শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যু
জবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানান। সর্বশেষ রাতে যখন তার সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি একটু পর বাসায় ফিরবে বলে তার বড় বোনকে জানান। রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যান এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার ও পুলিশের তদন্ত ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে এটি স্পষ্টত হয় যে, এটি কোন আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনার কেইস নয়। কারণ তাকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়া হয় বলে সূত্রমতে জানা যায়। এমনি আরো অনেক সূত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় আকবরের পরিবার একটি মামলাও করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের অবস্থা ছিল খুবই আশঙ্কাজনক এবং পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
আকবরের সহপাঠীরা জানান, তাদের ধারণা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই সহপাঠী হত্যার দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে মানববন্ধনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আরও পড়ুন: টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই থানায় কথা বলেছি। ঘটনার দিন ও (আকবর) হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সট্রাগ্রাম ব্যবহার করে কথা বলেছে। কিন্তু ওইগুলা ফোনে ডিলেট করা। চট্টগ্রাম খুলশি থানা পুলিশ সেগুলো উদঘাটন করার জন্য ঢাকায় ডিবিতে পাঠাইছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে