বেনাপোল বন্দর
২ বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
প্রায় দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ ,পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতি কেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৫৫ টাকা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রবিবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কি না সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রথম একটি চালের চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
৩ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
বেনাপোল স্থলবন্দরে 'কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল'র উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় টার্মিনালের উদ্বোধন শেষে বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে রাখা হবে। একইসঙ্গে ভারতে রপ্তানিমুখি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্র্যাকগুলো এখানে ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। তবে ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের চেয়ে ভারতে রপ্তানির জন্য পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে অবস্থান করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে আটক ৬
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক, ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা এসিল্যান্ড (ভূমি) নুসরাত জাহান, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
পরে বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আর বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ি প্রতিদিন ভারতের প্রবেশ করে। পণ্যবোঝাই গাড়িগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বেনাপোল বন্দরে যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি চালু হওয়ার ফলে একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে এবং সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করি।
প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলি জানান, ৪১ একর জমির ওপর এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাললের নির্মাণ কাজটি ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
১ সপ্তাহ আগে
ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের ৫ শতাংশ শুল্কায়ন মূল্যের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের আরও একটি চালান এসে পৌঁছেছে।
এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ডিমের এ চালান খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিমের এ চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০টি ডিম আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বরে আমদানিকারক ঢাকার রামপুরার বিডিএস কর্পোরেশন ৬১ হাজার ৯৫০ টিম ডিম আমদানি করে। পরে আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০ অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১ অক্টোবর একটি চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম কম শুল্কে মাত্র ৭৬ পয়সায় শুল্কায়ন করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর ডিমের ৫টি চালান আসে বেনাপোল বন্দরে। আর এ সমস্ত চালানগুলো কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের ম্যানেজার ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, ‘নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১ অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। প্রতিটি ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৭ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের এসব ডিম বাজারে ৯ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। এই ডিমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৩ সপ্তাহ আগে
২ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দুই দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে এ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।
সোমবার সকালে বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে রবিবার আধুনিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই উপলক্ষে গত শনিবার ও রবিবার দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারতে বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
তবে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে রবিবার ৭ ঘণ্টা বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্ট যাত্রীকে ওপারে যেতে দেওয়া হয়নি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোলে আসছেন অমিত শাহ, বেনাপোলে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৩ সপ্তাহ আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০টি চালানে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত ৭টি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন, শনিবার ১৫টি ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন, রবিবার ৬টি ট্রাকে ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
এছাড়া মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার ৩০টি ট্রাকে ৯২ মেট্রিক টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন, সোমবার ৮টি ট্রাকে ২৩ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ৮টি ট্রাকে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশের মধ্যে ভারতে গেল ৪৭৯ টন ইলিশ। ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫৭টি ট্রাকে করে ইলিশের এই চালানগুলো রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১০ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৮০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেনাপোল মাছ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
এক কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। অথচ একই ইলিশ প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, সর্বশেষ বুধবার রাতে ৭টি ট্রাকে করে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১০ চালানে ভারতে গেছে ৪৭৯ টন ইলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
১ মাস আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫টি ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি, রবিবার ৬টি ট্রাকে ১৯ টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০টি ট্রাকে ৯২ টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ টন, সোমবার ৮টি ট্রাকে ২৩ টন ৬০০ কেজি, সব শেষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ৮টি ট্রাকে ২৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
কম দামে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনও সেই পরিপত্র অনুযায়ী ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বেনাপোল দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতে গেল ৪৫৯ মেট্রিক টন ইলিশ। তবে রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
নৌ উপদেষ্টার নির্দেশে বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বেনাপোল স্থলবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি ও কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এই কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
উপদেষ্টা বলেন, বেনাপোল বন্দরে চলমান ‘বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজের মান যাচাই ও বন্দরের সার্বিক বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্দরগুলো বিশেষ করে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের বন্দর কার্যক্রম ও বেনাপোল বন্দরে চলমান ‘বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প কাজের মান নিয়ে অভিযোগ করা হলে তা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টিগোচর হয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা তদন্ত কমিটির নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
গাছ লাগানোর বিষয় অন্তরে ধারণ করা উচিত: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বেনাপোল বন্দরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন
বেনাপোল বন্দরের সুরক্ষা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার ভক্ত।
এছাড়া যশোর-৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।
সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বেনাপোল বন্দরকে সচল রাখতে হবে। বিশৃঙ্খলা ঘটালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বেনাপোল গড়তে বেনাপোলবাসীকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৩ মাস আগে
পাঁচ দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দুই দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় হাজার হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করে।
বেনপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, ১৮ থেকে ২০ মে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁতে লোকসভা নির্বাচন, ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ দিনে ফিরলেন ১৮৮২০ যাত্রী
তিনি আরও বলেন, টানা ৫ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কারণে দেশের অনেক শিল্প কলকারখানা, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে সরকারের রাজস্ব আয় হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার ফলে এ বন্দর থেকে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হলো সরকার।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, টানা পাঁচ দিন ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। লোকসভা নির্বাচনের কারণে তিন দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। শুধু মেডিকেল ও ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীদের
যাতায়াতের অনুমতি ছিল।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
পণ্য আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম।
তিনি জানান, টানা পাচঁ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে বন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৫ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি
৫ মাস আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ দিনে ফিরলেন ১৮৮২০ যাত্রী
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। এতে বন্দরে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন।
এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল ৪ হাজার ৯১০ জন, ১৭ এপ্রিল ৫ হাজার ৩৬৩ জন, ১৮ এপ্রিল ৫ হাজার ১৪৯ জন ও ১৯ এপ্রিল ৩ হাজার ৩২০ জন যাত্রী ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
পুলিশ জানায়, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই ভারতে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে ভারত থেকে ফিরে আসছেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছে আনসার, আমর্ড ব্যাটালিয়ন ও বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা।
ভারত থেকে ফিরে আসা মনির হোসেন বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। ভারতের পেট্রোপোলে লম্বা লাইনে যে ভিড় তাতে ইমিগ্রেশন সারতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ভারত থেকে আসা অপর যাত্রী মামুনুর রহমান বলেন, ঈদের টানা ৫ দিনের ছুটি পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম ভারতে আত্মীয় বাড়িতে। ছুটি শেষ করে দেশে ফিরছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে আমাদের। দীর্ঘ সময় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকায় আমার স্ত্রী ও বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল দিয়ে কোলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত যাতায়াত করেন প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্ট যাত্রী। ভ্রমণকর বাবদ সরকারের আয় হয় ১৫০ কোটি টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম বলেন, ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যান। ছুটি শেষ হওয়ায় ভারত থেকে যাত্রীরা দেশে ফিরতে শুরু করেছে। ফলে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে গত ৪ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভ্রমন শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮ হাজার ৮২০ জন যাত্রী।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, যাত্রীদের দ্রুত পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছে অফিসাররা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদে ৫ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি
৭ মাস আগে