২২ বছর
চাচাতো ভাইকে হত্যার ২২ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে সাহেব আলী ফকির হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আপন দুই ভাই খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি খলিল ফকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি মারুফ ফকির উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত খলিল ফকির ও মারুফ ফকির জেলার কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামের মৃত শাহাদত ফকির ওরফে শাহা ফকিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিডিউটার (এপিপি) আইনজীবী তারিকুজ্জামান লিটু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী ফকিরকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা আজিজুর বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বিচারিক আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পান।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
আখাউড়ায় ২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভেঙে পড়ল সেতু
২২ বছরেও সংযোগ সড়ক না হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী বিলের মাঝখানে নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ইটবোঝাই একটি নৌকার ধাক্কায় স্থানীয় নয়াখালের ওপরে থাকা সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় সেতুটি ভেঙে নৌকার ওপর পড়লে ইটসহ নৌকাটি ডুবে যায়।
স্থানীয় বনগজ গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান লালু ইউএনবিকে জানান, সকালে প্রায় সাত হাজার ইট বোঝাই একটি নৌকার সামনের অংশ সেতুর মাঝখানের পিলারে ধাক্কা দিলে সেতুটির আংশিক ভেঙে যায়। এসময় ভাঙা অংশ নৌকার ওপর পড়লে নৌকাটি খালের পানিতে ডুবে যায়। তবে মাঝিসহ সহযোগীদের থাকার কক্ষটি নৌকার পেছন দিকে থাকায় তারা অক্ষত আছেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পোয়াপাড়া বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে
স্বানীয় লোকজন জানান, এলাকাবাসীর দাবির মুখে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শাহ আলম বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নয়াখালের ওপর সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আখাউড়া উপজেলা এলজিইডি এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছিল।
উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি সেতুটির দুই প্রান্তে মাটি নেই। সমতল থেকে অন্তত ১৫ ফুট উঁচু সেতুটি ঝুলে আছে। ফলে সেতুটিতে কেউ কখনো উঠানামা করেনি দীর্ঘ ২২ বছরে।
আরও পড়ুন: পদ্মার গোলডাঙ্গিতে ১০০ মিটার ভাঙন, হুমকির মুখে ব্রিজসহ কয়েকটি গ্রাম
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডির আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ইউএনও'র মাধ্যমে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
৩ বছর আগে