মাঝ আকাশে
যথাযোগ্য মর্যাদায় ক্যাপ্টেন নওশাদের দাফন সম্পন্ন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের নাগপুরে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট বিজি-০২৬ তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯ টা ১২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।
এসময় বিমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, এমপি, সচিব জনাব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও বিমানের পাইলটসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীগণ এ সময় উপস্থিত থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এরপর ক্যাপ্টেন নওশাদ এর মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২ টায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে তার মৃত দেহ আনা হলে সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি. এর পক্ষ থেকে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব (অবঃ) সাজ্জাদুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অতঃপর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও সর্বস্তরের কর্মীগণ উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
জানাজা শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর মরদেহ বিকাল ৪ টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নওশাদ মাস্কট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার সময় মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুরে নিরাপদে বিমান অবতরণের জন্য প্রশংসিত হন। ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট তখন থেকেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩ বছর আগে