অক্সিজেন প্ল্যান্ট
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর পাচঁলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে শিল্প পুলিশের একটি টিম।
গ্রেপ্তার পারভেজ সম্প্রতি সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাতজন নিহতের ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের মামলার দুই নং আসামি।
শিল্প পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মাহাবুবর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালককে গ্রেপ্তারের বিষয় আমাকে চট্টগ্রাম থেকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্লান্টের ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদম রসূল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সাতজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৩০ জন।
বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রীর রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কারখানাটির মালিক তিন ভাইসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও প্রতিবেদনে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৯টি সুপারিশ পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনেও চলছে উদ্ধার অভিযান
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। রবিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও কুমিরা স্টেশনের দুটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন করে কোনো শ্রমিকের লাশ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবার বিকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে সীমা অক্সিজেন (প্ল্যান্ট) লিমিটেড কারখানার আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠে বলে স্থানীরা জানায়। এ কারণে আশে-পাশের অনেক বাড়ি-ঘর, অফিস-দোকান পাশের ভবন, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনার গ্লাস ভেঙে পড়ে। এছাড়া কিছু কিছু বিল্ডিং-এ ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন জানান, বিস্ফোরণের পর চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে টিন ও লোহার টুকরা। আশপাশের অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। উড়ে গেছে টিনের চালা। ভেঙে গেছে অনেক ঘরের কাঁচ। বিস্ফোরণের পরের অবস্থা দেখে তাদের মনে হয়, যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ।
ঘটনার সময় কারখানার বাইরে থাকা ইয়াসিন নামে এক শ্রমিক জানান, আমি বিস্ফোরণের মাত্র ১০ মিনিট আগে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়েছিলাম চা খেতে। চা খেয়ে আবার কারখানায় ঢুকার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে। অল্পের জন্য বেঁচে যাই। বিস্ফোরণের পর কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এমনকি বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বিস্ফোরণে আহত আব্দুল মোতালেব (৫৫)।
তিনি জানান, আমাদের কারখানায় অক্সিজেন তৈরি করা হয়। তারপর ৮০ কেজি ওজনের সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরা হয়। আমি মনে করি সিলিন্ডারে অতিরিক্ত চাপের কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। প্ল্যান্টে এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি।
এদিকে বিস্ফোরণে যে ছয় জন নিহত হয়েছে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
অন্যদিকে, বিস্ফোরণে আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেয়া হয়েছে এবং নিহতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নিহতের পরিবারকে আরও দুই লাখ টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড অক্সিজেন প্লান্টে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫, আহত ৫০
১ বছর আগে
দুটি মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে ভারতের ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দরে
করোনা মহামারিতে ভারতের উপহার দুটি মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট (এমওপি) ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফশোর টহল জাহাজ আইএনএস সাবিত্রী প্ল্যান্টগুলো নিয়ে বন্দরের এনসিটি ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
এসময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডারের পক্ষ থেকে জাহাজটিকে স্বাগত জানান চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মইন। তিনি আইএনএস সাবিত্রীর কমান্ডার এন রবি সিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বিএনএস পতেঙ্গার নেভি হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার এম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাগজপত্র গ্রহণ করেন।
ক্যাপ্টেন মইন জানান, ভারতের ডিআরডিও দ্বারা নির্মিত প্ল্যান্টগুলি কোভিড মহামারির মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতায় উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। প্ল্যান্টগুলোর অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ৯৬০ লিটার। একটি প্ল্যান্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ও অপরটি বিএনএস পতেঙ্গায় স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্টগুলি অত্যন্ত সাশ্রয়ী উপায়ে তাৎক্ষণিক মেডিকেল অক্সিজেন তৈরি করে। হাসপাতালে সরাসরি স্থাপনের পাশাপাশি এগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্যও ব্যবহার উপযোগী।
প্ল্যান্টগুলো চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য প্রেসার স্যুইং অ্যাবসর্পশন (পিএসএ) নীতিসহ জিওলাইট (মলিকুলার সীভ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানসম্মত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপন্ন করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড মহামারির চলমান ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকারি সংস্থার চলমান প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশের পৌঁছেছে।
আইএনএস সাবিত্রী গত ৩০ আগস্ট বিশাখাপত্তনম ছেড়ে এসে ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে যেখানে নানা রকমের ক্রিয়াকলাপ ও বিনিময় বিরাজমান এবং যা বছরের পর বছর ধরে শক্তিশালী হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের একটি ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্যে উভয় দেশের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
৩ বছর আগে