ঐতিহ্যবাহী
ব্রহ্মপুত্রে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ, দর্শনার্থীদের ঢল
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নদীর পাড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
বালাসীঘাটে বালাসী যুব সমাজ এবং ফুলছড়ি নৌকা বাইচের আয়োজন করেন। নৌকা বাইচ দেখতে গাইবান্ধাসহ উত্তরজনপদের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পুরুষ উপভোগ করেন। খেলা দেখে আনন্দে মেতে ওঠেন দর্শকরা।
এই নৌকা বাইচে দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, সাঘাটা, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার দল অংশ নেয়। এছাড়া রংপুরের সোনারতরী, সাঘাটার মায়ের দোয়া, জামালপুরের শেরেবাংলা, ফুলছড়ির বালাসী তুফান, বকসীগঞ্জের গাজী সৈনিক, সরিয়াকান্দির যমুনা এক্সপ্রেসসহ ৭টি বাইচ দল অংশ নেয়। বাইচে রংপুরের সোনারতরী বাইচ দল বিজয়ী হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের বাইচ দল শেরেবাংলা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
১ মাস আগে
কিশোরগঞ্জে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে আকর্ষণীয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী খোলা মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন শৌখিন ঘোড়াপ্রেমীরা।
এছাড়া বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
বড় ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- শাহাবুদ্দিনের ‘সবুজ বাংলা’ নামের ঘোড়া। মাঝারি ঘোড়দৌড়ে প্রথম হয়- রাসেল মিয়ার ঘোড়া এবং ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়- আবদুল বাতেনের ঘোড়া।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
বিজয়ী প্রতিটি ক্যাটাগরির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান লাভ করা ঘোড়ার মালিকদেরপুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ফ্রিজ, এলইডি টিভি, খাসি ও মুঠোফোন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছু উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
১০ মাস আগে
কাঁঠালিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় মানুষের ঢল
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ঈদ উপলক্ষে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শৌলজালিয়া গ্রামের একটি মাঠে স্থানীয় যুব সমাজ এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নববর্ষে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
এ প্রতিযোগিতায় কাঁঠালিয়া, ভান্ডারিয়া, রাজাপুর, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকার ২০টি ঘোড়া অংশ নেয়।
ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড়দৌড় উপভোগ করেন নানা শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মাঠের দুই পাশে দাঁড়িয়ে উপভোগ
করেন।
পরে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ঘোড়ার মালিকদেরকে হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৪ তম আসর বসেছে আজ (মঙ্গলবার)।
এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা।
মেলায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশের ও বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালী ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বলীখেলা তথা কুস্তি প্রতিযোগিতায় আংশ নিবে সারা দেশের শতাধিক কুস্তিগীর। লালদীঘি ময়দানে ইতোমধ্যে বলীখেলার জন্য বালু দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরের অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যবাহী তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড-১৯ এর নিয়মগুলোর বাধ্যবাধকতা এখন না থাকায় এ বছরের মেলা ঐতিহ্যবাহী ১ ফেব্রুয়ারি তারিখেই শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বাংলা একাডেমির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে এবার পুরো মাসজুড়ে আয়োজনটি চলবে।
২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী সশরীরে মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন এবং সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা শুরু ২৬ ডিসেম্বর
এবারের বইমেলার জন্য ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬টি স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা যে কোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা রাস্তার খাবারের দোকান থাকবে না।’
মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চারটি প্রবেশপথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা
প্রতি বছর দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইমেলা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে এ দই মেলা হয়ে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় সাজসাজ রব পড়েছে।
মেলা উপলক্ষ্যে বুধবার বিকাল থেকে নামিদামি ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হয়। দিনব্যাপী মেলায় দইসহ রসনাবিলাসী খাবার ঝুড়ি, মুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খেজুর গুড়সহ বাহারি সব খাবার বিকিকিনি হচ্ছে।
এছাড়া এ দই মেলা নিয়ে রযেছে নানা গল্প কাহিনী।
তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ বলেন, জমিদারি আমলে তাড়াশের তৎকালীন জমিদার পরম বৈঞ্চব বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম রশিক রায় মন্দিরের মাঠে দই মেলার প্রচলন শুরু করেছিলেন। সেসময় থেকেই প্রতি বছর চলছে এই দইমেলা। মেলায় আমদানি হওয়া দইগুলোর নামগুলোও ভিন্ন ভিন্ন।
আরও পড়ুন: জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
১ বছর আগে
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘পলো বাওয়া উৎসব’- শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এই উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
এই উৎসব আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। কেননা গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ১৫দিন বিলে মাছ ধরায় আটল (নিষেধাজ্ঞা) নেই।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। পানি ও কচুরিপানা বেশি না থাকায় মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন গ্রামবাসী।
শিকারকৃত মাছের মধ্যে ছিল- বোয়াল, শোল, মিরকা, কার্পু, বাউশ ও ঘনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
গোয়াহরি গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছরের মাঘ মাসের পহেলা তারিখ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু এবার বিলে মাছ বেশি থাকায় এলাকাবাসী মিলে এসময় পলো বাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে পলো বাওয়া হবে। এই পনের দিনের ভিতরে বিলে হাত দিয়ে মাছ ধরা হবে এবং কেউ চাইলে পেলান জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পারে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে বিলে নেমে শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপঝপ পলো বাওয়া।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে গোয়াহরি বিলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। যাদের পলো নেই তারা মাছ ধরার ছোট ছোট বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান।
এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ছোট ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের পুরুষ-মহিলা, দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছেলে-বুড়ো মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বিল থেকে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মাছ শিকার হয়েছে।
গোয়াহরি গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব মজার বিষয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক গোয়াহরি মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি একটি মাদরাসার শিক্ষক। এই মাছ ধরায় অংশ নিতে পেরেছি তাই আমার খুব আনন্দ লাগছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফুজামান বলেন, আমি পলো বাওয়ায় অনেক বছর দেখিনি। আমার ভাগ্য ভাল এবার এ উৎসব দেখতে পারলাম। আমার খুবই ভাল লাগছে। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০জানুয়ারি) সারাদিনব্যাপী উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা সুইচগেট মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যার আয়োজন করে ঘুঘুডিমা প্রতিভা ক্লাব।
প্রতিযোগীতায় সোনিয়া খাতুন (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রথম স্থান অধিকার করে। সে জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বকলা গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে।
অনুষ্ঠানের অতিথি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার খেলা শেষে বিকালে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
১ বছর আগে
মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আমুড়িয়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে এ প্রতিযোগিতার ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমুড়িয়া যুব সংঘ এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
মাগুরা, নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলার মোট ১৫টি ঘোড়া এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় মাগুরা জেলার গাংনী গ্রামের ঘোড়া প্রথম স্থান, মাগুরা জেলার কাটাখালী গ্রামের ঘোড়া দ্বিতীয় ও মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের ঘোড়া তৃতীয় স্থান লাভ করে।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আমুড়িয়া যুব সংঘের সভাপতি শিমুল হোসেন।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা উপলক্ষে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় নানা রকমের মিষ্টি, বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী, আসবাবপত্রের দোকান বসে।
এলাকার হাজার হাজার দর্শক গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
গাইবান্ধায় ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
১ বছর আগে
ইবিতে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিলুপ্তপ্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ খেলার আয়োজন করে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল ও ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কুষ্টিয়া দপ্তরের লাঠি কৌশলীরা এ খেলায় অংশ নেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ইবিতে পিলারের আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু!
ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী দুই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীড় জমায়।
ঢোলের তালে তালে নেচে প্রতিপক্ষের আঘাত পাল্টা আঘাত মোকাবিলা আর টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। লাঠি খেলায় উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
মাঠে উপস্থিত থেকে পুরো খেলা উপভোগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আলী হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কুষ্টিয়া দপ্তরের টিম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ ঐতিহ্যটি ফিরিয়ে আনতে আমরা লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলেছি। সরকারি অনুদান ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খেলাটি আরও জনপ্রিয়তা করে তুলতাম। খেলাটি জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
উল্লেখ্য, এর আগে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ইবি উপাচার্য। অনুষ্ঠান শেষে প্রথম খেলায় হ্যান্ডবল (ছাত্র)-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৪-১৪ গোলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে। সাতটি পুরুষ দল ও ছয়টি নারীদল প্রতিযোগিতার হ্যান্ডবল ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভলিবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে ইবির ১৪৩৭ আসন খালি
ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
১ বছর আগে