বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল বন্দরে ১৮৮০০ টন চাল আমদানি, প্রভাব নেই দামে
বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে গত ৪ মাসে ভারত থেকে ১৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হলেও দেশের বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়ছে না। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য এসব চাল আমদানি করা হলেও দরের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।
দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় এসব চাল আমদানি করেছে। চলতি অর্থবছরে ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এই চাল আমদানি করা হয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়ছে না।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৫০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। অর্থাৎ এ নিয়ে গেল চার মাসে ১৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
৬ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আরিফুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল ও ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার দেশের শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানির এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আটটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি করেছে। সারা দেশে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯২ প্রতিষ্ঠানকে। দুই লাখ ৭৩ হাজার টন সেদ্ধ এবং এক লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে আমদানি করতে পারেনি। তারপরও সরকার ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানি করা চাল বাজারজাত করার জন্য। আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় পরে তা প্রথম দফায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় সরকার। তারপরও আমদানি ধীরগতির কারণে আবারও সময় বাড়ায় সরকার। এভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি না হওয়ায় এবারও চতুর্থবারের মতো আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে সব চাল আমদানি হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে দামের উপর এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। রোজার শুরু থেকেই সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অব্যাহতভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, চালের দাম কমানোর জন্য সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও সুফল মিলছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও দেশীয় চালের দামের উপর তার কোনো প্রভাব পড়ছে না। রোজার শুরুতেই সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রোজায় সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
চাল ব্যবসায়ী দীন মোহাম্মদ বলেন, রোজার শুরুতেই চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। রোজার আগের ৬৪ টাকা কেজি দরের ২৮ জাতের চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৬৯ টাকায়, ৭২ টাকার মিনিকেট ৭৬ টাকা, ৫২ টাকার মোটা চাল ৫৬ টাকা, ৮৪ টাকার বাশমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আমদানি করা ভারতীয় একটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় চালের চাহিদা কম।
তিনি বলেন, রোজার মধ্যে চালের দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে দামের উপর কোনো প্রভাব পড়ছে না। তবে সামনে নতুন চাল বাজারে উঠলে সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান, ভারত থেকে আসা আমদানি করা চালের ট্রাক স্থলবন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা নেন। যাতে আমদানি করা চাল দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহ করা যায়।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের সময় স্বল্পতা ও আর্থিক সাশ্রয় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ায়। পণ্য পরিবহনে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে উন্নত। এই বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করার পর অতি দ্রুত পৌঁছাতে পারে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের বাজারে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত চার মাসে ভারত থেকে ১৮ হাজার ৮০০ টন চাল আমদানি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল আমদানির জন্য সরকার আবারও একমাস সময় বাড়িয়েছে।
৩১ দিন আগে
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় শনিবার সকাল থেকে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হোলি উৎসবে বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসাবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, দোল পূর্ণিমায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতে দোল পূর্ণিমায় সরকারি ছুটি থাকায় শনিবার এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরে পণ্য খালাস করা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ফিরে যেতে পারবে।
আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে যথারীতি এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
৩৩ দিন আগে
অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ককর অরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে আমদানিকারকরা। এতে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলদেশ ফ্রেস ফুড এসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেনি।’
‘সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ককর যদি কমানো না হয়; তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ‘হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর।’
‘যে কারণে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে,’ বলেন এই ব্যবসায়ী।
এছাড়া শুধু ফল আমদানিতে এই বন্দর থেকে সরকারের প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর কমানো না হলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, আজ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
তিনি জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩৩২০ টন চাল আমদানি
৭২ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আরও ১৯০০ টন আলু আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে আরও এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে ৪২টি ওয়াগানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনে এই আলুর চালানটি পৌঁছায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার জানান, মঙ্গলবার রাতে পণ্য চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট বাংলাদেশ লজিষ্টিক সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিসের প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল ডাবলু বলেন, ‘ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম শেষ করে বুধবার সকালে আলুবাহী ট্রেন নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেখানে আনলোডের পর আলুগুলো ঢাকা এবং চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজি আলুর মূল্য দেখানো হয়েছে সাড়ে ২৮ টাকা। পণ্যের চালানটি দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
১২০ দিন আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমান জানান, সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, মহান বিজয় দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দর উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা থাকায় দু-দেশের মধ্যে সোমবার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
১২২ দিন আগে
২ বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
প্রায় দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ ,পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতি কেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৫৫ টাকা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রবিবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কি না সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রথম একটি চালের চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
১৫০ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
বেনাপোল স্থলবন্দরে 'কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল'র উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় টার্মিনালের উদ্বোধন শেষে বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে রাখা হবে। একইসঙ্গে ভারতে রপ্তানিমুখি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্র্যাকগুলো এখানে ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। তবে ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের চেয়ে ভারতে রপ্তানির জন্য পণ্যবোঝাই বাংলাদেশি ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে অবস্থান করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোলে আটক ৬
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক, ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা এসিল্যান্ড (ভূমি) নুসরাত জাহান, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
পরে বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আর বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ গাড়ি প্রতিদিন ভারতের প্রবেশ করে। পণ্যবোঝাই গাড়িগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বেনাপোল বন্দরে যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি চালু হওয়ার ফলে একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে এবং সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করি।
প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলি জানান, ৪১ একর জমির ওপর এই কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাললের নির্মাণ কাজটি ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
১৫৪ দিন আগে
ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের ৫ শতাংশ শুল্কায়ন মূল্যের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের আরও একটি চালান এসে পৌঁছেছে।
এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ডিমের এ চালান খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিমের এ চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০টি ডিম আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বরে আমদানিকারক ঢাকার রামপুরার বিডিএস কর্পোরেশন ৬১ হাজার ৯৫০ টিম ডিম আমদানি করে। পরে আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০ অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১ অক্টোবর একটি চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম কম শুল্কে মাত্র ৭৬ পয়সায় শুল্কায়ন করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর ডিমের ৫টি চালান আসে বেনাপোল বন্দরে। আর এ সমস্ত চালানগুলো কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের ম্যানেজার ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, ‘নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১ অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। প্রতিটি ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৭ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের এসব ডিম বাজারে ৯ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। এই ডিমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
১৬৯ দিন আগে
২ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দুই দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে এ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।
সোমবার সকালে বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে রবিবার আধুনিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই উপলক্ষে গত শনিবার ও রবিবার দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারতে বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
তবে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে রবিবার ৭ ঘণ্টা বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্ট যাত্রীকে ওপারে যেতে দেওয়া হয়নি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোলে আসছেন অমিত শাহ, বেনাপোলে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১৭১ দিন আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০টি চালানে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত ৭টি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন, শনিবার ১৫টি ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন, রবিবার ৬টি ট্রাকে ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
এছাড়া মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার ৩০টি ট্রাকে ৯২ মেট্রিক টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন, সোমবার ৮টি ট্রাকে ২৩ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ৮টি ট্রাকে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশের মধ্যে ভারতে গেল ৪৭৯ টন ইলিশ। ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫৭টি ট্রাকে করে ইলিশের এই চালানগুলো রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১০ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৮০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেনাপোল মাছ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
এক কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। অথচ একই ইলিশ প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, সর্বশেষ বুধবার রাতে ৭টি ট্রাকে করে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১০ চালানে ভারতে গেছে ৪৭৯ টন ইলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
১৮৯ দিন আগে