কাঠবিড়ালী
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার পৌর শহরের ডিসি বস্তির শুভ নামে এক যুবক সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
রবিবার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ নামক স্থানে কয়েকজন শিশু কাঠবিড়ালী ভেবে অসুস্থ অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে আটক করে। বিষয়টি শুভ জানার পর কাঠবিড়ালী হিসেবে সেটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দিলেও গন্ধগোকুলটি কিছু না খাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা প্রাণীটির ছবি তুলে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠান। পরে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি একটি বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। এটি সাধারণত কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়; তাই দ্রুত এটিকে বনে ছেড়ে দেয়া প্রয়োজন। শুভ এটি জানার পর গন্ধগোকুলটি নিয়ে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
১ বছর আগে
রাঙ্গামাটিতে বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালী উদ্ধার
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম জীববৈচিত্রপূর্ণ রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় বিরল প্রজাতির চারটি উড়ন্ত কাঠবিড়ালী উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় ৭নং টিলার পাশে বনের ঝোঁপে কাঠাল গাছে মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে মো. সরোয়ার (১৬) এর হাতে ধরা পড়ে এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালী গুলো।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী রহমান তিন্নী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির রহমানের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বনবিভাগ কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের কাছে চারটি কাঠবিড়ালী হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ উদ্ধার
পরে বুড়িঘাট ৭নং টিলা এলাকার গভীর জঙ্গলে প্রাণীগুলোকে অবমুক্ত করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের মো. সফিউল ইসলাম, নেকজান বেগম, কবির হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, গ্রাম পুলিশ ছগির হোসেন, ভিডিপির পিসি মিন্টু মিয়া ও এমদাদুল হক।
এসময় বনবিভাগ কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, পাহাড়ে এই প্রাণী এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখন আর বনে জঙ্গলে দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এটি বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে গাছপালা কেটে বন উজাড় করার ফলে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থলের ক্ষতি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই খাদ্যের খোঁজে বিভিন্ন সময় বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় মানুষের হাতে ধরা পড়ে।
লোকালয়ে ঢুকে পড়া প্রাণীরা যাতে মানুষের মাধ্যমে আক্রান্ত না হয় সেদিকে উপজেলা বনবিভাগ কড়া নজর রাখছে বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে