরার পথে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এদিকে গত রাতে আলাউদ্দিনকে নিজ বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আলাউদ্দিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। আলাউদ্দিনের পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আলাউদ্দিনের স্ত্রী ফুল বানু ও মেয়ে মারজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
৪৭৭ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
পটুয়াখালীতে ঘুর্নিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা দুই দিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানি জমে রোপা আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপকুলীয় ৫টি উপজেলার আমন ধান খেত হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এ মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কাজ চলমান। তাই প্রকৃত তথ্য জানানো সম্ভব হয়নি। এদিকে ৩৩টি মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনজুর আলম জানান, কয়েকটি গ্রামে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি কাচা ঘর ধ্বসে পড়েছে।
এছাড়া মোটা চালের ধান খেতের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কেটে গেলেও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন পটুয়াখালীর উপকূলের আমন চাষিরা। মিধিলির তাণ্ডবে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকা ধান ঘরে তোলার আগেই খেতের মধ্যে তছনছ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা চাষিরা।
কৃষকরা জানান, একের পর ধাক্কায় দিশেহারা আমন চাষিরা। মৌসুমে শুরুতে বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর এবার আবার পাকা ধানে ঘূর্ণিঝড়ের হানা। অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
এদিকে বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৮ হাজার জমির পাকা ধান আক্রান্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রমের সময় এর তাণ্ডবে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ২ বসতবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৬টি বসত ঘর। এছাড়া ৩ হাজার ৭০০ হাজার হেক্টর রোপা আমন খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে তরমুজ ও সবজি খেতের ৯৯৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরই ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে মাঠে কাজ করছে। মৎস্য বিভাগের তেমন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে প্রাথমিকভাবে জেলা কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির একটি চিত্র জেলা প্রশাসনকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, ৪৪ হাজার ৯০০ জন কৃষক এবং ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির ধান, বিভিন্ন জাতের সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে লঞ্চ চলাচল ফের শুরু
৫১৬ দিন আগে
পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষ: ৪৫০ জনের নামে মামলা
পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
৬৯৭ দিন আগে
জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে: এবিএম রুহুল আমিন
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।
তিনি জানান, জরুরি মিটিংয়ে তাদের তিনশ’ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ত্যাগী ও জনপ্রিয়তা দেখে সকল আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সরকার রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে দেশের ক্ষতি হয়। কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি চিন্তা করতে পারে না। আমরাসহ বড় বড় রাজনৈতিক দল এবিষয়ে ভাবছি।
পরে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিসহ বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করেন।
এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেয়র পদে সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
৬৯৯ দিন আগে